ইরান ও ব্রিটেনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু
ইরান ও ব্রিটেন আবার নিজেদের মধ্যে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করেছে। ২০১১ সালে এ সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল। ব্রিটেনে নিযুক্ত ইরানের অনাবাসিক চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মাদ হাসান হাবিবুল্লাযাদেহ বৃহস্পতিবার এ সম্পর্কে বলেছেন, “গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে আমাদের মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তারা (লন্ডন) ইরান ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্ক পুন:স্থাপনে রাজি হয়। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে দু’দেশ পরস্পরের রাজধানীতে অনাবাসিক চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স নিয়োগ দিয়েছিল এবং ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ইরান ও ব্রিটেনের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হলো।”
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ এক বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
এরপর অক্টোবরে ইরান ও ব্রিটেন পরস্পরের দেশে নিজেদের দূতাবাস আবার চালু করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে যার যার পক্ষ থেকে একজন করে অনাবাসিক চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স নিয়োগ দেয়। ২০১৩ সালেরই ডিসেম্বরে ইরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ অনাবাসিক চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স অজয় শর্মা তেহরান সফর করেন। একই সঙ্গে ইরানি অনাবাসিক চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স হাবিবুল্লাহযাদেহও লন্ডন সফর করেন।
ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলে ২০১১ সালে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর অবরোধ আরোপ করে ব্রিটেন। লন্ডনের ওই পদক্ষেপের প্রতিবাদে ওই বছরেরই নভেম্বরে ইরানের পার্লামেন্ট ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্ক ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনার বিল পাস করে। ওই বিল পাসের দু’দিন পর শত শত প্রতিবাদি জনতা তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবং দূতাবাস থেকে ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে ফেলে। তারা তেহরান থেকে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কারের দাবি জানায়।
ওই ঘটনার পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেগ ৩০ নভেম্বর তেহরান থেকে তার দেশের কূটনৈতিক মিশন প্রত্যাহার করে নেন এবং লন্ডনস্থ ইরান দূতাবাস বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তখন থেকে লন্ডনস্থ ওমান দূতাবাস ইরানের স্বার্থ দেখাশুনা করত।