আসছে নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা ‘হাইপারলুপ’
স্পেসএক্স এবং টেসলা মোটরসের প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক শিগগিরই উত্থাপন করতে যাচ্ছেন একটি নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা বা প্রযুক্তি ৬ ঘণ্টার একটি পথকে মাত্র ৪৫ মিনিটে অতিক্রমে সাহায্য করতে পারবে।
প্রযুক্তিটির নাম ‘হাইপারলুপ’। আগামী ১২ আগস্ট ২০১৩ প্রযুক্তিটি উত্থাপন করা হবে। হাইপারলুপ প্রযুক্তি আমেরিকার ব্যাংকগুলো ব্যবহার করে থাকে। মূলত টাকা আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে এ টিউব ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এলন মাস্ক হাইপারলুপকে বর্ণনা দেন একটি কনকর্ড (এটি উড়োজাহাজ, যা শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ বেগে উড়তে পারে), একটি রেল গান এবং একটি এয়ার হকির টেবিলের মেলবন্ধন হিসেবে। হাইপারলুপ হবে একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে একটি টিউব কয়েকটি দেশ অথবা শহরজুড়ে থাকবে।
টিউবের ভেতর থাকবে ক্যাপসুল। এটি ছয়জন মানুষ এবং তাদের মালপত্রকে ম্যাগলেভ প্রযুক্তি অনুসারে প্রতি ঘণ্টায় ৪ হাজার মাইল বেগে বহন করতে পারবে। বর্তমানে এই ম্যাগলেভ প্রযুক্তি বুলেট ট্রেনে ব্যবহার করা হয়। টিউব ব্যবস্থাটির ক্ষেত্রে তাতে কোনো বায়ু থাকবে না। ফলে থাকবে না কোনো প্রকার ঘর্ষণ শক্তি।
হাইপারলুপের ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে হাইপারলুপ প্রতি ঘণ্টায় ২ লাখ মানুষকে একদিক বরাবর বহন করতে পারবে। আর নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট এবং নিউইয়র্ক থেকে বেইজিং যেতে লাগবে ২ ঘণ্টা।
তবে এখন পর্যন্ত হাই স্পিড রেলওয়ে ব্যবস্থার প্রয়োগ যেভাবে চলছে তাতে বলা যায়, হাইপারলুপ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন হতে অনেক সময় লাগবে।