ডেনমার্কে ধর্মীয়ভাবে পশু জবাই নিষিদ্ধ
ইউরোপীয় দেশ ডেনমার্কে মঙ্গলবার ধর্মীয়ভাবে পশু জবাই নিষিদ্ধ করে আইন পাস করেছে। এর ফলে মুসলমান ও ইহুদিরা বেশ সমস্যায় পড়বে। এটাকে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি স্পষ্ট হস্তপে’ বলে অভিহিত করেছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে কোপেনহেগেন চিড়িয়াখানায় একটি শিশু জিরাফকে জবাই করে হত্যার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার প্রোপটে এই আইন চালু হলো।
কয়েক বছর ধরেই এ ধরনের একটি আইন চালুর দাবি ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে পশু জবাই করার আগে সেটাকে অচেতন করতে হয়। তবে ধর্মীয় কারণে পশু জবাই করার ক্ষেত্রে এই আইনে শিথিলতা রয়েছে। উল্লেখ্য, ইসলামি ও ইহুদি নিয়মে হালাল গোশতের জন্য পশুকে সচেতন অবস্থায় জবাই করতে হয়।
কিন্তু দেশটির খাদ্যমন্ত্রী ড্যান জারগেনসেন ডেনমার্কের টিভি২’কে বলেছেন, ‘ধর্মের চেয়ে পশু অধিকার’ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন আইনটি বাতিল করার আন্দোলন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩ হাজার সারযুক্ত একটি আবেদন খাদ্যমন্ত্রীর কাছে দেয়া হয়েছে।
গ্রুপটি জানিয়েছে, এটা ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি হস্তপে। এতে করে ডেনমার্কে মুসলিম ও ইহুদিদের ধর্মচর্চার সুযোগ সীমিত করবে।
তারা জানায়, পশুদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে এই আইন করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু অনেক বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ধর্মীয় মতে জবাই করলেই পশুরা কম যন্ত্রণা ভোগ করে।
দেশটিতে পশুদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে এ ধরনের আইন প্রণয়ন করলেও সেখানে অ-ধর্মীয় কারণে নৃশংসভাবে পশু হত্যার ব্যাপারে নীরব। গত সপ্তাহে কোপেনহেগেন চিড়িয়াখানায় শিশুসহ বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে একটি জিরাফ শাবককে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। জিরাফশাবকটি পুরোপুরি সুস্থ ছিল। এখানেই শেষ নয়, ওই নিহত জিরাফটিকে সিংহ দিয়ে খাওয়ানো হয়।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপ বলেছে, জিরাফের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় একাজ করতে হয়েছে। আর লোকজনের সামনে এটা করার কারণ হলো, এটা ছিল শিা কর্মসূচীর অংশবিশেষ।