সিলেটে শিবির-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, অর্ধশত গাড়ি ভাঙচুর

Sylhetএক শিবির নেতাকে মারধর ও মোটর বাইকে অগ্নি সংযোগকে কেন্দ্র করে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ছাত্রশিবির, ছাত্রলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এ সময় গোটা বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে ১ শিবির নেতা গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়।   বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বাসসহ অন্তত পক্ষে অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রায় অর্ধশত রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।
জানা যায়, ছাত্রশিবিরের ক্যাম্পাস সভাপতি নাসিম একাডেমিক ভবন ই থেকে ক্লাস শেষ করে বের হলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে মারধর করে তার মোটর বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়।  পরে নাসিম হাসান কোনক্রমে পালিয়ে আসেন।
এ খবর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা শুনার পর তারা একত্রিত হয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে ছাত্রলীগ নেতারা গোলচত্তরে অস্থায়ী পুলিশি ক্যাম্পে পুলিশের সাথে অবস্থান করে শিবির কর্মীদের প্রতিহত করতে থাকে।  এ সময় ছাত্রশিবির কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ প্রায় অর্ধশতাধিক ফাঁকা গুলি করে। পুলিশের  গুলিতে একজন  শিবির নেতা আহত হলে ছাত্রশিবির আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বাস, শিক্ষকদের ব্যাক্তিগত কারসহ অন্তত পক্ষে অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর করে। পরে পুলিশ  র‌্যাব শক্তি বৃদ্ধি করে রায়টকার সহ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে ছাত্রশিবির পিছু হটে।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি হোসাইন আহমদ বলেন, ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের কয়েকজনকে মারধর করে, মোটর বাইকে  আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের প্রতিহত করে।
ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অঞ্জন রায় বলেন, একজন আসামীকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুলিশে ধরিয়ে দিতে চাইলে আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শিবিরকর্মীরা ক্যাম্পাসে ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হিমাদ্রী শেখর রায় বলেন, হঠাৎ করে ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য ক্যাম্পাসে তান্ডব চালায়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button