বন্ধ হয়ে গেছে বো ফায়ার স্টেশন : লেবারের প্রতিবাদ র্যালী
লন্ডন মেয়র বরিস জনসনের বাজেট কাটের কারনে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বো ফায়ার স্টেশন। গত ৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার এটি বন্ধ হয়ে যায়। টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টির নেতৃবৃন্দ একে চরম দু:খজনক ঘটনা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের মতে এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন ঝুকিঁর মধ্যে পড়লো। আর এজন্য ৯ জানুয়ারী দু:খজনক এই দিনটির সকালে লেবার নেতৃবৃন্দ বাসিন্দাদের নিয়ে সমবেত হয়েছিলেন ফায়ার স্টেশনটির সামনে। নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বাসিন্দারা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাড়িয়ে ফায়ার স্টেশন বন্দের প্রতিবাদ জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় এমপি ও শ্যাডো এডুকেশন মিনিস্টার রুশনারা আলী, লন্ডন এসেম্বলী মেম্বার ও টাওয়ার হ্যামলেটসে মেয়র নির্বাচনে লেবার দলের মেয়র প্রার্থী জন বিগস, টাওয়ার হ্যামলেটেসে লেবার গ্রুপ লীডার কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলার যশোয়া প্যাক, কাউন্সিলার মতিনুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়া ইউনিসন ট্রেড ইউনিয়ন ক্যাম্পেইনাররাও প্রতিবাদ র্যালীতে যোগ দেন।
উল্লেখ্য যে, লন্ডন মেয়র বরিস জনসন বাজেট কাটের কারনে যে ৯টি ফায়ার স্টেশন বন্ধ করেছেন বো ফায়ার স্টেশনটি তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রতিদিন ১ পেন্স কাউন্সিল ট্যাক্স বিল কমানোর রাজনৈতিক সিন্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য তিনি একাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অফিসিয়াল ভাষ্য মতে বো ফায়ার স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে বো এলাকায় কোন দূর্ঘটনা ঘটলে প্রথম ফায়ার ইঞ্জিনের রেসপন্স টাইম ৩ মিনিট থেকে বেড়ে সাড়ে ৭ মিনিট হয়ে যাবে। বো ইস্টে সেকেন্ড ফায়ার ইঞ্জিন পৌছঁতে লাগবে ৯ মিনিটেরও বেশী।
এবিষয়ে লন্ডন এসেম্বলী মেম্বার ও মেয়র প্রার্থী জন বিগস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বো ফায়ার স্টেশন বন্ধ হওয়ার ঘটনাটি একটি চরম দু:সংবাদ। আর এর ফলে বাসিন্দাদের জীবন ঝুকিঁর মধ্যে পড়বে। যেখানে আমাদের বারার জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক সার্ভিস দরকার সেখানে মেয়র এমন একটি বিকৃত সিন্দান্ত নিলেন যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বো ওয়ার্ডের লেবার দলীয় কাউন্সিলার যশোয়া প্যাক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বরিস জনসন চেয়েছিলেন আজকের দিনটিকে যথাসম্ভব নিরবে নিভৃতে পার করে দিতে। আগামী নির্বাচনের আগে সবাই তা ভুলে যাবে এটাই ছিলো তার উদ্দেশ্য। তিনি বলেন আমাদের কমিউনিটির কেউই এই ফায়ার স্টেশন বন্ধকে মেনে নেয়নি এবং আমরাও এনিয়ে নিরব থাকবো না।