আটকে পড়া ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা কুকুর-বিড়াল খাচ্ছে
যুদ্ধের মধ্যে আটকে পড়া দামেস্কের ইয়ারমুক শরণার্থী শিবিরের ফিলিস্তিনিরা খাদ্যের অভাবে কুকুর ও বিড়াল খাচ্ছে। এমন তথ্যই জানাল মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় নিউজ মিডিয়া আরব নিউজ।
আরব নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, দামেস্কের ইয়ারমুক শরণার্থী শিবিরে অনেকেই বেশ কিছু বিড়াল ও কুকুর জবাই করে খেয়েছে এবং এমনকি একটি গাধাও জবাই করে খেতে বাধ্য হয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা। সেখানকার একজন অধিবাসী বলেছেন, কয়েক মাস আগেও যা ভাবাই যেত না তা এখন এখানে খুবই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, আমি নিজেও রাস্তায় একটি বিড়াল খুঁজছি যাতে তা জবাই করে খাওয়া যায়।
সিরিয়ায় বসবাস করছে প্রায় ৫ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তাদের বেশিরভাগই বাস করে দক্ষিণ দামেস্কের ইয়ারমুকে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হলে ইয়ারমুক শরণার্থী শিবির সহিংসতার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যšত্ম এই শিবিরে এক লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি শরণার্থী বসবাস করত। কিন্তু আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসা বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে অনেক শরণার্থী এই শিবির ছেড়ে চলে যায়।
এই শিবিরেই অবস্থান নিয়েছে আলকায়দা সমর্থিত বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তারা এই শিবিরকে একটি সামরিক দুর্গে পরিণত করেছে।
ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষ গত ১৪ ই জানুয়ারি জানিয়েছিল, সিরিয়ার সরকার ইয়ারমুকে খাদ্য ও ত্রাণ-সাহায্য পাঠালেও সরকার বিরোধী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেইসব সাহায্যের চালান আটকে দিচ্ছে। গত কয়েক মাসে ইয়ারমুকে অনেক শরণার্থী খাদ্য ও ওষুধের অভাবে মারা গেছে।