শিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারীসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) শিবির কর্মীদের সাথে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ, বেশ কয়েকটি গাড়ি ও ভবনে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হোসাইন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক এহসানুল করিমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া, জালালাবাদ থানার এস আই আবুল কালাম শিবিরের ৬৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ৭০/৮০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। জালালাবাদ থানার এসআই আব্দুল হামিদ জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রোববার ভোরে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবি:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট বিভাগ । কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও সিলেট মহানগর শিবিরের সভাপতি আনোয়ারুল ওয়াদুদ টিপু, শাবি শিবিরের সভাপতি হোসাইন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল করিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুজন, সিলেট জেলা পশ্চিম শিবিরের সভাপতি দুলাল আহমদ ও সিলেট জেলা পূর্বের সভাপতি হাবিবুলাহ দস্তগীর এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, রোববার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের এক নেতা একাডেমিক ভবন-ই থেকে কাস শেষে ফেরার পথে ওঁৎ পেতে থাকা ছাত্রলীগের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী উত্তম কুমার দাস, অঞ্জন রায়সহ ১০/১২ ছাত্রলীগ ক্যাডার অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়ে তার উপর হামলা চালায়। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটর বাইক পুড়িয়ে ফেলে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। তারা অবিলম্বে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সকল সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে তিপূরণসহ আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে শিার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িত দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া না হলে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সিলেট অচল করে দেয়া হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।