‘বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেবো না’
তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর বুধবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর তিনি সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে লেখেন, বাবার আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেবো না।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা লেখেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- যার নেতৃত্বে আমরা জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আত্মত্যাগকারী মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। পিতা তোমার কাছে আমার প্রতিজ্ঞা, তোমার ত্যাগ বৃথা যেতে দেবো না। তোমার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সোনার বাংলা গড়ে তুলবোই ইনশাআল্লাহ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুপুরে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন। তিনি ১টা ৫০ মিনিটে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে পিতার সমাধিস্থলে পৌঁছান। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা সমাধি বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় জাতীয় ও প্রধানমন্ত্রীর পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেজে ওঠে সশস্ত্র বাহিনীর বিউগল। তিন বাহিনীর একটি দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার ও সশস্ত্র সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে ও আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা অন্যদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের মধ্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত, মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ, আমীর হোসেন আমু, মোহাম্মদ নাসিম, রাশেদ খান মেনন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, শাজাহান খান, আ হ ম মুস্তফা কামাল, খোন্দকার মোশারফ হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাসানুল হক ইনু, আনিসুল হক, মেহের আফরোজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধানমন্ত্রী, তার বোন শেখ রেহানা ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সমাধি চত্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে কিছু সময় অপেক্ষা করেন। সেখান থেকে বেলা তিনটায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী ৩টা ১৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন।