নৌকা ৪, স্বতন্ত্র ২ ও জাপা ১ আসনে জয়ী
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্থগিত সাত আসনের মধ্যে যশোর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য (কলস), লক্ষ্মীপুর-১ আসনে তরীকত ফেডারেশনের এম এ আউয়াল (নৌকা), দিনাজপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের আবুল হাসান মাহমুদ আলী (নৌকা), গাইবান্ধা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (আনারস), গাইবান্ধা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউনূস আলী ও বগুড়া-৭ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন (লাঙ্গল) জয়ী হয়েছেন।
যশোর-৫
যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য (কলস)। বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফলে এ খবর জানা গেছে।
লক্ষ্মীপুর-১
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে তরীকত ফেডারেশনের এম এ আউয়াল নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৯০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শফিকুল ইসলাম (আনারস) পেয়েছেন ২১ হাজার ৮১৬ ভোট।
এটি নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে তরীকত ফেডারেশন দুটো আসন পেল। লক্ষ্মীপুর-১ আসনের ৮১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে আজ স্থগিত হওয়া ২১টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটার ৫০ হাজার ৯২। আজ এম এ আউয়াল ১৬ হাজার ৯৩৩, মো. শফিকুল ইসলাম ৯০৫ ও জাপার মাহমুদুর রহমান মাহমুদ (লাঙ্গল) ৩০৮ ভোট পেয়েছেন। ৩১৭টি ভোট বাতিল হয়।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দিনে এম এ আউয়াল ৩২ হাজার ৫৭, মো. শফিকুল ইসলাম ২০ হাজার ৯১১ ও মাহমুদুর রহমান মাহমুদ ১ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়েছিলেন। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় ভোটের ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম।
দিনাজপুর-৪
দিনাজপুর-৪ আসনে আবুল হাসান মাহমুদ আলী নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৪২ হাজার ৬৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির এনামুল হক সরকার (হাতুড়ি) পেয়েছেন দুই হাজার ৭৯৭ ভোট।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ)
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (আনারস)। তিনি পেয়েছেন ৯৮ হাজার ৫৪৬ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোয়ার হোসেন (নৌকা) পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৬১৪ ভোট। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
গাইবান্ধা-১
এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম এক লাখ ১৮ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির আবদুল কাদের খান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ১৩ হাজার ৪৪ ভোট পান।
গাইবান্ধা-৩
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউনূস আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ৫৬৩ ভোট পেয়ে জিতেছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী খাদিমুল ইসলাম আনারস প্রতীকে পান ১৮ হাজার ২০৪ ভোট।
বগুড়া-৭
গাবতলী-শাজাহানপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে ২৪ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপির এ টি এম আমিনুল ইসলাম বাইসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ২৮৫ ভোট।
৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার মুখে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়ার কারণে ছয় জেলার আটটি আসনের ৩৯২টি ভোটকেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল।
স্থগিত হওয়া ওই আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে আবার ভোট গ্রহণ করা হয়। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞায় কুড়িগ্রাম-৪ আসনের দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ পুনরায় স্থগিত করা হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেনের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সহিংসতার কারণে স্থগিত হওয়া আসনগুলোর মধ্যে দিনাজপুর-৪ আসনের ১২০টির কেন্দ্রের মধ্যে ৫৭টি, গাইবান্ধা-১ আসনের ১০৯টির মধ্যে ৫৪টিতে, গাইবান্ধা-৩ আসনের ১৩০টির মধ্যে ৮০টিতে, গাইবান্ধা-৪ আসনের ১৩০টির মধ্যে ৭২টিতে, বগুড়া-৭ আসনের ১৬১টির মধ্যে ৪৬টিতে, যশোর-৫ আসনের ১২২টির মধ্যে ৬০টিতে এবং লক্ষ্মীপুর-১ আসনের ৮১টির মধ্যে ২১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছে।