মিশরে এবার জুমআর খুতবা ঠিক করবে সরকার
মিশরের বহু মসিজদেই শুক্রবার জুমআর নামাজের খুতবার সময় অভিন্ন একটি বিষয়ের ওপর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে আর এই বিষয়টি নির্ধারণ করে দিয়েছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার। এই উদ্যোগটিকে দেখা হচ্ছে মসজিদে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সরকারের নতুন একটি কৌশল হিসেবে।
মিশরের কর্মকর্তারা বলছেন, মসজিদের ইমামরা যাতে রাজনৈতিক উত্তেজনায় উস্কানি দিতে না পারেন সেজন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা বলছেন, বর্তমান সরকারের সমালোচনা ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা।
জুমআর নামাজের খুতবার সময় বিষয় নির্ধারণ করা হয় জবরদখল আবাসনগুলোর সংস্কার এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সাহায্যের বিষয়গুলো।
মিশরের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে ইমামদের রাজনৈতিক উত্তেজনায় মদত জোগানো বা জাতিগত সংঘাতে উস্কানি দেওয়া প্রতিহত করতেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।
তারা বলছে প্রতি সপ্তাহে তারা খুতবার বিষয়বস্তু নির্বাচন করে দেবেন এবং সারা দেশে সব মসজিদকে এই নির্বাচিত অভিন্ন বিষয়ের ওপরই খুতবা দিতে হবে।
মন্ত্রণালয় বলছে যদি কোনো ইমাম এই সিদ্ধান্ত না মানেন তাহলে তাকে সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
তবে বিরোধীরা এবং সরকারের সমালোচকরা বলছেন গত বছর প্রেসিডেন্ট মোহম্মদ মোরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সেনা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা বন্ধ করতে বা নিষিদ্ধঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থক ইমামদের ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করতেই সরকার কার্যত এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই শুক্রবার জুমআর নামাজের পর মিশরে ব্রাদারহুড সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘাত একটা নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।