সাতক্ষীরায় শিবির সেক্রেটারিসহ নিহত ২
সাতক্ষীরার দেবহাটায় যৌথবাহিনীর হাতে আটকের পর শিবির নেতাসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন উপজেলা শিবির সেক্রেটারি আবুল কালাম (২২) ও শিবিরকর্মী মারুফ হাসান ছোট (২৪)।
নিহত আবুল কালাম দেবহাটার কুলিয়া গ্রামের আকবর আলির ছেলে। তিনি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র। নিহত শিবিরকর্মী মারুফ হাসান একই গ্রামের জামায়াত নেতা আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশের দাবি, কালাম ও মারুফকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে অস্ত্র আছে বলে স্বীকার করে। পরে শনিবার রাতে তাদেরকে নিয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র উদ্ধারের জন্য নারিকেলি এলাকায় গেলে জামায়াত ও শিবিরকর্মী তাদের ওপর গুলি বর্ষন ছাড়াও বোমা ছুড়ে মারতে থাকে। এ সময় যৌথ বাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে আবুল কালাম ও মারুফ গুলিবিদ্ধ হন। তাদেরকে প্রথমে দেবহাটার সখিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে সাতক্ষীরা হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, তারা দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান হত্যা মামলার আসামি। দেবহাটা থানায় আবুল কালামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নাশকতা, পুলিশের ওপর হামলা ও খুনসহ ১০টি ও মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে নয়টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ আরো জানায়, ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপগান ও পাঁচটি বোমাসহ পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে নিহতদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, তাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে দেবহাটা থানায় রাখা হয়। পরে নারিকেলি এলাকায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই এলাকায় বন্দুকযুদ্ধ কিংবা বোমা বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তবে দেবহাটা থানার ওসি তারক বিশ্বাস এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।