মুরাদনগরে বিএনপির ৬শ’ নেতাকর্মীর জামিন লাভ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় হরতালে নাশকতা, বিস্ফোরক দ্রব্য, পুলিশের উপর হামলা ও পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা চারটি পৃথক মামলায় উপজেলা বিএনপির ৬শ’ জন নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহম্মেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোটের বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করে। আবেদনের পক্ষে মামলা শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিকুল হক।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ অক্টোবর নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কের ধনপতিকলা এলাকায় হরতাল সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। অপর তিনটি মামলা গত বছরের ১৩ নভেম্বরে বুধবার বিকালে ১৮ দলীয় জোটের হরতাল সমর্থনের মিছিল বের করলে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সেখানে কয়েকশ’ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় মুরাদনগর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ২০৬ জনের নাম উল্লেখসহ বহুসংখ্যক অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এছাড়া অরো কিছু মামলায় বুধবার মামলায় অভিযুক্ত কুমিল্লা (উত্তর) জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া সরকার, উত্তর জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. আমিরুল ইসলাম, উত্তর জেলা ছাত্রদল সভাপতি চৌধুরী রকিবুল হক শিপন, উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মজিবুল হক, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন ভূইয়া, বিএনপি নেতা সৈয়দ শরিফ মীর, মো. নজরুল ইসলাম, দুলাল দেবনাথ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল শিকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল যুগ্ম-আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মো. নায়েব আলী, সহ-সভাপতি এমদাদুল আলম সিরাজ, ধামঘর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, মো. বাকিছ মিয়া, উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন মোল্লাসহ বিএনপির ৬শ’ নেতাকর্মী জামিনের আবেদন চেয়ে উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহম্মেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোটের বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।