শাপলা চত্বরে নিহতের সংখ্যা কত?
রোববার দিবাগত রাতে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে হেফাজত সমর্থকদের সরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়াশি অভিযানে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৮ থেকে শুরু করে ২৮জন পর্যন্ত বলা হচ্ছে। তবে কেউ কেউ দাবি করছেন, এ সংখ্যা আড়াই থেকে তিন হাজার (!) হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য না থাকায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে পাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে সন্দেহ-সংশয়, গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। বিশেষ করে দুটি মিডিয়া ‘সাময়িকভাবে বন্ধ’ করে দেয়ায় জনমনে সন্দেহ ছড়িয়ে পড়ছে প্রকটভাবে।
নিহতের প্রকৃত সংখ্যা জানার জন্য সকাল থেকে নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম-এর কার্যালয়ে একের পর এক ফোন আসতে থাকে দেশ বিদেশ থেকে। প্রতিবেদকের ব্যক্তিগত মোবাইলেও ফোন এসেছে অসংখ্য।
পাঠকদের বক্তব্য নিহতের সংখ্যা প্রচারিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। তারা ধারণা করছেন পুলিশ লাশ গুম করেছে। নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী উল্লেখ করে মতিঝিল এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, পুলিশ দুইটি ট্রাকে করে লাশ নিয়ে গেছে। কেউ বলেছেন, ঘটনার পর অন্তত ৫০ জনের লাশ রাস্তায় পড়েছিল। পুলিশ পরে লাশগুলো নিয়ে গেছে।
আবার কেউ বলছেন, সিটি সেন্টারের গ্রাউন্ডে অনেক লাশ রাখা আছে। পেট কেটে নাড়িভুড়ি বের করে এসব লাশ ম্যানহোল দিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে।
অভিযানে অংশ নেয়া র্যাব সদস্যের বরাত দিয়ে এক পাঠক জানান, আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ মারা গেছেন ওই অভিযানে।
এ রকম বিভিন্ন কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে লোকমুখে।
এ বিষয়ে দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমও নানা রকম তথ্য দিয়েছে। কোনো কোনো টিভি চ্যানেল ৭ জন মৃত্যুর খবর প্রচার করেছে। আবার কেউ প্রচার করেছে ৮। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক রিপোর্টে নিহতের সংখ্যা ১০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিকেল ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিবিসি নিহতের সংখ্যা বলেছে ১৫ জন, সিএনএন ৮। আলজাজিরার ইংরেজি সংস্করণে বহু লোক নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী মিডিয়া ডন অন লাইন ও জিও টিভির অনলাইন সংস্করণে ২২ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে। ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার অন লাইন সংস্করণে নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ২৮ জন।