ঈমান আকিদা ধ্বংস করার দেশি-বিদেশি অপতত্রতা চলছে : আহমদ শফী
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমির ও হাটহাজারী জামেয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলামের প্রধান পরিচালক হাদিস বিশারদ আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, দেশ, জাতি ও ইসলামের এই চরম দুঃসময়ে দেশের আলেম-ওলামা থেকে শুরু করে কারও চুপ করে বসে থাকার সুযোগ নেই। এই অবস্থায় দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতাসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ইসলামবিদ্বেষী শক্তির অপতত্পরতা রোধ, সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাসের নীতি পুনঃস্থাপন, রাসুল (সা.) ও ইসলামের প্রতি কটূক্তিকারী নাস্তিক মুরতাদদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাসসহ হেফাজতের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে না পারলে এদেশে ঈমান ইসলাম নিয়ে বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। আল্লামা শফী বলেন, দেশকে ইসলামশূন্য করা এবং দেশের মানুষের ঈমান আকিদা ধ্বংস করার দেশি-বিদেশি অপতত্রতা চলছে।
তিনি মনে করেন, মূলত আওয়ামী লীগ সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনের পাশাপাশি দেশের সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা বাদ দিয়ে তদস্থলে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি যুক্ত করে দেশকে ধর্মহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার পথ তৈরি করেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের ৯০ ভাগ মানুষের জন্য ঈমানী সঙ্কট তৈরি করেছে তারা। এর ফলে দেশে নাস্তিক-মুরতাদদের তত্পরতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। তারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ঈমান-আকিদার ওপর আঘাত হানছে। প্রিয় রাসুল (সা.) ও কোরআন-হাদিস সম্পর্কে অব্যাহতভাবে কটূক্তি করছে।
তিনি বলেন, নাস্তিকদের নেতৃত্বে শাহবাগে গড়ে উঠা কথিত ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ থেকে ইসলামবিদ্বেষী নানা দাবি ছাড়াও হিংসা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে সমাজকে কলুষিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত আছে। আমরা শাহবাগে ইসলামের প্রতীক দাড়ি-টুপী, পাঞ্জাবির প্রতি অবমাননা করতে দেখেছি। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার মতো অনৈতিক ও ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ চলতে দেখেছি। আমরা বর্তমান সরকারকে এই ইসলাম বিদ্বেষীদের কাজে সহায়তা করতে দেখেছি।
আল্লামা শফী জাতির উদ্দেশে বলেন, ১৩ দফা ঈমানি দাবিতে হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে যখন রাজধানীর শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি চলছিল, তখন সরকার রাতের আঁধারে ঘুমন্ত আলেম-ওলামাদের ওপর ইতিহাসের বর্বরতম এক গণহত্যা চালিয়েছে। সরকার তারপর থেকে মূলত হেফাজতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে হেফাজতকেও স্বাভাবিক কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। আলেম-ওলামাদের গ্রেফতার হয়রানি করা ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে কুত্সা রটনার মতো কাজও করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম দেশ-জাতির সঙ্কট উত্তরণে এবং ১৩ দফা দাবিতে শাপলা চত্বরে গত ২৪ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ করতে চাইলে সরকার করতে দেয়নি। সরকার ওলামা-মাশায়েখদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারও চালাচ্ছে। ওলামা-মাশায়েখের সঙ্গে তথাকথিত জঙ্গিবাদকে সম্পর্কিত করে অপপ্রচার চালাতেও আমরা দেখেছি। সরকার ঐতিহ্যবাহী কওমি শিক্ষাকে ধ্বংস করার জন্য ‘কওমি কর্তৃপক্ষ আইন’ নামে একটি আইন পাসেরও উদ্যোগ নিয়েছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল কওমি মাদরাসাগুলোকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেয়া। আমাদের প্রতিবাদের মুখে সেটা থেকে কিছুটা পিছু হটলেও সরকার সেটা থেকে সরে আসেনি।
তিনি মনে করেন, এদেশের আলেম-ওলামা ইসলামপন্থীদের ওপর সরকার নানাভাবে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্যও সরকার নানা তত্পরতা চালাচ্ছে। সব মিলিয়ে আমরা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান দেখতে পাচ্ছি। যা একটি মুসলিম দেশের সরকারের কাছ থেকে মোটেও কাম্য ছিল না।
তিনি হেফাজতে ইসলাম কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত শানে রেসালত (রাসুলের সা. মর্যাদা) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস সংবিধানে পুনঃস্থাপনসহ যে ১৩ দফা দাবি পেশ করেছে তা ঈমানি দাবি। এই দাবি এদেশের ৯০ ভাগ মানুষের দাবি। এই দাবিতে আলেমরা রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছেন। জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তিনি আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতার ওপর জুলুম-নির্যাতন, গ্রেফতার-হয়রানি বন্ধ করারও দাবি জানান।
রেসালতের এই সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব ও কারা নির্যাতিত আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, বর্তমান জালিম ও অবৈধ সরকার প্রতিদিন নিরীহ মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করছে, বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। হামলা, মামলা ও দমন-পীড়ন চালিয়ে দেশকে এক ত্রাসের রাজত্বে পরিণত করেছে।
তিনি মনে করেন, এই সরকারের জুলুম আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশ এতো ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে আর পড়েনি।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, এই জালিম শাহীর পতনের আন্দোলনের সংগ্রামে শরিক হওয়া প্রতিটি মানুষের অপরিহার্য কর্তব্য। এই আন্দোলন এখন মানুষকে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং নিরাপত্তা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল হতে হবে। অন্যথায় ভারতীয় আধিপত্যবাদের ক্রীড়নক এই সরকার দেশকে ধ্বংসের অতলে নিয়ে যাবে।
তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ইসলামবিদ্বেষী এই জালিম সরকার অন্যায়ভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, তবে প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়ে জালিম শাহীর পতন ঘণ্টা বাজাতে হবে।
সম্মেলনে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, এই সরকার সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অন্যায়ভাবে বাক-স্বাধীনতাসহ জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। জোর-জুলুম ও অন্যায়ভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অপচেষ্টাসহ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবেও কোনো প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, একদিকে সরকার ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদীদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ওলামা-মাশায়েখদের ওয়াজ-মাহফিল, তাফসির মাহফিল ও ইসলামী সম্মেলন করতে দিচ্ছে না।
একটি বৃহত্ মুসলিম অধ্যুষিত দেশের নাগরিকরা পবিত্র কোরআন-হাদিস ও ইসলামের বাণী প্রচার করতে সরকারিভাবে বাধাগ্রস্ত হবেন, এটা কল্পনাও করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তরুণ এই ইসলামী নেতা।
কক্সবাজার জেলা ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এই রেসালত সম্মেলনে চূড়ান্ত পর্বে সভাপতিত্ব করেন অরাজনৈতিক এই সংগঠনটির কক্সবাজার জেলা শাখা আমির মাওলানা আবুল হাসান। এছাড়াও শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলনের প্রথম ৪টি পর্বে সভাপতিত্ব করেন পিএমখালী নুরুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা শেখ সোলাইমান, উখিয়া ইনানী মঈনুল ইসলাম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা ইদ্রিস, চকরিয়ার বরইতলী ফইজুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা সোহাইব নোমানী ও রাজারকুল আলিমুল মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আমান উল্লাহ সিকদার।
দীর্ঘদিন বিরতি দেয়ার পর অরাজনৈতিকভাবে গড়ে উঠা ইসলামি এই সংগঠনটি কক্সবাজার জেলায় প্রথমবারের মতো বিশাল এই শানে রেসালত সম্মেলনের আয়োজন করে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও সকাল থেকেই কক্সবাজার স্টেডিয়াম সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে দলে দলে আসতে থাকেন হেফাজতে ইসলামে নেতাকর্মী-সমর্থকের পাশাপাশি সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বিকাল না গড়াতেই বিশাল প্যান্ডেল পেরিয়ে মানুষের সমাগম ঘটে যায় পুরো মাঠে। সন্ধ্যার পর থেকে ঈদগাহ মাঠ যেন হয়ে পড়ে আল্লাহ ও রাসুল (স.) প্রেমিক কিশোর, তরুণ ও যুবা-বয়োবৃদ্ধ মানুষের টুপি ও পাগড়িপরা হাজার হাজার মানুষের মাথা আর মাথা।
ঢাকার মতিঝিলের ঐতিহাসিক লংমার্চের পর কোনো জেলা শহরে এটা ছিল সবচেয়ে বিশাল জনসমাবেশ হেফাজতে ইসলামের। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় আমির আল্লামা আহমদ শফী ও মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী যাতে কক্সবাজার আসতে না পারেন, প্রশাসনিকভাবে সেই ব্যবস্থায় চলছিল। ঢাকা ও চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সদস্যরা চট্টগ্রামের হাটহাজারী জামেয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের বারবারই জানান, সংগঠনটির আমির ও মহাসচিব যেন কক্সবাজার যাত্রার চেষ্টা না করেন! তাদের কক্সবাজার যাত্রায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ নেই!
হেফাজতে ইসলামের কক্সবাজার জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াসিন হাবিব জানান, তারা জুমার নামাজের আগে আগে নিশ্চিত হন, কেন্দ্রীয় আমির ও মহাসচিব কক্সবাজার আসার অনুমতি পেয়েছেন। তিনি জানান, জুমার নামাজের পরপরই আল্লামা শফী হুজুরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
হেফাজতে ইসলাম কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইয়াসিন হাবিব, হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর ও মাওলানা মোহাম্মদ সুহাইলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিশাল এই ইসলামি সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মাদরাসার মুফতি ও মোহাদ্দিস আল্লামা মুফতি মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম জামেয়া হাইলধর মাদরাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা আবদুল মালেক হালিম, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী শাখার যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, চট্টগ্রাম জামেয়া মোজাহেরুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ লোকমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আনাস মাদানী ও মাওলানা কারি জহিরুল হক।
রাসুলের (সা.) শানে তকরির করেন রামু জোয়ারিয়ানালা মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা হাফেজ আবদুল হক, চকরিয়া বরইতলী মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মোস্তফা নূরী, সাতকানিয়া ওবাইদিয়া মাদরাসার সহকারী পরিচালক ও মুহাদ্দিস মাওলানা হাফেজ জসিম উদ্দিন মিছবাহ, কক্সবাজার বদর মোকাম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফেজ নুরুল কাদের, কক্সবাজার রহমানিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা কলিম উল্লাহ, উখিয়ার মাওলানা রফিক উল্লাহ।
আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও কক্সবাজার জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুফতি এনামুল হক, সহ-সভাপতি হাফেজ সালামত উল্লাহ, মাওলানা নুরুল আলম আল মামুন, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা আবদুল মান্নান, মাওলানা হাফেজ মুবিনুল হক, মাওলানা নুরুল কবির হিলালী, টেকনাফ হ্নীলা জামেয়া দারুস সুন্নাহর পরিচালক মাওলানা আফসার উদ্দিন চৌধুরী, হেফাজতে ইসলাম মহেশখালী শাখা সম্পাদক মাওলানা জামালুল আনোয়ার, মাওলানা আবদুচ্ছালাম কুদছী, মাওলানা মনজুরে ইলাহী, মাওলানা সায়েম হোসেন চৌধুরী, রহমানিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা নাজির হোসেন, রাজারকুল মাদরাসার নির্বাহী পরিচালক মাওলানা মুহসিন শরীফ, চকরিয়া চিরিঙ্গা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনোয়ার, রামু মোজাহেরুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মোহাম্মদ হারুন, এরশাদুল হক আরমান, নুরুল হক চকোরি, মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, মাওলানা শওকত ওসমান কুতুবী, শহিদ উল্লাহ নাঈম, কারি শফিউল্লাহ, মাওলানা কারি আজিজুল হক, এনামুল হক কুতুবী, মুফতি এমদাদ উল্লাহ, মাওলানা হাফেজ আলী হায়দার প্রমুখ। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা কারি শফি উল্লাহ।
উল্লেখ্য, বিপুল সংখ্যক বিজিবি ও পুলিশের নিরাপত্তায় এই রেসালত সম্মেলন শেষ করা হয়।