মিশরে সংবিধানের পক্ষে ৯৫ শতাংশ ভোট
মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গণভোটে অংশগ্রহণকারীদের শতকরা ৯৫ ভাগ ভোটার সংবিধানের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের পরিচালক মেজর জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ ওসমান বেসরকারি টেলিভিশন আল-হায়াতকে বলেছেন, ‘দেশের শতকরা ৫৫ ভাগের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন। ভোটদাতাদের ৯৫ শতাংশেরও বেশি সংবিধানের পক্ষে রায় দিয়েছেন।’
দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুড নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট গণভোট বয়কট করেছে। আগামী রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে গণভোটের ফল ঘোষণা করা হবে।
গণভোটের ঘোষিত এ ফলাফলের ভিত্তিতে এখন সেনা অভ্যুত্থানের নায়ক জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল -সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবেন।
মিশরের সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রণীত সংবিধানের ওপর মঙ্গল ও বুধবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধী জোটের বয়কটের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ব্রাদারহুডের অন্তত ১১ কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনী দলটির প্রায় ৫০০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিশরের জনগণের স্বতস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারক। এরপর নানান চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে ব্রাদারহুড নেতা মুহাম্মাদ মুরসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রমাণিত হয়, মুবারকের শাসনামলে নিষিদ্ধ ইখওয়ান সত্যিকার অর্থেই দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল।
কিন্তু ২০১৩ সালের জুলাই মাসে পাশ্চাত্যের সমর্থন নিয়ে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। মুরসির শাসনামলে প্রণীত সংবিধান বাতিল করে নয়া সংবিধান প্রণয়ন করে এবং সে সংবিধানের ব্যাপারে এ গণভোট অনুষ্ঠিত হলো। এ সংবিধান কার্যকর হলে মিশর হোসনি মুবারকের মতো স্বৈরাচারি ও সেক্যুলার শাসন ব্যবস্থায় ফিরে যাবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।