জয়ের বক্তব্যের ‘ব্যাখ্যা’ দিল আ. লীগ

Hanifপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ‘আমার কাছে তথ্য আছে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে’বলে যে মন্তব্য করেছেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।তিনি বলেন, জয় বোঝাতে চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মী বাহিনীকে সক্রিয় করা গেলে ভবিষ্যতে দলটি জাতীয় নির্বাচনে জিতে আসবে।
শনিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হানিফ বলেন, ‘জয় বোঝাতে চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের বিশাল কর্মী বাহিনী আছে। এই বাহিনীকে সক্রিয় করে মাঠে নামাতে পারলে এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারলে জনগণ আগামীতে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে।’
গত ২৩ জুলাই যুবলীগের এক ইফতার মাহফিলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন ‘আমার কাছে তথ্য আছে আগামীতে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে’। গতকাল ২৬ জুলাই বিএনপি অভিযোগ করে আগামী নির্বাচন নিয়ে জয়ের বক্তব্য ‘কুটিল চক্রান্তের ইঙ্গিতবাহী’। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানকে জড়িয়ে জয় যে বক্তব্য দিয়েছেন তারও সমালোচনা করে দলটি।
এ দিকে মাহবুব উল আলম হানিফ লন্ডনে এক ইফতার মাহফিরে তারেক রহমানের রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্যারোলের সুযোগ অপব্যবহার করে তারেক রহমান নানাবিধ ষড়যন্ত্রমূলক অপতত্পরতায় লিপ্ত রয়েছেন। তারেক ও কোকো আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। কার বাবা ও মা অতীতে কি ছিলেন সে পরিচয়ে আইনের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই’।
হানিফ বলেন, ‘যুবলীগের ইফতার মাহফিলে শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উপর নির্দেশনামূলক বক্তব্য রেখেছেন। তার বক্তব্যে দেশের বাস্তব প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। অথচ বিএনপি নেতৃবৃন্দ কদর্য মিথ্যাচারে লিপ্ত।’
তিনি বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয় তারেকের অতীত কালিমা লিপ্ত “শতরুপী দুর্নীতি”, রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাচার, হত্যা-সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা, নির্যাতন ও লুণ্ঠনের কিছু অংশ উচ্চারণ করেছেন মাত্র। এতে তেড়ে ফুঁসে ওঠার কোন কারণ নেই।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তারেক-কোকের দুর্নীতির বিচার প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘তাদের বিচার আদালতে চলছে। আদালত স্বাধীন ভাবে কাজ করছে। আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বিচার আদালত শেষ করবে।’
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি (খালেদা) যে নতুন ধারার সরকারের কথা বলেছেন তাতে তিনি স্পষ্ট না করলেও বোঝাতে চেয়েছেন অতীতে তাঁর সরকার পরিচালনা ভুল ছিল। কিন্তু তিনি স্পষ্ট করেননি, তাঁর সময়কার অপরাধের  জন্য তিনি অনুতপ্ত কিনা, ক্ষমা চাইবেন কিনা। জাতি তা জানতে চায়।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button