যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে মানুষ হত্যা চলছে : খালেদা জিয়া
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সারা দেশে হত্যা, খুন গুম চলছে এসবের সাথে আওয়ামীলীগ জড়িত। যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে আজ মানুষ হত্যা চলছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন এ সরকার জনগনের নয় বলেই আজ নিজের দেশের মানুষের ওপর এভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে। সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশে তিনি একথা বলেন।
বেগম জিয়া বলেন, এ সরকার ভোটে নয়, অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় আছে। তিনি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবী জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে সংসদে কোন এমপি নেই। এরা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়নি ফলে এরা জনগনের প্রতিনিধি হতে পারে না।
তিনি বলেন, এ সরকারের সময় ব্যাংক ও শেয়ার বাজার ও লুট হয়েছে। তাই এ দুর্ণিতিবাজ সরকারকে না সরালে দেশের কোন উন্নতি হবে না। তিনি বলেন, এ সরকার সবচেয়ে বেশী দেশের জনগণকে ভয় পায়। কারণ গত ২৯ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস ছিল। সেদিন আমরা রোড ফর ডেমোক্রেসি ডেকেছিলাম। কিন্তু সেই কর্মসূচীর দুইদিন আগেই আমাদের বন্দী করেছে। সব কিছু বন্ধ করে দেশ অচল করেছে। তারা যদি জনগনের সরকার হতো তাহলে এসব কর্মসূচীতে বাধা দিতে পারতো না। তিনি বলেন এ সরকার সবচেয়ে দুর্বল ও জন বিচ্ছিন্ন ও অবৈধ সরকার।
খালেদা বলেন, দেশের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সরকার মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এবার তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে লুটপাট করার জন্য। ইনকিলাব কেন বন্ধ প্রশ্ন করে খালেদা বলেন, এর কারণ মানুষ জানতে চায়। ইনকিলাব কি রিপোর্ট ছেপেছিলো তা আগেই ফেইসবুকে চলে এসেছে। তা সঠিক না হলে সরকার কারণ ব্যখ্যা করতে পারতো।
তিনি বলেন এ সরকার আজীবন ক্ষমতায় টিকতে পারবেনা। কারণ সারা বিশ্ব এ গ্রহণ করেনি।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলায় সরকারী দলের লোকজন জড়িত। তারা হিন্দুদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করছে। হামলার সময় সরকার সমর্থকদের আটকের পর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তাদের বিচার হচ্ছে না। অথচ বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের আটক করে তাদের হত্যা ও গুম করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যৌথ বাহিনী কারা, এর অভিযানের সাথে কারা জড়িত তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। সমাবেশে এখনো বক্তব্য রাখছেন তিনি।