আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, তা সদ্য অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা জয়লাভ করে আবারো প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, এবার নাকে খত দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে তওবা করুন। আর কোনো দিন এ ধরনের কথা বলবেন না। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না, অথচ তিনি আওয়ামী লীগের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে এলেন এবং অধিকসংখ্যক চেয়ারম্যান পদে জয়লাভও করলেন। এতে আবার প্রমাণিত হলো, এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি (খালেদা) জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলেন। বললেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন করবেন না। যে থুতু খাবেন না বলে ফেলে দিলেন, তা তিনি আবার পরে চেটে খেলেন। তিনি আরো বলেন, এক কান কাটা গেলে লোকে বাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটে। দুই কান কাটা গেলে বাড়ির উঠান দিয়ে হাঁটে। উনার (খালেদা) অবস্থা হয়েছে তেমন।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে’র আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ও তার অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। পরে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি যখন যা চেয়েছে আওয়ামী লীগ তা দিয়েছে। জাতির জন্য যা প্রাপ্তি তা আওয়ামী লীগই দিয়েছে, অনেক দল মতায় এসেছে, তারা কেউ দেয়নি।
বিরোধী জোটের আন্দোলনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, উনাদের (বিএনপির) আন্দোলনের মানে হচ্ছে, মানুষ হত্যা আর নৈরাজ্য। তাই আমি তাদের উদ্দেশে বলব, আর আন্দোলনের কথা বলবেন না। বিএনপির অনেক নেতা বলেন, এ সরকার অবৈধ। জিয়াউর রহমান অস্ত্র ঠেকিয়ে ক্ষমতা দখল করলেন সেটা কী? হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে ১১০% ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি হলেন জিয়া। বাংলাদেশের জনসংখ্যার অধিক ভোট পেয়েছেন তিনি। অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখলকারী যে পার্টি নিজেই অবৈধ, তারা কিভাবে অন্যকে অবৈধ বলে? তাদের দলের জন্ম অবৈধ পন্থায় হওয়ায়, তারা সবকিছুতেই অবৈধ দেখে। বিগত মহাজোট সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তৃতা করেন, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ।