লন্ডনের সাবেক মেয়রের উপদেষ্টার সাথে সিলেট সিটি মেয়রের বৈঠক
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাথে মতবিনিময় করেছেন লন্ডনের সাবেক মেয়র কেন লিভিংস্টোনের এডভাইজার, ফ্রিডম অব দ্য সিটি লন্ডন এ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত কাউন্সিলর শিরিয়া খাতুন। রোববার দুপুরে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশী বংশদ্ভুত এই প্রজন্মের সন্তানেরা বৃটেনের মাটিতে এখন সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করছেন। এজন্য বাংলাদেশী হিসেবে আমরা গর্বিত। কাউন্সিলর শিরিয়া খাতুনের মতো মেধাবীরা বৃটেনের মূল ধারার রাজনীতিতে কাজ করার পাশাপাশি তাদের লদ্ধ অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অনন্য ভুমিকা রাখবেন বলে মেয়র আশা প্রকাশ করেন।
মতবিনিয়মকালে কাউন্সিলর শিরিয়া খাতুন সিলেট সিটির উন্নয়নের সহযোগিতার স্বার্থে বৃটেনের বিভিন্ন সিটি কাউন্সিলের সাথে টুইন লিংক স্থাপনের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে আহবান জানান। টুইন লিংক করার ব্যাপারে শিরিয়া খাতুন সিটি মেয়রকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আর্বজনাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করা, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সেবামূলক প্রকল্প গ্রহনসহ সিলেট সিটির মানবকল্যাণমূলক প্রকল্পে বৃটেনের সহযোগিতার ব্যাপারে তিনি তার তরফ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে জানান।
মতবিনিময়কালে সিলেট সিটির প্যানেল মেয়র সিটি কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ছাড়াও কাউন্সিলর শিরিয়া খাতুনের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন লুৎফুর রহমান, মইয়ব আলী, মনজুর আহমদ মন্জু ও নুরুল আমিন।
এক সপ্তাহ অবস্থান করবেন শিরিয়া খাতুন
বাংলাদেশী বংশদ্ভুত শিরিয়া খাতুন ২০০৬ সালে প্রথমবারের ইস্ট ইন্ডিয়া ও ল্যান্সবেরী ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনের তৎকালীন মেয়র কেন লিভিংস্টোনের এডভাইজারের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি লন্ডন পেনশন অথরিটির বোর্ড মেম্বার, লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার গ্রুপের মিডিয়া ও কমিউনিকেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ ৩১ জানুয়ারী শিরিয়া খাতুনকে ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এর আগে ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন এ্যাওয়ার্ড পান নেলসন ম্যান্ডেলা, আর্চ বিশপ ক্যান্টারবেরি, ফ্লোরেন্স নাইট এ্যাংগেলসহ বিশিষ্টজনেরা।
প্রথমবারের মতো কোন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত হিসেবে কাউন্সিলর শিরিয়া খাতুন এই এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। শিরিয়া খাতুন জানিয়েছেন, তিনি এবার সপ্তাহখানেক বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। সফরকালে সিলেট ছাড়াও বাংলাদেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করার কথা রয়েছে।