অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। সোমবার কুয়ালালামপুরের পাছার সিনি, চায়না টাউন, কোতারায়া মাইডিন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে অন্তত: ২শ জন অবৈধ অভিবাসীদের অটক করেছে পুলিশ। মূহুর্তের মধ্যে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে দিকবিদিক ছুটাছুটি করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান পথচারীরা। এ অভিযান শুরু হওয়াতে প্রবাসীরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার থেকে আগামি মাসের (ফেব্রুয়ারির) ৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে এ অভিযান।
শংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দিন দিন অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিল্প-কারখানা বৃদ্ধির ফলে বিদেশি শ্রমিক নিতে চাইছে দেশটি। তবে মালয়েশিয়া বর্তমানে তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ায় অবৈধ অভিবাসী ধরতে অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানে শুধু শ্রমিকদের বিপদই নয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিপদের সংকেত দেওয়া হয়েছে মালিকদেরও। মন্ত্রণালয় থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনো কোম্পানি যেন অবৈধ শ্রমিক অথবা অন্য কোম্পানির শ্রমিক ব্যবহার না করে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট কাগজের কার্যক্ষমতা শেষ হচ্ছে আজ থেকে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের কাগজ দেখিয়ে অথবা প্রতারণার অজুহাতে আর গ্রেপ্তার এড়ানো যাবে না। কোনো মালিক অবৈধ শ্রমিক নিয়োগ দিলে স্থানীয় আইনে ১০ হাজার মালয় রিঙ্গিত সর্বোচ্চ জরিমানা গুনতে হবে। এতে কপাল পুড়বে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক শ্রমিকের। যারা ইতোমধ্যে স্টুডেন্ট, ট্যুরিস্টসহ বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় মালয়েশিয়ায় গিয়ে অবৈধভাবে কাজ করছেন তারাও এর আওতায় পড়বে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে মালয়েশিয়ার আইনে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য জেল, জরিমানা ও বেত্রাঘাত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে সাগর পথে আসা যেসব শ্রমিকের কোনো কাগজ-পত্র ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেই সেসব শ্রমিককে বেত্রাঘাতের মতো কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। তবে যারা বৈধভাবে এসে বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়েছে তাদের জন্য এই শাস্তি প্রযোজ্য নয়।
আটকের ব্যাপারে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে যোগাযোগ করা হলে কমিশন কর্তারা বলেন, আটকের কোন খবর এখনও পাননি তারা।