টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাচনে ইলেকটরাল কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানালো লেবার পার্টি
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাচনে জালিয়াতি প্রতিরোধে ইলেকটরাল কমিশন বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এলক্ষ্যে কমিশন বেশ কিছু প্রস্তাব করেছে। কমিশনের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- ভোটদানের সময় ব্যালট পেপার গ্রহনের আগে ভোটারের পরিচয়ের প্রমান প্রদর্শন এবং ক্যাম্পেইনার কতৃক পোস্টাল ভোট হস্তান্তর নিষিদ্ব। ইলেকটরাল কমিশন কতৃক সারা দেশে ভোট জালিয়াতিতে কুখ্যাত ১৬টি বারার মধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটস একটি চিহ্নিত হওয়ার পরই এই উদ্যোগ নেয়া হলো।
কমিশন ভবিষ্যতে ভোট জালিয়াতি রোধে একটি রিচার্স প্রজেক্টও গ্রহন করেছে। কমিশনের প্রস্তাবগুলো গৃহিত হলে তা ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টি ভোট জালিয়াতি রোধে ইলেক্টরাল কমিশনের এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার গ্রুপের লীডার কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রাজনীতিবিদ এবং কাউন্সিল প্রার্থীরা আইন মেনে চলবেন জনগন এই আশাই করে। কিন্তু দূচ্ঞখজনক হলেও সত্যি হচ্চেছ যে, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ এই আইন ভঙ্গ করেন। আর এজন্য এ সংক্রান্ত জালিয়াতি রোধে যে কোন উদ্যোগকে টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টি অবশ্যই স্বাগত জানায়। ভোট দানের সময় ভোটারের পরিচয় দেখতে চাওয়ার বিষয়টি যৌক্তিক মনে হলেও কমিশনকে সতর্কতার সাথে দেখতে হবে যে, কোন পরিবর্তন যাতে জনগনকে ভোটদানে নির্সুাহিত না করে।
টাওয়ার হ্যামলেটসে লেবার পার্টির মেয়র প্রার্থী জন বিগস এ ব্যাপারে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ভোট জালিয়াতির বিষয়টি স্থানীয় একটি সমস্যা। ভোটারদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন তাদের ভোট কেউ চুরি করতে না পারে। এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় দরকার স্ এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব। আর এজন্য আমি এবং অন্যান্য লেবার প্রার্থীরা সবসময়ই ইলেক্টরাল কমিশনের কোড অব কনডাক্ট মেনে চলার পক্ষে জোরালো সমর্থক। উল্লেখ্য, ইলেক্টরাল কমিশন এমন এক সময় এই প্রস্থাব আনলো যখন নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানের বিরুদ্বে নির্বাচনি প্রচারনায় কাউন্সিলের রিসোর্স ব্যাবহারের বিষয়টি কাউন্সিল এবং পুলিশ কতৃক তদন্ত হচ্ছে।