ব্রিটেনের ব্যারাকে ভায়াগ্রা চুরির হিড়িক
ব্রিটেনের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে এ যাবত বৃটেনের সামরিক বাহিনীর মজুদ থেকে প্রায় ৬ হাজার পাউন্ড মূল্যমানের ভায়াগ্রা (যৌনশক্তি বর্ধক মাদক) চুরি হয়েছে। এছাড়াও চুরি হয়েছে আরও ব্যাপক অর্থমূল্যের নানা সামরিক উপকরণ।
সামরিক বাহিনীর মজুদ থেকে চুরি হওয়া দ্রব্যের মোট মূল্যমান ৭০ লাখ পাউন্ড। এর মধ্যে ভায়াগ্রা ছাড়াও রয়েছে ১০০ বেয়োনেট, হাজার হাজার রাউন্ড গুলি, টেলিভিশন, কারাওকে ও শিল্পকেন্দ্রে ব্যবহার্য ওয়াশিং মেশিন। আরও রয়েছে নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের যন্ত্রাংশ, ৭ হাজার পাউন্ড মূল্যমানের ছোরা ও ২৫ হাজার পাউন্ডের শিরোস্ত্রাণ। ছোরা ও শিরোস্ত্রাণ চুরি হয়েছে যথাক্রমে এডিনবার্গের রেডফোর্ড ব্যারাক ও নাইটসব্রিজের ব্যারাক থেকে।
বৃটেনের রক্ষণশীল পার্লামেন্ট সদস্য নিক ডি বোইস-এর লিখিত একটি সংসদীয় প্রশ্নের জবাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড. এন্ডু মারিসন টাইম পত্রিকায় দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভবিষ্যতে এ ধরনের চুরি ও প্রতারণা ঠেকাতে আরও কঠোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
২০০৯-১০ সালে চুরি হয়ে যাওয়া সামরিক উপকরণের মূল্যমান ছিল ২০ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড। ২০১২-১৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ লাখ ১৬ হাজার পাউন্ডে। শুধু ২০১৩ সালেই চুরি হয়েছে ৫ লাখ ৭২ হাজার পাউণ্ড মূল্যের সামরিক উপকরণ।
উল্লেখ্য এর আগে সেনাবাহিনীর একজন অফিসার সার্জেন্ট মেজর স্টিভেন ব্যারেট প্রায় সাড়ে ১১ লাখ পাউণ্ডের নাইট ভিশন গগলস ওয়েব-বাজার ই-বেতে বিক্রি করে দেয়ার প্রাক্কালে ধরা পড়ে যান। বিচারে ২০ মাসের কারাদণ্ড হয় তার।
সামরিক বাহিনীর মজুদে ভায়াগ্রার উপস্থিতি সম্পর্কে সাফাই গেয়েছে বৃটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী যৌনশক্তি বর্ধক এ মাদক যুদ্ধকালে নিম্নরক্তচাপ ও উচ্চতার কারণে সৃষ্ট অসুস্থতা দূর করতে করতে ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলা ব্যাঘ্র শব্দটি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত এ মাদকের নামকরণ হয়েছে ভায়াগ্রা।