তারেক রহমানের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : যুক্তরাজ্য বিএনপি

UK BNPবিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক, ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক দুদকের মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। শনিবার যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ প্রতিবাদ জানান।
শনিবার পূর্ব লন্ডনের সোনারগাঁও রেস্টুরেন্টে যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুক্তরাজ্য বিএনপি সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল হামিদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আহমদ আলী, মুজিবুর রহমান মুজিব, আনা এম মিয়া ও গোলাম রব্বানী এবং লন্ডনের সাংবাদিকরা।
কয়ছর এম আহমদ বলেন, ২০০৭ সালে মইন উদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের অবৈধ জরুরি অবস্থার সময় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। আদালতে মামলাটি খারিজ হয়ে যাওয়ার পরও ওই সময়ের তদন্তের ওপর ভিত্তি করে হয়রানিমূলকভাবে ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দুদক নোটিশ প্রদান করে। মামলা নিষ্পত্তির পর নোটিশ প্রদানের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিট করে স্থগিতাদেশ পান। পরে আপিল বিভাগ ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করেন।
আইনত দুদকের নোটিশের কার্যকারিতা ৭ দিন বহাল থাকে। দুদক নতুন করে মামলা করতে চাইলে আইনগতভাবে নতুন করে নোটিশ প্রদান করা প্রয়োজন। কিন্তু নতুনভাবে নোটিশ প্রদান না করে বিশিষ্ট সমাজসেবী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দুদকের নন-সাবমিশন মামলার অনুমোদন অবৈধ। দুদকের মামলায় সত্তরোর্ধ সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু বিস্ময় প্রকাশ করে মামলাটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন।
বিএনপি সাধারণ সম্পাদক বলেন, সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু শুধু দেশনায়ক তারেক রহমানের শাশুড়িই নন, তিনি সাবেক মন্ত্রী এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের সুযোগ্য সহধর্মিণী। ব্যক্তিগতভাবে তিনি একজন শিক্ষানুরাগী, দানশীল, সমাজসেবী ও বিদুষী ব্যক্তিত্ব। তার নিজ উদ্যোগে এতিম ও গরিব ছেলেমেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সুরভী স্কুল থেকে এরই মধ্যে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা করে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। এছাড়া তিনি অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুস্থদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা,
বর্তমান একদলীয় ভোটরবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পরিবারের সদস্যরা এবং মন্ত্রী-এমপিসহ দলীয় নেতারা পদ্মা সেতু, হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ অসংখ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকলেও তা তদন্ত না করে জনসাধারণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর পাশাপাশি তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য, সর্বোপরি সম্প্রসারণবাদ ও আধিপত্যবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মেরুদণ্ডহীন দুদক প্রহসন এবং ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বকে সমাজে হেয় করতে ও অসত্ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাচ্ছে। যা কিনা অসুস্থ মন-মানসিকতা ও মানসিক ভারসাম্যহীনতার পরিচায়ক।
২০০৭ সালে মইনুদ্দিন ও ফখরুদ্দীনের অবৈধ সরকারের সময় তদন্তের ভিত্তিতে দুদক যে নোটিশ প্রদান করেছিল, এরকম নোটিশ শেখ হাসিনাসহ তার অসংখ্য মন্ত্রী, এমপির বিরুদ্ধেও জারি করা হয়েছিল। শেখ হাসিনাসহ তার দলের অনেকের নামে মামলাও করা হয়েছিল। এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলক বলে একতরফাভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রত্যাহার করেছিল। কিন্তু বিরোধীপক্ষের মামলাগুলো প্রত্যাহার না করে দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কয়ছর বলেন, বর্তমান দুদককে দেশের বিজ্ঞজনরা এরই মধ্যে নখ-দন্তহীন বাঘের সঙ্গে অনেক আগেই তুলনা করে একে একটি সরকারের আজ্ঞাবহ মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান বলে আখ্যায়িত করেছেন। বর্তমানে দুদক ছাল-বাকলহীন বিড়ালে পরিণত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতারা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, দানশীল, সমাজসেবী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দুদকের মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। তারা বলেন, অন্যথায় সরকারের আজ্ঞাবহ মেরুদণ্ডহীন দুদক কর্মকর্তাদের দেশের ও প্রবাসের জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন, সহ-সাধারণ সম্পাদক তাহির রায়হান পাভেল, সাদিক মিয়া, হেলাল নাসিমুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দীন সেলিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, রায়হান উদ্দিন দুলাল, আবদুস শহিদ, এসএম লিটন, মাওলানা শামীম, আবুল হাসানাত রিপন, তানভীর আহমেদ, শামীম আহমেদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অঞ্জনা আলম, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মমতাজ খান, যুবদল নেতা মঞ্জুর আশরাফ খান, আবদুল বাছিত বাদশা, আফজল হোসেন, টিপু আহমেদ, এ জে লিমন, আছাব আলী, নুরুল আলী রিপন, শরিফুল ইসলাম, কামাল আহমেদ বাবুল, জাসাস সভাপতি আবদুস সালাম, জাসাস নেত্রী তসলিমা তাজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিসবাহুজ্জামান সোহেল, আক্তার আহমেদ শাহিন ও রফিকুল ইসলাম সজীব, তরুণ দলের অলিউর রহমান চৌধুরী ফাহিম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button