সহিংসতায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী
সহিংসতায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশের মানুষের উন্নয়ন চাই। দেশের কল্যাণ চাই। সহিংসতা, বৃক্ষ কাটায় জড়িতদের একজনকেও ছাড় দেয়া হবে না। যারা সাতক্ষীরা রক্তাক্ত করেছে তাদের রেহাই নেই। সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেবার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রী নির্বাচনে না এসে ভুল করেছেন, তার খেসারত তাকেই দিতে হবে।
তিনি বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচনে আসলেন না। ঘোষণা দিয়েও নির্বাচন ঠেকাতে পারলেন না। উনি অশান্তির আগুনে পুড়ছেন। জনগণকেও অশান্তির আগুনে পোড়াচ্ছেন।
সংখ্যালঘুদের উপর হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশে যদি হিন্দুদেরকে সংখ্যালঘু বলে হামলা করেন, তাহলে ইন্ডিয়াতেও মুসলমানরা সংখ্যালঘু। দেশের মধ্যে জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাস মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
জীবনে চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি আমার পিতার মতো আমাকেও জীবন দিতে হয়, তাহলে তার জন্যও আমি প্রস্তুত। আমার একটাই চাওয়া- বাংলার দু:খী মানুষদের মুখে হাসি ফোটানো।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমার ছেলে মেয়েদের বলে দিয়েছি, আমি তোমাদের কিছু দিতে পারবো না- শুধু শিক্ষা ছাড়া।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা শুরু করেছি। বিএনপি নেত্রী তাদের বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। তাদের রক্ষা করতে বিএনপি দেশে অশান্তি চালাচ্ছে, মানুষ খুন করছে। এমনকি এই সাতক্ষীরাকেও রক্তাক্ত করেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর সাধ্য বিএনপি নেত্রীর নেই বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা দেশের শান্তি চাই। একটা এলাকায় শান্তি ছাড়া, গণতন্ত্র ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয় না। খালেদা জিয়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন চান না।
নিজেদের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি উল্লেখ করে সাতক্ষীরার জনগণকে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা নিজেরা নিজেদের শক্তি সঞ্চয় করুন। আমরা আপনাদের পাশে আছি।
সাতক্ষীরায় হামলার শিকার সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যাদের ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে আমরা তাদের সে ঘরবাড়ি ঠিক করে দেব। ইতোমধ্যেই আমরা বিজিবিকে সেই নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া তাদের সাহায্য করাও হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনীয়ার শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে লক্ষ জনতার এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী মোঃ নাসিম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মৎস্য ও প্রানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদ সদস্য ডা. আফম রুহুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, এমপি বিএম মোজাম্মেল হক, এমপি পঙ্কজ দেবনাথ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এসএম কামাল, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের এমপি মীর মোশতাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি এ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি জগলুল হায়দর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভঅপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, নারীনেত্রী রিফাত আমিন, সাইফুল করিম সাবু শাহাদাত হোসেন, মারুফ হাসান মিঠু, আসাদুজ্জামান আসাদ, মনোরঞ্জন মুখার্জী, এসএম শওকত হোসেন প্রমুখ আওয়ামী লীগ নেতা ।