শরীয়াহ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শরীয়াহ সূচকের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে শরীয়াহ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএসই’র বোর্ড রুমে শরীয়াহ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডিএসই প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স, নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইত্যাদি।
টিটু বলেন, আমরা আজ শরীয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে এ সূচকের বিষয় তুলে ধরেছি। তারা সবকিছু বিবেচনা করে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিরা এ উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ডিএসই’র এ ধরনের উদ্যোগে আমাদের বিনিয়োগের আওতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে শরীয়াহ মোতাবেক বিনিয়োগের শুভ সূচনা হলো।
ডিএসই’র প্রেসিডেন্ট বলেন, এখন থেকে ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলো শরীয়াহ মোতাবেক তাদের পোর্টফোলিও করতে পারবে। ফলে বাজারে আরও এক শ্রেণির নতুন বিনিয়োগকারী আসবেন।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি তারা তাদের কোম্পানির বোর্ড সভায় উত্থাপন করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
ডিএসই সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত ৭০টির বেশি কোম্পানি এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। যেসব বিনিয়োগকারী ইসলামী পন্থায় ব্যবসা বা বিনিয়োগ করতে চান তাদের আকৃষ্ট করতেই এ ইনডেক্স চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শরীয়াহ নিয়মকানুন অনুসরণ করে এ ইনডেক্সের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, যেসব কোম্পানি ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক চলে তাদের শরীয়াহ বর্হিভূত আয় থাকতেই পারে। লভ্যাংশ ঘোষণার পর শরীয়াহ বর্হিভূত আয়ের অংশটুকু (শতাংশ হারে) লভ্যাংশ থেকে বাদ দিয়ে বিনিয়োগকারীরা বাকি লভ্যাংশ গ্রহণ করতে পারেন। আর যে অংশটুকু বাদ দেওয়া হবে তা কোনো চ্যারিটি ফান্ডে দান করে দেওয়া হবে।
বর্তমানে মালয়েশিয়া, জার্মানি, লন্ডন, ভারতসহ বেশ কিছু দেশে শরীয়াহ সূচক চালু রয়েছে।