‘তারেক-জয়ের সদিচ্ছা রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে পারে’
সরকারের শেষ সময়ে জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও দলটির চেয়ারপারসনের পুত্র তারেক রহমান ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলে নানামুখী বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।
একদিকে তারেক রহমনোর বক্তব্যকে সময়োপযোগী ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলে দাবি করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
অন্যদিকে দলীয় কোনো পদে না থাকায় জয়ের মন্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত ও অরাজনৈতিক’ হিসেবেই দেখছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দু’জনের সদিচ্ছা ও সমঝোতার মনোভাব থাকলে পরিবর্তন আসতে পারে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে।
প্রসঙ্গত- আওয়ামীলীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে -মঙ্গলবার রাজধানীতে এক ইফতার পার্টিতে এভাবেই জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
পরদিন বুধবার অসুস্থতার কারণে জামিনে থাকা বিরোধী দলীয় নেতার বড় ছেলে তারেক রহমানও লন্ডনে রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে বক্তৃতা করেন। তাদের দু’জনের বক্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
তারেক রহমানের বক্তব্যকে বিএনপি চলমান আন্দোলনের অংশ ভাবলেও, জয়ের বক্তব্যকে দলীয় ভাবতে নারাজ আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেছেন, জয়ের কোনো রাজনৈতিক পদাধিকার নেই। তাই আওয়ামী লীগ সর্ম্পকে সে যে বক্তব্য দিয়েছে তা তার ব্যক্তিগত মতামত।
অন্যদিকে তারেক রহমান দলের একজন হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সর্ম্পকে যা বলেছে সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক।
এছাড়া অতীত ইতিহাস তুলেধরে আওয়ামী লীগ নেতারা বিরোধীতা করছেন তারেক রহমানের বক্তব্যের। বিএনপিও সমালোচনা করছেন জয়ের এই বক্তব্যের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক নূরুল আমীন বলছেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে’, জয়ের এমন বক্তব্যে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থাকে আরো বেশি সন্দেহের চোখে দেখবে। বড় দুটি রাজনৈতিক পরিবারের এই দুজনের সদিচ্ছা ও সমঝোতার মনোভাব থাকলে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।