যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কার্যক্রম সীমিত করার নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা দেশে আর দেশের বাইরের হাজার হাজার মানুষের তথ্য সংগ্রহের যে কার্যক্রম করছিলেন, সেটি সীমিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তবে নজরদারি কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করা হবে, এমন কোনো ঘোষণা তিনি দেননি।
যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ওপর যে গোয়েন্দা নজরদারি করা হয়েছে, সেটি নিরাপত্তার স্বার্থেই করা দরকার ছিল, তাতে কোনো আইন ভঙ্গ হয়েছে বলে ওবামা মনে করেন না। তবে এটি অপব্যবহারের আশঙ্কাও তিনি উড়িয়ে দেননি।
তাই দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এ ধরনের কার্যক্রম সীমিত করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। যে পদ্ধতিতে বর্তমানে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা পরিবর্তনের জন্যও তিনি আদেশ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন গোয়েন্দা নজরদারির তথ্য ফাঁস করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে দেশটি। এরপর থেকেই এ ধরনের নজরদারি বন্ধের দাবিতে দেশের ভেতরে ও বাইরে চাপ বাড়ছিল। তবে ওবামা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যই এ ধরনের নজরদারির দরকার ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে দেয়া ওই বক্তৃতায় বারাক ওবামা বলেন, সারা পৃথিবীর মানুষকে তিনি জানাতে চান, তারা যে দেশের নাগরিকই হোন না কেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি না হলে তাদের ব্যক্তিগত আলাপে তারা নজরদারি করবে না। মিত্র দেশগুলোর নেতাদের আশ্বস্ত করে ওবামা বলেছেন, নিরাপত্তার প্রশ্ন ছাড়া তাদের ওপর বা অন্য দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র কোনো গোয়েন্দাবৃত্তি করবে না।
তবে দেশটির নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রার বিষয়ে ওবামা পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। এখনো এসব গোয়েন্দা সংস্থার কাছে অনেক গোপন তথ্য সংগৃহীত রয়েছে এবং এসব তথ্য নিয়ে কী করা হবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসেনি।
এ দিকে ওবামার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এখনো অনেক তথ্য রয়ে গেছে, তবে এই সিদ্ধান্তকে তারা স্বাগত জানান এবং এখন তারা পরবর্তী কর্মপন্থা দেখার অপোয় রয়েছেন।