সোনালী ব্যাংকে এবার ডিজিটাল পন্থায় টাকা লুট
হলমার্ক কেলেঙ্কারি, সুরঙ্গ কেটে ডাকাতির পর এবার সার্ভার হ্যাকের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক থেকে সম্প্রতি প্রায় দুই কোটি টাকা লুট হয়েছে। ব্যাংকের একটি হিসাব থেকে পাসওয়ার্ড হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এই টাকা ব্যাংকটির একটি হিসাব থেকে স্থানান্তর করে নেয় হ্যাকাররা।
শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব ড. এম আসলাম আলম এ তথ্য জানান।
আসলাম আলম বলেন, গত বছর ব্যাংকটির একটি হিসাবের পাসওয়ার্ড হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে একটি ট্রান্সজেকশনে আড়াই লাখ ইউএস ডলার ক্ষতি হয়েছে।’ এ ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যাংকটিকে অনলাইন নিরাপত্তা জোরদারের পরামর্শ দেন তিনি।
আসলাম আলম আরো বলেন, ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাংকটিকে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাও জোরদার করতে হবে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে ব্যাংকটি নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু এনিয়ে আগেভাগে কেউ মাথা ঘামাচ্ছে না।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী ড. আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ২০১২ সালে হলমার্কের জালিয়াতি সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার কারণেই ঘটেছে। এসব জালিয়াতি রোধে মন্ত্রী ব্যাংকগুলোকে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের যে অলস সম্পদ রয়েছে তা ব্যবহার করে ব্যবসা বাড়াতে হবে। ব্যাংকগুলোকে জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হতে হবে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক যাতে প্রযুক্তিগত হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজর রাখার কথা বলেন তিনি।
তবে সব কিছুর পরও সোনালী ব্যাংক ভালো করছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী বলেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারির ফলে সৃষ্ট বিপর্যয় কাঠিয়ে উঠছে সোনালী ব্যাংক।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এইচ এম হাবিবুর রহমান। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী প্রদীপ কুমার দত্তসহ সোনালী ব্যাংকের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. এম আসলাম আলম বলেন, ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে ব্যাংকিং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গাইড লাইন পরিপালন না করায় সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখায় লুটের ঘটনা ঘটেছে।