চবিতে শিবির-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে শিবিরকর্মী নিহত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ-শিবিরের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। হামলাকারীদের উপর্যুপরি গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরো তিন শিবির নেতা সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন বলে জানা গেছে। রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার দিনভর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্মীদের ওপর দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে শিবিরের ওপর অন্তত ৫০ রাউন্ড গুলি বর্ষণের খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আরো প্রায় ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। ঘটনায় উভয় পরে পাঁচজন আহত হন। পরে পুলিশ আমানত হল থেকে শিবিরের ১৮ কর্মীকে আটক করে।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে চবি ছাত্রলীগ নেতা জালাল তার নিজ এলাকায় (সিলেটে) হামলার শিকার হন। রাতে এই ঘটনাকে শিবিরের ওপর চাপিয়ে চবিতে এক শিবির কর্মীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। গত রোববার একই ইস্যুতে চবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ। বিােভ শেষে হঠাৎ শিবির নিয়ন্ত্রিত শাহ আমানত হলে প্রবেশের চেষ্টা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় শিবিরকর্মীরা তাদের ল্য করে ইটপাটকেল নিপে করে এবং একপর্যায়ে ছাত্রলীগ ক্যাডারেরা শিবির কর্মীদের ল্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে ছাত্রলীগের মিছিলটি ফ্যাকাল্টির দিকে চলে যায়। ইত্যবসরে পুলিশ শাহ আমানত হলে প্রবেশ করে ১৮ শিবির নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। এই খবর নিশ্চত করেন পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি আ ফ ম নিজাম উদ্দীন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কয়েকজন ছাত্রের লাশ কাঁথা মুড়িয়ে পুলিশ নিয়ে গেছে বলে কয়েকজন প্রত্যদর্শী আমাদের জানিয়েছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে তিনি লাশ গুমেরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি শিবির নেতা মামুনের খুন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও মোট কয়জন নিহত হয়েছেন তা নিশ্চিত জানাতে পারেননি।