লন্ডনে সিটিজেন মুভমেন্টের সংবাদ সম্মেলন

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ১৮ ফেব্রুয়ারীর বিক্ষোভে অংশ নিন

Pressসিটিজেন মুভমেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে ভারত বাংলাদেশের অভ্যান্তরীণ প্রত্যেকটি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার পাশাপাশি দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আধিপত্য বিস্থারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ১৪ ফেব্রুয়ারী  শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “ভারতের স্বেত সন্ত্রাস, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে নগ্ম হস্তক্ষেপ, সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা বন্ধ, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মান বন্ধ, ফারাক্কাবাদ খুলে দেয়া, তিনবিঘা করিডোর, ছিট মহল, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রদানসহ বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবীতে’’ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার নাগরিক  আন্দোলন ইউকের পক্ষ থেকে আমরা লন্ডনস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সিটিজেন মুভমেন্টের আহবায়ক এম এ মালেক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা মুফতি শাহ সদর উদ্দিন, কমিউনিটি নেতা আমিনুর রহমান আকরাম, সেলিম আহমদ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে এম এ মালেক অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশের স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক স্বদেশী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে একটি বিশেষ গোষ্টির কাছে নাানভাবে জিম্মি করার ঘৃন্য অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্চে। গণতান্ত্রিক চেতনার কথা বরে তারা ভিনদেশী কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতির উম্মেষ ঘটাতে এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিুদ্ধে সহযোগীতা প্রদানের শ্লোগান তুলে আমাদের দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজিক মুল্যবোধ ধবংসের জন্য হীন অপপয়াস চালিয়ে যাচ্চেছ।
তিনি বলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাস্ট্র ভীনদেশী আগ্রামী গোষ্টি কখনো কোন দরনের হস্তক্ষেপ করতে পারেনা যদিনা ঐ দেশের অভ্যন্তরীন কোন রাজিৈনতক দল বা বিশেস মহলের সহযোগীতা না পায়। দু:খজনক হলেও সত্য যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ  প্রতিবেশী ভারতের  পরামর্শ এবং সহযোগীতায় স্বাধীন সার্বভৌম দেশের স্বকীয়তাকে ধবংস করতে নানা কায়দায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আর এ ক্ষেত্রে ভারত শুধু গোপনেই তাদের আগ্রাসী ত্পরতা চালাচ্চে না, তারা প্রকাশ আমাদের সার্বভৌমত্বে বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে।  একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্ভুদ্ধ দেশের নাগরিক হিসেবে যা মেনে নেয়া আমাদরে পক্ষে অসম্ভব।
এম এ মালেক বলেন, বাংলাদেশের রাজিৈনতক সমস্য স্বাধীনতার পর থেকে চরে আসছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এধরনের সমস্যা থাকা অস্বাভাবিক কিচু না। কিন্তু ভারত তাদের পছন্দের রাজিৈনতক দল আওয়ামলীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাতে নানাধরনের চক্রান্তের জাল বিস্তার করে যাচ্ছে।
এম এ মালেক বলেন, একটি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় কে তাকবে, কে যাবে সেটা নির্বচনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে সে দেশের জনগন। কিন্তু ভারত সবধরনের রাস্ট্রীয় রাজনৈতিক, কুটনৈতিক শিষ্টাতা লঙ্গন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক বিষয়ে মুধু হস্তক্ষেপই করছে না তারা প্রকাশ্যে কুটনৈতিকতার মাধ্যমে বলে দিচ্চেছ রাষ্ট্র ক্ষমতায় বাংলাদেশী রাস্ট্রীয় সম্পদ এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী কোন রাজনৈকিত দল ক্ষমতায় থাকবে ভারত সেটা চায়না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভারত শুধু আমাদের মানবিক চেতনায় আঘাতের অপচেষ্ঠা করছে না। তারা প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবন চলায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে প্রতি মুহুর্ত। একদিকে দেশের অব্যন্তরীন রাজীনতিতে  নগ্ন  হস্তক্ষেপ অপরদিকে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা কওে যাচ্ছে। এছাড়া আমাদের নায্য অধিকার টিপাইমুখ বাঁধ, স্বাধীনতার পর কথিত পরীক্ষমূলক ভাবে নির্মিত ফারাক্কাবাঁধ, তালপট্রি, তিনভিঘা করিডোর, তিস্তা বাঁধ নির্মাণ, অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা সহ কোন কিছুতেই ভারত বাংলাদেশের সাথে বন্ধ সূলভ আচরনতো করছেই না, বরং নানা কায়দায় তারা বাংলাদেশকে সংকটে ফেলতে অপচেষ্ট চালাচ্ছে। সবচেয়ে বিষ্ময়ের বিষয় ভারতীয়দের নানামুখী সার্বভৌম বিরোদী কার্যক্রমে এক্ষেত্রে প্রধান সহযোগীর ভুমিকা পলন করছে  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।  তিনি দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে দেশ বিরাধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে প্রবাসীদেও প্রতি আহবান জানান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button