ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রকাশনা ‘হুজহু’ এখন বিমানে
ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির সাফল্য গাঁথার উদাহরণ এখন অনেক। শিক্ষা, চিকিৎসা, আইন, রাজনীতি, ব্যবসা, বাণিজ্য, মিডিয়া সহ সকল ক্ষেত্রেই এখানকার কমিউনিটিতে বাংলাদেশীদের শিকড় অনেক গভীর প্রোতিত হয়েছে। ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির অন্যতম গণমাধ্যম বাংলা মিরর গ্রুপ দীর্ঘ ছয় বছর ধরে হুজহু প্রকাশনা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতি বছর তারা কমিউনিটির সফল ব্যক্তিদের জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রকাশ করছে ‘হুজহু’ নামে একটি বিশেষ প্রকাশনা। যাতে সকলদের সাফল্যের কথা ও জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছার সংগ্রাম নিয়ে রয়েছে নতুন প্রজন্মের জন্য আলোকিত নির্দেশনা। ২০০৮ সালে থেকে শুরু হওয়া ‘হুজহু’ এর এই আয়োজনে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কৃতিত্বের জন্য প্রতি বছর বেশ কয়েকজনকে দেওয়া হয় ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশী হুজহু’ সম্মাননা এ্যাওয়ার্ড।
ব্রিটেনের বাংলা কমিউনিটির একমাত্র ইংরেজী সাপ্তাহিক বাংলা মিরর এর সম্পাদক আব্দুল করিম গণির পুত্র তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার শাহাদাত করিম এর সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘হুজহু’ তাদের সাফল্যের অন্যতম স্বীকৃতি লাভ করলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর কাছ থেকে।
গত ২৭ জানুয়ারী সোমবার লন্ডনের বিখ্যাত ক্যানারী ওয়ার্ফের ডাইরেক্টর বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের লন্ডন-ঢাকা-সিলেট এর আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইটে ‘হুজহু’ এর অনন্য প্রকাশনাটি অন্তর্ভূক্তির কথা জানান ‘হুজহু’ এর সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহাদাত করিম।
তিনি বলেন, এখন থেকে বিমানের যাত্রীরা তাদের ভ্রমণকালীন সময় ‘হুজহু’ প্রকাশনাটি পড়তে পারবেন।
ব্যারিস্টার শাহাদাত করিম বলেন, আমরা ব্রিটেনের জন্ম এবং বড় হলেও আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের অহংকার করি। বাংলাদেশীদের সাফল্যের কথা আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করে। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন নিজেদের জীবন ও কর্মে সফল মানুষদের অনুসরণ করে সে ধারণা থেকেই আমরা ‘হুজহু’ এর কাজ করছি।
ক্যানারী ওয়ার্ফ গ্রুপের হেড অব কমিউনিটি এ্যাফেয়ার্স জাকির খানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিমানের যুক্তরাজ্য কান্ট্রি ম্যানেজার আতিক রহমান চিশতী বলেন, হুজহু এর সাথে পার্টনারশীপ হওয়ায় সত্যিই গর্বিত। যাত্রীদের পড়ার সুবিধার্থে আমরা সবসময়ই এই প্রকাশনার নতুন সংস্করণ বিমানে রাখবো। এই প্রকাশনার মাধ্যমে শুধুমাত্র বাংলাদেশীরাই নয়, বিদেশীরাও বৃটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির সফলতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বৃটিশ বাংলাদেশী হুজহু যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশীদের বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান ও উৎকর্ষের বিবরণ নিয়ে প্রকাশিত হয় প্রতিবছর। গত বারের প্রকাশনায় সংযুক্তি হয়েছে নতুন নতুন প্রতিভা ও সফলতার কথা। নতুনত্ব সমৃদ্ধ করেছে এ প্রকাশনাকে। বৃটিশ-বাংলাদেশীদের তৃতীয় প্রজন্ম যুক্ত হয়ে হুজহু কলেবরে বৃদ্ধি পেয়েছে, আঙ্গিকেও শোভিত হয়েছে নতুনদের অবদানে।
হুজহু-র সফলতা পুরনো ও নতুনের সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে এসেছে। ছয় বছর আগে বৃটিশ-বাংলাদেশীদের হুজহু যাত্রা শুরু করেছিলো কমিউনিটির গুণীজনদের উল্লে¬খযোগ্য অবদানের কথা লিপিবদ্ধ করে তাদের স্মরণীয় করে রাখা এবং পুরস্কৃত করার জন্য। হুজহু বিশ্বস্ততার সাথে সে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
বৃটিশ বাংলাদেশী হুজহু-র প্রধান সম্পাদক আব্দুল করিম গনি বলেন, এই প্রকাশনা আমাদের কমিউনিটির নবীনদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা জুগিয়ে আসছে। বৃটিশ বাংলাদেশী হুজহু-র প্রকাশনায় নবীনদের কথা রয়েছে। ভবিষ্যতে নবীনদের অবদান সুন্দরভাবে সংযোজিত হবে। বিমানের সাথে পার্টনারশীপ হওয়ায় এই প্রকাশনা আরো একধাপ এগিয়ে গেল।
বাংলাদেশ বিমান এবারেই প্রথম বারের মতো বেসরকারীভাবে সম্পাদিত প্রকাশনা তাদের যাত্রীদের কাছে পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার আনোয়ার বাবুল মিয়া, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ফারুক আহমেদ, জেএমজি এয়ার কার্গোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমদ, মাহবুব এন্ড কোং এর মাহবুব মোর্শেদ, মিডিয়া লিংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুল ইসলাম, জনমত এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, হিলসাইড ট্রাভেলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল খান, কাউন্সিলর আতিকুল হক, হাফসা ইসলাম, সোহানা আহমেদ, হাসিনা হোসাইন প্রমুখ।