মার্কিন সেনাদের কু-কীর্তি প্রকাশ
মার্কিন সৈন্যদের কু-কীর্তির বেশকিছু ছবি ফের প্রকাশ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। ছবিতে দেখা গেছে, ইরাকে বিদ্রোহীদের হত্যার পর লাশগুলো পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে ফেলছে মার্কিন সেনারা। বিশ্বজুড়ে মানবতাবাদের শিক্ষা বিলিয়ে বেড়ানো মার্কিনীদের এমন আচরণে বিস্মিত বিশ্ব। ছবিগুলো সম্প্রতি প্রকাশ হলেও এগুলো ধারণ করা হয়েছিল ২০০৪ সালে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের ফালুজা শহরে এই ঘৃণ্য কাজ করা হয়েছিল।
ছবিগুলোতে মার্কিন সৈন্যদের উর্দি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিলো। নিজেদের সেনাদের এমন কর্মকাণ্ডে মেরিন অনুসন্ধানী কমিটি রীতিমত চিন্তিত হয়েছে। তাদের মতে, উর্দি পরিহিত অবস্থায় যে নিয়ম-কানুন মানা দরকার সৈন্যরা তা মানেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থলে ২০ জনের মত বিদ্রোহীর মৃতদেহ ছিল। যাদের পোড়ানো হয়েছিল। আরেকটি ওয়েবসাইট টিএমজেড জানায়, তারা বেশকিছু ছবি বাদ দিয়েছে। যেখানে কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল মৃতদের।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, মার্কিন সৈন্যরা ইউনিফর্ম কোড লঙ্ঘন করেছে। প্রতিরক্ষা বিভাগের সচিব কিম্বার বিল বলেন, ”ওয়েবসাইটে এসব ছবি প্রকাশের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সতর্ক। যেখানে বিচ্ছিন্নভাবে মার্কিন মেরিন সেনারা মানবতাবিরোধী কাজ করেছে।”
তিনি আরও জানান, মেরিন উচ্চপদস্থরা বর্তমানে এসব ছবির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। সেইসাথে এসবের সাথে জড়িত সম্ভাব্য মেরিন সদস্যদের শনাক্ত করার কাজও চলছে।
পেন্টাগন মুখপাত্র কর্নেল স্টিভেন ওয়ারেন বলেন, যুদ্ধ চলাকালে তাদের সেনাসদস্যদের দ্বারা এমন কাজ তারা আশা করেননি।
কিম্বার বিল অবশ্য সাফাই গেয়েছেন সৈন্যদের পক্ষেই। তার মতে, লাখো মার্কিন সৈন্য ইরাকে সেবা প্রদান করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে এখনও নিরাপত্তার স্বার্থে সেবা দিয়ে যাচ্ছে তাদের সৈন্য।
এর আগেও ২০০৫ সালে এমন অভিযোগ উঠেছিল মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে। তবে সেটা ইরাকে নয়, আফগানিস্তানে। সেখানে এক বন্দুকযুদ্ধ শেষে শত্রুদলের নিহত দুই সৈন্যকে পুড়িয়েছিল মার্কিনীরা।
এই ঘটনার পর তোলপাড় সৃষ্টি হলে জড়িত সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারপর জিজ্ঞাসাবাদে জড়িতরা জানায় পরিষ্কার কার্যক্রম হিসেবেই তারা এ কাজ করেছিল। নিহতদের লাশ না সরানো হলে তারা সেগুলো পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।