ব্যাংককে বিক্ষোভকারীদের ওপর গ্রেনেড, আহত ৩৫
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের মিছিলে গ্রেণেড হামলায় অন্তত: ৩৫ জন আহত হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের এবং ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ‘ব্যাংকক অচল’ কর্মসূচি পালন করছে সরকারবিরোধীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবিকে ‘অগণতান্ত্রিক আবদার’ উল্লেখ করে সরকারপন্থি রেডশার্ট কর্মীরা মাঠে নামার ঘোষণা দেয়ার একদিন পর এই রক্তাক্ত হামলার ঘটনা ঘটলো। বিক্ষোভকারীদের নেতা সুথেপ থগসুবান ব্যাংকক অচল কর্মসূচিতে যে এলাকায় অবস্থান করছিলেন তা থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরত্বে এই গ্রেণেড হামলা চালানো হয়। তবে কোনো কোনো মিডিয়া বোমা হামলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। কারা হামলা চালিয়েছে তা স্পষ্ট হয়নি।
থাই পুলিশ জানায়, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সুথেপ থগসুবানের নেতৃত্বে শুক্রবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা মিছিল করার সময় সেখানে শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস ছুড়ে দেয়া হয়। স্থানীয় সময় বেলা ১ টার কিছুক্ষণ পর এ হামলা হয়।
কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, আশেপাশের ভবন থেকে ছুড়ে দেয়া এ বিস্ফোরক ডিভাইসটি খুব সম্ভবত গ্রেনেড। এতে ২৮ জন আহত হলেও বিক্ষোভকারীদের নেতা থাকসুবান অক্ষত আছেন বলে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র। টেলিভিশনে সমপ্রচারিত ফুটেজে আহত কয়েক জনকে রাস্তায় পড়ে থাকতে এবং তাদেরকে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ছুটে আসতে দেখা যায়। অ্যাম্বুলেন্সে ৩৫ জন তুলে নেয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এদের মধ্যে একাধিক বিক্ষোভকারীর অবস্থা গুরুতর।
সামপ্রতিক দিনগুলোতে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভস্থলগুলোতে সহিংস তত্পরতার খবর আসছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার দিকে সহিংস ঘটনা ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা সংযত থাকার আহ্বান জানানোয় নিরাপত্তা বাহিনী এ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে চলেছে। থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী ও সমর্থক দুপক্ষেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আছে। গতকাল সকালেও ব্যাংককের উত্তরে বিক্ষোভকারীদের ওপর মোটরসাইকেল থেকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
সমপ্রতি থাইল্যান্ড সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলনকারীরা রাজধানী ব্যাংকককে প্রায় অবরুদ্ধ করে ফেলেছে এবং আপাতত দৃষ্টিতে এই রাজনৈতিক সংকটের সমাধান দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার বিরোধীরা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন বর্জনে অটল রয়েছে।