অবৈধ মাইগ্রেন্টদের বৈধতা নিয়ে হোম অফিসের সাথে সেমিনার

UKঅবৈধ মাইগ্রেন্টদের বৈধতা ও রেষ্টুরেন্ট গুলোতে পুলিশী রেইড বন্ধ এবং অন্যান্য ইমিগ্রেশন ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ ক্যাটারারর্স এসোসিয়েশন (বিসিএ) ইষ্ট অব ইংল্যান্ড রিজিওন ওয়ান ব্রিটিশ হোম অফিসের সাথে সেমিনার করেছে।
গত ১৪ জানুয়ারী লুটন বেডস এর ৫-৭ মোর ষ্ট্রীটের একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশ ক্যাটারারর্স এসোসিয়েনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিসিএ ইষ্ট অব ইংল্যান্ড রিজিওনের প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট ক্যাটারারর্স নেতা অলি খান রেষ্টুরেন্ট সেক্টরে কর্মরত অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতা দান,বিজনেন্স আওয়ারে ব্যাবসা প্রতিষ্টানে রেইড বন্ধের দাবী জানিয়ে বলেন, অহেতুক পুলিশী হয়রানির কারনে রেষ্টরেন্ট সেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তিনি অবৈধ শ্রমিকদের অন্তত পক্ষে দুবছরের ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু কারার দাবী জানিয়ে বলেন এতে লাভবান হবে সরকার। প্রতিবছর এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয় প্রায় চার বিলিয়ন পাউন্ড। অর্থনৈতিক মন্দার সময় এভাবে রেষ্টুরেন্ট গুলোতে যখন তখন রেইড চলতে থাকলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে ক্যাটারিং ইন্ডাষ্ট্রি।
অলি খান আরো বলেন বৃটেনে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যের স্মারক ১৯৬০ সালে প্রতিষ্টিত বাংলাদেশ ক্যাটারারর্স এসোসিয়েশন (বিসিএ) শুধু ক্যাটারারর্সদের জন্যে নয় বৃটেনে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির কল্যাণে কাজ করছে। এসব সেমিনারের মাধ্যমে আমাদের সমস্যা গুলো সরকারের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে। বিসিএ ইষ্ট অব ইংল্যান্ড রিজিওন ওয়ানের সেক্রেটারী ও কেন্দ্রীয় কমিটির মেম্বারশীপ সেক্রেটারী সাইফুল আলম বলেন ক্যাটারার্স ও কমিউনিটির কল্যানে বিসিএ কাজ করছে।
তিনি বলেন দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। অপারেশন ইন ইমিগ্রেশন এ্যানফোর্সমেন্টের সেন্ট্রেল ডিরেক্টর রিচার্ড কুয়াইন বলেন অবৈধদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে, এজাতীয় সেমিনারের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়বে, তবে বিসিএ যে দাবীগুলো উত্থাপন করেছে এনিয়ে তাদের ক্যাম্পেইন করার অধিকার রয়েছে।
বিসিএ ইষ্ট অব ইংল্যান্ড রিজিওনের অনারারী কনসালটেন্ট জনসন উংয়ের উপস্থাপনায় অনুষ্টিত সেনিারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএ ইষ্ট অব ইংল্যান্ড রিজিওন ওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও বিসিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাটারারর্স নেতা অলি খান, হোম অফিসের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন নর্থ কমান্ড ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর ইডি মন্টুগোমেরী, হোম অফিস প্রেজেন্টেশন প্রিভেনটিং ইল্লিগ্যাল ওয়ার্কিং সম্পর্কে তুলে ধরেন ইষ্ট অব ইংল্যান্ড এর এ্যাসিসটেন্ট ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর লিওনেল গ্যারিক, হোম অফিস প্রেজেন্টটেশন ফরগেরী ওয়ারনেস সম্পর্কে তুলে ধরেন ইষ্ট অব ইংল্যান্ডের চীপ ইমিগ্রেশন অফিসার ডেভিড ভাটলার, ইমিগ্রেশন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ইডি মন্টুগোমেরী ও লিয়ন গ্যারিক।
অনুষ্টানে বাংলাদেশ ক্যাটারারর্স এসোসিয়েশন ইষ্ট অব ইংল্যান্ড রিজিওনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল খালিক চৌধুরী,ফিরুজুল হক, এম আর চৌধুরী, ফয়সল আহমদ, এমদাদুল হক পাভেল, খলিলুর রহমান, নজরুল ইসলাম, মালিক উদ্দিন, শামসুল আলম মাখন, শাহাব উদ্দিন, হুমায়ুন আহমদ, ফরহাদ আহমেদ, মোজাহিদ আলী চৌধুরী, ফায়জুল হক, হেলাল উদ্দিন, হারুনুর রশিদ, হারুন মিয়া, টিপু চৌধুরী, ছুরুক মিয়া, শাহেদ মিয়া, তৌফিক আলী মিনার, বাছিত মিয়া, ছুরত মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে ক্যাটারারর্স ও বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট জনেরা অংশ নেন।
হোম অফিসের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন ইন্সপেক্টর চ্যারী ডালড্রী, ইমিগ্রেশন ইন্সপেক্টর মারটিন ম্যারেল, ইমিগ্রেশন ইন্সপেক্টর রবার্ট টমকিংন, চীফ ইমিগ্রেশন অফিসার ডেইভ ভাটলার, চীফ ইমিগ্রেশন অফিসার জন গ্রীণব্যাংক, চীফ ইমিগ্রেশন অফিসার জেক ডেভিস, চীফ ইমিগ্রেশন অফিসার লিনডা টমসন, ইমিগ্রেশন অফিসার ডমিনিক নিউবারী, ইমিগ্রেশন অফিসার পল টমসন, হোম অফিস প্রেস অফিসার টবি এ্যালিসন, এ ছাড়াও কয়েকজন পুলিশ অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্যাটারারর্স এসোসিয়েশন বৃটেনের বার হাজারেও বেশী রেষ্টুরেন্ট ও টেকওয়ে প্রতিষ্টানের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন। এই সংগঠনটি বৃটেন ও ইউরোপে কারি শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ১৫টি রিজিওনের মাধ্যমে কাজ করছে, এর বাইরে বৃটেন ও ই্উরোপে বাঙ্গালী সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রাখছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ও এই প্রাচীনতম এই সংগঠনটির ভূমিকা প্রশংসনীয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button