সাঈদীর আপিলের যুক্তিতর্ক ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মূলতবি
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মূলতবি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজ্জাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ যুক্তিতর্ক মূলতবি করেন। প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি এস কে (সুরেন্দ্র কুমার) সিনহা, বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে যুক্তি উপস্থান করেন তার আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
এ পর্যন্ত মাওলানা সাঈদীর পক্ষের আট দিন যুক্তি উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান।
প্রথম দিন শাহজাহান রাষ্ট্রপরে সাক্ষীদের স্যা মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন।
দ্বিতীয় দিনে মাওলানা সাঈদীর নাম একাত্তরের কোনো বইয়ে রাজাকার হিসেবে নেই এবং তিনি যে পিরোজপুরের একজন কৃতী সন্তান তা আদালতকে বলেছেন।
তৃতীয় দিনে শাহজাহান মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে দেয়া রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া সাক্ষ্যের বৈপরীত্য দেখিয়েছেন।
চতুর্থ দিনে শাহজাহান ছয় নম্বর সাক্ষী মানিক পসারির করা মামলা ও ট্রাইব্যুনালে দেয়া তার সাক্ষ্যের মধ্যে গরমিল দেখিয়েছেন।
পঞ্চম দিনের যুক্তিতে তিনি রাষ্ট্রপরে সপ্তম সাক্ষী মফিজ উদ্দিন পসারীর সাক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করেন।
ছষ্ঠ দিনের যুক্তিতে তিনি ’৭২-এ রাজাকারদের বিরুদ্ধে মাওলানা সাঈদীকে আসামি করা হয়নি তার যুক্তি উপস্থাপন করেন।
সপ্তম দিনের যুক্তিতে আসামিপক্ষ দেখিয়েছেন একাত্তরের ঘটনায় সাক্ষ্য দেয়া ট্রাইব্যুনালের এক সাক্ষীর জন্মই হয়নি।
এসব যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহানকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার তানভীর আল আমিন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এম কে রহমান।