মেহেরপুরে গুলিতে জামায়াত নেতা নিহত
মেহেরপুরে গুলিতে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত দুইটার দিকে বামনপাড়া শ্মশান ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন তিনি। তবে পরিবারের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে বিকাল তিনটার দিকে মেহেরপুর ডিবি ও সদর থানা পুলিশ শহরের ইসলামী ব্যাংকের নিচ থেকে তাকে আটক করে। সে মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির হাজী ছমির উদ্দীনের বড় ছেলে।
মেহেরপুরের পুলিশ সুপার একে এম নাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আটকের পর রাত দু’টার দিকে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় যৌথবাহিনী। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচটি ককটেল ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
হরতাল-অবরোধের সময় সড়কের পাশে সরকারি গাছ কাটা, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের উপর হামলাসহ কয়েকটি মামলার আসামি ছিলেন তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এদিকে, নিহত সাইফুলকে এক নজর দেখতে ভোর থেকেই মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের লাশ ঘরের সামনে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। নিহতের স্বজন, দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খিদের অনেকেই লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শোকার্ত পরিবারের দাবি জামায়াতের রাজনীতি করায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা বলেন, এলাকার কেউ তারিকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলতে পারবে না। সব সময় হাসি খুশি ও পরের উপকার নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। তাকে কেন হত্যা করা হলো? নিহতের মা-বাবাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। সেখানেও শোকের মাতম চলছে বলে জানা গেছে।