হক্কানি পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরামের সান্নিধ্য ছাড়া প্রকৃত মানুষ তৈরি সম্ভব নয়
চরমোনাই পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সমাজ ও মানবতা যখন পাপাচার ও গোনাহের অন্ধকারে ডুবে যায়, তখনই যুগে যুগে নবী-রাসূলদের পাঠিয়ে আল্লাহ মানুষদের হিদায়ত ও আলোর পথ দেখিয়েছেন। শেষ জামানায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সা:-এর পর আর কোনো নবী আগমন করবেন না। আর তাই মহানবী সা:-এর অবর্তমানে তাঁর পবিত্র দায়িত্ব ও উত্তরসূরির ভূমিকা রাখছেন হক্কানি পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরাম। প্রকৃত মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হলে হক্কানি পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরামের সান্নিধ্য লাভ এবং রাসূল সা: জীবনাদর্শের অনুসরণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ জাম্মুরি মাঠে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরের উদ্বোধনী বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ ও মানুষের স্বভাববান্ধব জীবনব্যবস্থা। ইসলাম রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবেও ন্যায়-ইনসাফ ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সুরা নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে চরমোনাই মাহফিলের ঐতিহ্য অনুসারে এই মাহফিলের প্রথম দিবসে মাগফিরাত, দ্বিতীয় দিন শরিয়ত এবং তৃতীয় দিন আর্ত-সামাজিক বিষয়ে পীর সাহেব চরমোনাইসহ দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম বয়ান পেশ করবেন। এবারের মাহফিলেও মা-বোনদের জন্য পর্দাসহকারে ওয়াজ-নসিহত শোনার জন্য পৃথক বিশাল প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বরেণ্য ওলামায়ে কেরামের মধ্যে বয়ান পেশ করেন, শায়খুল হাদিস আল্লামা শেখ আহমদ, জামিয়া ওবায়দিয়া নানুপুর, হজরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর দারুল উলুম হাটহাজারী, হজরত মাওলানা ছগীর নোমানী, মাওলানা নুরুল করীম বেলালী, হজরত মাওলানা আবদুল্লাহ প্রমুখ।