হেরে গেল বাংলাদেশ
আশা জাগিয়েও শেষ মুহূর্তে তীরে এসে তরী ডুবল বাংলাদেশের। রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পন করল লঙ্গানদের সামনে। প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়ে মজবুত ভিত গড়েছিল ঠিকই। ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ওভারে লাসিথ মালিঙ্গার দ্বিতীয় বলেই ম্যাথিউজের হাতে ধরা পড়েন এনামুল হক বিজয়। তারপর ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৮/১। তারপর ঘুরে দাড়িয়ে শামসুর রহমান শুভর হাফ সেঞ্চুরিতে ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ কোটা পার করে তারা। এরপরই ছন্দপতন স্বাগতিক শিবিরে। ১১৪ রানে নিজের ভুলে ৬২ রানে রান আউটের ফাদে পরেন শুভ। এরপর আর ১৯ রান যোগ করতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সাকিব ও মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত ৩ ওভার এক বল থাকতেই জয়ের বন্দর থেকে ১৪ রান পিছিয়ে থেকে সব উইকেটের পতন হয়ে যায়। এর আগে শ্রীলঙ্কা ১৮০ রানে অলআউট হয়। ৪০তম ওভারের শেষ বলে মালিঙ্গা সোহাগ গাজীর শিকারে পরিণত হলে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৫৭ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন থিসারা পেরেরা। তিনি ৬টি ছক্কা ও ৪টি চার মারেন। তার তৃতীয় ফিফটি ও ওয়ানডের সেরা স্কোর এটি। ৬৭ রানে অষ্টম উইকেট পতনের পর প্রতিরোধ গড়ে তোলে শ্রীলঙ্কা। নবম উইকেটে থিসারা পেরেরা ও সেনানায়েকে ৮২ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াকু স্কোর এনে দেন। অষ্টম উইকেট পতনের পর আরাফাত সানির এক ওভারে তিন ছক্কায় খেলায় বাংলাদেশের বোলারদের প্রভাব কমিয়ে আনেন থিসারা। এর মধ্যে ফিল্ডারদের ব্যর্থতাও রয়েছে। এই জুটিই চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টি-২০তে শ্রীলঙ্কাকে জয় পাইয়ে দেয়। বৃষ্টির কারণে পৌনে তিনটায় শুরু হয় ৪৩ ওভারে সীমিত এ খেলা। আল আমিন ও আরাফাতের অভিষেক হলো এ খেলায়। তামিম ইকবাল ও মাশরাফি নেই এই খেলায়।