লন্ডনে যাতায়াত ভাড়া বৃদ্বির প্রতিবাদে লেবার পার্টির প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত
লন্ডনে যাতায়াত ভাড়া বৃদ্বির প্রতিবাদে টাওয়ার হ্যামলেটসে লেবার পার্টির মেয়র প্রার্থী জন বিগস কাউন্সিলার ও প্রার্থীদের নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এবং কস্ট অব লিভিং ক্যাম্পেইনারদের সাথে গেল সপ্তাহে পূর্ব লন্ডন জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ভাড়া না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও লন্ডন মেয়র বরিস জনসন নতুন বছরের শুরুতে বাস এবং টিউব ভাড়া বৃদ্বি করেন। বর্ধিত ভাড়া অনুযায়ী সিঙ্গেল বাস ভাড়া হচ্চেছ ১.৪৫ পাউন্ড এবং জোন ওয়ানে পে এস ইউ গো ট্রেন ভাড়া হচ্চেছ ২.২০ পাউন্ড। শতকরা হিসাবে এই বৃদ্বির পরিমান হচ্চেছ ৪.৮%, যা মূল্যস্ফীতির চেয়ে অনেক বেশী। এই মূল্য বৃদ্বি বিশেষ করে টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দাদের মধ্যে বেশী প্রভাব ফেলবে। কারন তারা জোন ১-৩ বেশী ব্যাবহার করেন।
ভাড়া বৃদ্বির প্রতিবাদে লেবার নেতৃবৃন্দ হোয়াইটচ্যাপল, অলগেট ইস্ট, ক্রসহারবার, শ্যাডওয়েল, স্টেপনিগ্রীণ, মাইলএন্ড, আইল্যান্ড গার্ডেনস, ল্যাংডন পার্ক, ব্রোমলি বাই বো, ডেবনস রোড, ওয়াপিং এবং টাওয়ার হীল ষ্টেশনের সামনে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চান।
এ ব্যাপারে টাওয়ার হ্যামলেটেসে লেবার পার্টির মেয়র প্রার্থী জন বিগস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ভাড়া না বৃদ্বির প্রতিশ্রুতি সত্বেও মেয়র জনসন মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশী ভাড়া বাড়িয়েছেন। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত বাস ভাড়া বেড়েছে ৬০% এবং জোন ১-২ ও জোন ১-৩ এ ট্র্যাভেলকার্ডের মূল্য বেড়েছে যথাক্রমে ৩.৩% এবং ৩.৪%। টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দারা যখন কস্ট অব লিভিং ক্রাইসিসে ভুগছেন তখনই এসব আঘাত আসছে। জনগন এখন জানতে চায় কার পাশে এই মেয়র।
জন বিগস বলেন, বিষয়টিকে আরো গুরতর করে তুলেছে রাজধানী জুড়ে ৭৫০ জন ফ্রন্ট লাইন ষ্টেশন স্টাফ কর্তনের ঘোষনা। টাওয়ার হ্যামলেটেসের বাসিন্দাদের ব্যাপক প্রতিবাদ সত্বেও নতুন হোয়াটচ্যাপেল ষ্টেশনে কোন টিকেট থাকবে না। এর মানে হচ্চেছ জনগন বেশী অথের্র বিনিময়ে বাজে সার্ভিস কিনছে।