সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় জাতিসংঘকে এগিয়ে আসার আহবান

Saveবাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, সময় সম্পত্তি লুন্ঠন, মন্দির গির্জায় হামলা-ভাংচুরে জড়িতদের চিহ্নিত করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনসমূহকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক নাগরিক সংগঠন সেইভ বাংলাদেশ।
১৫জানুয়ারী বুধবার লন্ডনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেইভ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে আহবান জানান।
বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিষ্টার নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আট পার্সেন্টের মতো ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের দেশের শান্তি প্রিয় মানুষ কখনো সংখ্যালঘু মনে করেনা। তারা বাংলাদেশের নাগরিক এবং ভাই ভাই হিসেবে আমরা মিলেমিশে বসবাস করছি। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দিতে এবং বিদেশের কাছে বাংলাদেশকে জঙ্গীমৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রমান করতে আওয়ামীলীগ নিরীহ হিন্দু নাগরিকদের উপর হামলা করে তাদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে। আর এর দায়ভার বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা একদিকে বাংলাদেশকে বর্হি:বিশ্বের কাছে প্রশ্নের মুখোমুখী করে দেশের ক্ষতি করছে আর অপরদিকে রাজনৈতিক দল ও মতের উপর নির্মম নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে।
ব্যরিষ্টার নজরুল বিভিন্ন তত্ত্ব-উপাত্ত উল্লেখ করে বলেন, প্রতিটি ঘটনায় যারা সরাসরি জড়িত হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে তারা প্রত্যেকেই আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের সাথে জড়িত। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, হিন্দু-বৌদ্ধ খৃষ্টান নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ ও ভিকটিমদের বক্তব্য থেকে সেটাই প্রমানিত হয়েছে।
কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে, সরকার ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের নির্যাতনের দায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির উপর চাপিয়ে দিয়ে গ্রেফতার নির্যাতন চালাচ্ছে। ব্যারিষ্টার নজরুল তার লিখিত বক্তব্যে এব্যাপারে মিডিয়াকে সোচ্চার ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জমিয়তে উলামা ইউকের আমীর আল্লামা মুফতি শাহ সদর উদ্দীন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, সাবেক আহবায়ক এম এ মালিক, প্রবীন রাজনীতিবীদ সলিসিটর আসাফ আহমদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সেক্রেটারী কয়সর এম আহমদ, মাওলানা আবুল হাসানাত চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা নুর বকস, সাবেক ছাত্রনেতা নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, সলিসিটর বিপ্লব পোদ্দার, মিটু রঞ্জন পাল, পলাশ রায়, গৌতম সাহা, সুমন রায় প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে ব্যারিষ্টার নজরুল ক্ষতিগ্রস্থদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরন প্রদান, বিধ্বস্ত বাড়ীঘর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপাসনালয়সহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং যাবতীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে দেয়া জরুরি। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, ভাংচুর ও উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিভিন্ন স্থানে পুজা উদ্যাপন কমিটিসহ ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়ের এবং হাইকোর্টে রিট ও দায়ের করা হয়েছে।
তিনি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, বরিশাল, সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাদেরকে চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং যারা হাতে নাতে ধরা পড়েছে, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণে এবং প্রশাসন যাতে সকল ধরনের চাপ, ভয়-ভীতি ও দলীয় প্রভাব মুক্ত হয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য আমরা জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ব্যারিষ্টার নজরুল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়টি বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। যুগ যুগ ধরে এখানে সব ধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারনে ব্যবহার করা হচ্ছে এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইস্যুটি। তিনি এক্ষেত্রে, একশ্রেনীর মিডিয়াকে দায়ী করে বলেন, তারাই মূলত: এর পিছনে দায়িত্বহীন ভুমিকা পালন করছেন।
ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই কোন রকম তদন্ত, বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই মিডিয়া দায় চাপাচ্ছে এক পক্ষকে। ফলে ধামা চাপা পড়ে যাচ্ছে প্রকৃত ঘটনা। বেচে যাচ্ছে প্রকৃত অপরাধীরা। থামছে না এই সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প। আর প্রতিদিন জুলুমের শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অসহায় মানুষেরা।
তিনি সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর উল্লেখ করে বলেন, ১০ম জাতীয় নির্বাচনের পর আবারো সংখ্যালঘুদের উপর বিশেষ করে হিন্দুদের উপর বিভিন্ন জায়গায় হামলা হচ্ছে। যেখানে প্রশাসন থেকেও এই সব হামলা বন্ধের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো কয়েক জায়গায় রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগের লোকজন সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে তুলকালাম সৃষ্টি করে। বলেছিলো সংখ্যালঘুরা সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে।
কিন্তু বর্তমানে এই আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন । আসল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে, রাজনৈতিক সুবিধার্থে উল্টো ক্ষমতার বাইরে থাকা জামায়াত শিবির ও বিএনপির কর্মীদের দোষারোপ করে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত কিছু রিপোর্টের কারণেই সন্ত্রাসীরা আরো বেশি করে হামলা করছে হিন্দুদের উপরে। কারণ তারা জানে তারা যতই হামলা করুক না কেন মিডিয়ায় প্রকৃত খবর আসবে না, উল্টো বিএনপি, জামায়াত শিবিরকে দোষারোপ করে তারা পার পেয়ে যাবে।  খোঁজ নিলে দেখা যাবে সংখ্যালঘুদের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করেছে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরাই।
তিনি গত ৫ই জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টার দিকে যশোরের অভয়নগর উপজেলায় চাপাতলা গ্রামের মালোপাড়ায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। জাতীয় পত্রপত্রিকার মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয়েছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের পেছনে হাত রয়েছে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল ওয়াহাবের। নির্বাচনের আগেই চাপাতলা মালোপাড়ার বাসিন্দাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন হুইপ অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব। নির্বাচনে নৌকার বাইরে বের হতে না পারলে পরিণাম ভাল হবে না বলে শাসিয়েছিলেন সংখ্যালঘুদের। তিনি তাদের বলেছিলেন, ‘‘তিনি এখনও আওয়ামী লীগে আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। দল তাকে বহিষ্কার করেনি। ফলে এবারের সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় সংখ্যালঘুরা যদি ভেবে থাকেন ওহাব আর আওয়ামী লীগে নেই, তার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেছে, তাহলে তারা ভুল করবেন। নৌকার প্রার্থী রণজিৎ রায় আপনাদের স্বজাতি হওয়ায় যদি ভাবেন তাকে ছাড়া আপনারা অন্য কাউকে ভোট দেবেন না তাহলে ভুল করবেন। ভোটের পরে এর জন্য আপনাদের খেসারত দিতে হবে। হিন্দু সমপ্রদায়ের নেতৃস্থানীয়দের উদ্দেশ্য করে হুইপ ওহাব বলেছিলেন, আপনারা সামপ্রদায়িকতা থেকে বের হতে পারবেন না, আর আমার কাছে অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা আশা করবেন- সেটা হবে না। আপনাদের কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করছে ভোটের পরে আমি অসাম্প্রদায়িক থাকবো না সাম্প্রদায়িক আচার-আচরণ করবো। এদেশের জামায়াত-শিবির শুধু সাম্প্রদায়িকতা লালন করে সেটা ঠিক নয়, এদেশের সংখ্যালঘুরাও সাম্প্রদায়িক।‘‘
ব্যারিষ্টার নজরুল তার বক্তব্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্র্টির সভাপতি শচীন্দ্র লাল দে বাংলাদেশ রিপোর্টাস সম্মেলনে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেন মহাজোট সরকারের আমলে দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এ সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ প্রসঙ্গে  তিনি  চলতি বছরের এক পরিসংখ্যান উল্লেখ্য করে বলেন, এবার ৪৭৮টি মঠ ও মন্দির, ১২৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মাইনরিটি পার্র্টির সভাপতি শচীন্দ্র লাল দে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে চট্টগ্রামের নদীরহাট, বাঁশখালী, রামু, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের চাকরদাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের মঠ, মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা, অগ্নিসংযোগ- লুটপাট হয়েছে। ১৭ জন কুমারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে; তাদের মধ্যে আটজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে তিনি প্রমানের স্বপক্ষে সাংবাদিকদের কাছে ভিডিও লিংক এর আইডি প্রদান করেন।
সেইভ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার নজরুল খ্রীস্টান এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এলবার্ট ডি কস্টা‘র বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, কস্টা বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের মুসলমানরা নৃশংস নন। আর বাংলাদেশে জঙ্গীও নেই।  যারা বার বার মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন তারাই সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটাচ্ছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই। দেশের রাজনীতিকরা তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য জন্য পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের উপর দোষ চাপিয়ে মিথ্যাকে সত্য আর সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করছেন।‘‘
ব্যারিষ্টার নজরুল গত ১৬ অক্টোবর ২০১৩ এ ময়মনি সিংহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলীদের দুটি গ্রুপরে মন্দির ভাংচুর করার পর আটক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশের ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, ময়মনসিংহ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেরট রাখাল সরকার অভিযোগ করে বলেন, কল্যাণ টিটু নামে ঐ ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ আটক করে একদিন থানা হেফাজত রাখে। কিন্তু পুলিশ দাসপাড়া মন্দির কমিটির সভাপতি জিতেন বর্মনকে পুলিশ ভয়-ভীতি দেখিয়ে এজহার থেকে কল্যাণ টিটুর নাম বাদ দিতে বাধ্য করে।
সেইভ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার নজরুল জামায়ত শিবির কিংবা বিএনপি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানো বা হিন্দুদের উপর হামলায় জড়িত নয় উল্লেখ করে বলেন,  গত ৯ জানুয়ারী হিন্দু  বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সূব্রত চৌধুরী  বিবিসি বাংলাকে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা জামায়াত-ঘটিয়েছে এই অভিযোগ এখন শ্লোগানে পরিণত করা হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গায় হামলার সাথে আওয়ামী লীগ নেতাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, হামলা নির্যাতন জামায়াত-শিবির যেই করে থাকুক তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না ? সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে তা জামায়াত বিএনপি করছে না অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগ করছে।
সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপাসনালয়সহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং যাবতীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি জাতিসংঘ, দেশী-বিদেশী মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহ এ জালেম, স্বৈরাচারী, অবৈধ ও গণপ্রত্যাখ্যাত সরকারের নির্দেশে সংখ্যালঘুদের উপর পরিচালিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও কার্যকর ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসবেন।”

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button