আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বেলা ১২টা ৫৫মিনিটে শুরু হয় আখেরি মোনাজাত।মোনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লির মাওলানা যুবায়েরুল হাসান।
মোনাজাত চলাকালে আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। ২০ মিনিটের মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি, ও কল্যাণ কামনা করা হয়। গুনাহ মাফ ও আত্মশুদ্ধির জন্য ফরিয়াদ জানানো হয় মহান আল্লাহর দরবারে। মোনাজাতে অংশ নেন লাখ লাখ মুসল্লি।
মোনাজাত শুরুর আগেই ইজতেমা ময়দানের আশপাশের রাস্তা পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে চেরাগ আলী থেকে বিমানবন্দর এলাকায় রাস্তায় ছিল মানুষ আর মানুষ। যে যেখানে সুযোগ পেয়েছেন সেখানে বসেই মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।
ইজতেমা ময়দানের মূল প্যান্ডেলের পাশে বসে মোনাজাতে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
এটলাস ভবনের ছাদে তৈরি করা প্যান্ডেলে বসে মোনাজাতে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার দিবাগত রাত থেকে ঢাকা ও আশাপাশের জেলার লোকজন ময়দানে আসতে থাকেন। সকালেই ইজতেমা ময়দানের মূল প্যান্ডেল মুসল্লিতে কানায় কানায় ভরে যায়।
সকালের পর আসা লোকজন আশপাশের রাস্তায়, ভবনের ছাদে, রেল স্টেশনে, নদীতে রাখা নৌকায় অবস্থান নেন। তারা যার যার অবস্থানে বসে মোনাজাতে অংশ নেন।
মোনাজাত শুরুর আগে ইজতেমার জনসমুদ্রের ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে কয়েক বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত প্রচারের জন্য গণ যোগাযোগ অধিদপ্তর ও গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। ইজতেমা ময়দান থেকে আব্দুল্লাহপুর ও বিমানবন্দর রোড পর্যন্ত এবং চেরাগআলী, টঙ্গী রেল স্টেশন, স্টেশন রোড ও আশপাশের অলিগলিতে মাইক সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে রেডিও টেলিভিশনে মোনাজাত সরাসরি সম্প্রচার করায় সারা দেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ মোনাজাতে অংশ নেন। অনেকে ইজতেমা ময়দান থেকে মোবাইল ফোন সংযোগের মাধ্যমে স্বজনদের মোনাজাতে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেন।