পিলখানা ট্র্যাজেডি
পাঁচ বছর পূর্তিতে নিহতদের কবরে শ্রদ্ধা
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মর্মান্তিক ঘটনা বিডিআর বিদ্রোহ বা পিলখানা ট্র্যাজেডির পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে প্রেসিডেন্টের পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আবুল হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবদীন বীরবিক্রম পিলখানায় নিহত শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া, তিন বাহিনী প্রধান, বিজিবিসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, শহীদ পরিবারের সদস্যরাও শ্রদ্ধা জানান। এসময় তারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
পরে সাবেক সেনা প্রধান এইচএম এরশাদ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শহীদ সেনা পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের পক্ষ পিলখানায় নিহতদের কবরে বিএনপির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিনি নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর, সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশের স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা নির্যাতন ও লাশগুমের লোমহর্ষক উত্সবে মেতে উঠেছিল কিছু নরঘাতক। মাত্র দু’দিনের বিদ্রোহে পিলখানায় ৫৭ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তা, একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, দু’জন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিডিআর জওয়ান, পিলখানার বাইরে সেনাবাহিনীর এক সিপাহী, এক পুলিশ কনস্টেবল ও তিন পথচারী নিহত হয়েছিলেন। অর্ধশত সেনা কর্মকর্তার সারি সারি লাশ দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল গোটা দেশের মানুষ।
নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হলেন
১) বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, ২) উপ মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ বারী, ৩) ঢাকা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মজিবুল হক, ৪) অপারেশন ও প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের পরিচালক কর্নেল আনিস উজ জামান, ৫) যোগাযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক কর্নেল মসীউর রহমান, ৬) দিনাজপুরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কুদরত ইলাহী রহমান শফিক, ৭) চট্টগ্রামের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আখতার হোসেন, ৮) প্রশাসনিক পরিদপ্তরের পরিচালক কর্নেল রেজাউল কবীর, ৯) আরটিসিএন্ডএস কমাড্যান্ট কর্নেল নাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ১০) রাজশাহীর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কাজী এমদাদুল হক, ১১) ময়মনসিংহের সেক্টর কমান্ডার বিএম জাহিদ হোসেন, ১২) কুষ্টিয়ার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সামসুল আরেফিন আহাম্মেদ, ১৩) কুমিল¬ার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল নকিবুর রহমান, ১৪) রাঙ্গামাটির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, ১৫) সিলেটের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ, ১৬) খাগড়াছড়ির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল শওকত ইমাম, ১৭) খুলনার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমদাদুল ইসলাম, ১৮) রংপুরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আফতাবুল ইসলাম, ১৯) রাইফেল সিকিউরিটি ইউনিটের অধিনায়ক কর্নেল এনশাদ ইবনে আমিন, ২০) কর্নেল শামসুল আজম, ২১) কর্নেল গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ নিয়ামাত উল¬াহ, ২২) ১৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল বদরুল হুদা, ২৩) লে. কর্নেল এলাহী মঞ্জুর চৌধুরী, ২৪) ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এনায়েতুল হক, ২৫) লে. কর্নেল আবু মুছা মো. আইয়ুম কায়সার, ২৬) লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম, ২৭) ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল লুৎফুর রহমান, ২৮) লে. কর্নেল সাজ্জাদুর রহমান, ২৯) ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর মকবুল হোসেন, ৩০) মেজর আব্দুস সালাম খান, ৩১) মেজর হোসেন সোহেল শাহনেওয়াজ, ৩২) ৩৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর কাজী মোচাদ্দেক হোসেন, ৩৩) মেজর আহমেদ আজিজুল হাকিম, ৩৪) মেজর মোহাম্মদ সালেহ, ৩৫) ১৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর কাজী আশরাফ হোসেন, ৩৬) ঢাকা সেক্টরের জিএসও মেজর মাহমুদ হাসান, ৩৭) ঢাকা সদর রাইফেল ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর মুশতাক মাহমুদ, ৩৮) মেজর মাহমুদুল হাসান, ৩৯) মেজর হুমায়ুন হায়দার, ৪০) ২৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের মেজর আজহারুল ইসলাম, ৪১) মেজর হুমায়ন কবীর সরকার, ৪২) মেজর খালিদ হোসেন, ৪৩) মেজর মাহবুবুর রহমান, ৪৪) মেজর মিজানুর রহমান, ৪৫) ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের মেজর মাকসুম উল হাকিম, ৪৬) মেজর সৈয়দ ইদ্রিস ইকবাল, ৪৭) ঢাকা সদর দপ্তরের মেজর রফিকুল ইসলাম, ৪৮) মেজর আবু সৈয়দ গাজ্জালী দস্তগীর, ৪৯) মেজর মোশারফ হোসেন, ৫০) মেজর মমিনুল ইসলাম সরকার, ৫১) অপস অফিসার মোস্তফা আসাদুজ্জামান ৫২) ৩৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ক্যাপ্টেন তানভীর হায়দার নুর, ৫৩) ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার, ৫৪) কর্নেল জাকির হোসেন, ৫৫) বিডিআর হাসপাতালের ডেন্টার সার্জন লে. কর্নেল কাজী রবি রহমান, ৫৬) মনোরোগ বিশেষজ্ঞ লে. কর্নেল লুৎফর রহমান খান ও ৫৭) মেজর এস এ এম মামুনুর রহমান।
নিহত ১০ বিডিআর সদস্য হলেন, ১) বিডিআরের সহকারী পরিচালক (এডি) খন্দকার আব্দুল আউয়াল, ২) উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মাসুম খান, ৩) উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) ফসি উদ্দিন, ৪) জেসিও সুবেদার মেজর নুরুল হক, ৫) সুবেদার সহকারী আবুল কাশেম, ৬) নায়েক সহকারী বশির উদ্দিন, ৭) ল্যান্স নায়েক মানিক মিয়া, ৮) সিপাহি রুহুল আমিন, ৯) মালিনী ফিরোজ মিয়া ও ১০) সিপাহি জহিরুল ইসলাম।
এছাড়াও বিডিআর নন এমন নিহত ব্যক্তিরা হলেন
নিহত বেসামরিক ৬ জন হলেন, ১) ডিজি শাকিলের স্ত্রী নাজনীন শাকিল, ২) ডিজির বাংলোর আয়া কল্পনা বেগম, ৩) রৌসুনী ফাতেমা আক্তার লাভলী, ৪) সবজি বিক্রেতা হৃদয় বেপারী, ৫) ছাত্র তারেক আজিজ, ৬) রিক্সাচালক আমজাদ হোসেন ও ৭) লে. কর্নেল (অব.) দেলোয়ার হোসেন।
বিডিআর থেকে বিজিবি
ওই বিদ্রোহের ঘটনার পর ২০১০ সালে বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয় এবং এ জন্য একটি আইন করা হয়। ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন’ নামে অভিহিত ওই বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিডিআর সদস্য কর্তৃক সংঘটিত হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠনের মতো গুরুতর অপরাধ বিচারে বিদ্যমান আইনের অপর্যাপ্ততা দূর করা এবং বিডিআরকে একটি সুদক্ষ সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আইন করা হয়। এই আইনে বিজিবির জুনিয়র কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়। আগে বর্ডার গার্ড আইনে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও নতুন আইনে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়।
বিদ্রোহের বিচার
পিলখানা ট্রাজেডির পর বিডিআরের নিজস্ব আইন ও ফৌজদারি আইনে বিচার শুরু হয়। ঘটনার প্রায় এক বছর পর ২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজ শুরু হয়। গত বছরের ২০ অক্টোবর পিলখানার সদর রাইফেল ব্যাটালিয়নের মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে ৫৭টি বিডিআর আইনে বিদ্রোহ মামলার রায় দেয়া শেষ হয়। এতে পাঁচ হাজার ৯২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। এদের মধ্যে ৮৭০ জনকে দেয়া হয় সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। তারা সবাই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চাকরিও হারিয়েছেন। মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন ১১৫ জন। খালাসপ্রাপ্ত সবাই চাকরি ফিরে পেয়েছেন।
হত্যা মামলার রায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড
গত ৫ নভেম্বর দেশের ইতিহাসে আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার রায় দেয়া হয়। বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ওই রায়ে মামলায় ৮৪৬ জন জীবিত আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৫৯ জনকে। সর্বনিম্ন ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজা দেয়া হয়েছে ২৬২ জনকে। এই ২৬২ জনের মধ্যে ২০৭ জনকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন
১. ডিএডি তৌহিদুল আলম ২. ডিএডি মো: নাসির খান ৩, ডিএডি মীর্জা জাবিবুর রহমান, ৪. ডিএডি আ. জলিল ৫. সিপাহী মে: সেলিম রেজা, ৬. সিপাহী মো: শাহ আলম, ৭. সুবেদার মেজর গোফরান মল্লিক, ৮. সিপাহী এসএম আলতাফ হোসেন, ৯. সিপাহী মো: সাজ্জাদ হোসেন, ১০. সিপাহী মো: কাজল হোসেন ১১. সিপাহী মো: আবদুল মতিন, ১২. জাকির হোসেন (পাবলিক), ১৩. ইউপি ল্যা: নায়েক মো: শাহ আলম, ১৪.হাবিলদার মো: আবু তাহের, ১৫. সিপাহী মো: আজিম পাটোয়ারী, ১৬. সিপাহী মো: রেজাউল করিম, ১৭. সিপাহী রফিকুল ইসলাম, ১৮. সিপাহী মো: মিজানুর রহমান রুস্তম ৯. ল্যান্স নায়েক (সিগনাল) মো: জাকারিয়া মোল্লা ২০. ল্যান্স নায়েক মো: আ: করিম ২১. ল্যান্স নায়েক শাহাবুদ্দিন তালুকদার ২২. সিপাহী মো: হাবিবুর রহমান ২৩. মো: জিয়াউল হক ২৪. সিপাহী রুবেল মিয়া ২৫. হবিলদার সহকারী খন্দকার মনিরুজ্জামান ২৬. সিপাহী মো. আজাদ খান ২৭. সিপাহী খন্দকার শাহাদাত ২৮. সিপাহী মো. এমরান চৌধুরী ২৯. ল্যান্স নায়েক মো. ইকরামুল ইসলাম ৩০, সিগনাল ম্যান আবুল বাসার ৩১. সিপাহী মো: শেখ আইয়ুব আলী ৩২. ঘাবিলদার মো: খায়রুল আলম ৩৩. সিপাহী মো: মাসুম বিল্লাহ ৩৪ সিপাহী মো: ওবায়দুল ইসলাম ৩৫. হাবিলদার মো. শাহজান ৩৬. সিপাহী মো: সিদ্দিক আলম ৩৭. সিপাহী মো: আমিনুল ৩৮. সিপাহী মো: সাইফুল ইসলাম ৩৯. সিপাহী মো: রিয়ান আহাম্মেদ ৪০. সিপাহী মো: রাজিবুল হাসান ৪১. সিপাহী মো: সুমন মিয়া ৪২. সিপাহী মো হারুনুর রশিদ ৪৩. সিপাহী মো: আতোয়ার রহমান, ৪৪. সিপাহী মো. ইব্রাহীম ৪৫. সিপাহী মো. কামাল মোল্লা ৪৬. সিপাহী মো. আবদুল মুহিত ৪৭. সিপাহী মো: রমজান আলী ৪৮. সিপাহী মো. শাহীন শিকদার ৪৯. হাবিলদার মো. ইউসুফ আলী (পিছলা ইউসুফ) ৫০. সিপাহী মো: বজলুর রশিদ ৫১. ল্যান্স নায়েক মো. আনোয়ারুল ইসলাম ৫২. হাবিলদার জালাল উদ্দিন আহমেদ ৫৩. সিপাহী মো. আলিম রেজা খান ৫৪. হাবিলদার শাহজাহান ৫৫. সুবেদার মো. খন্দকার একরামুল হক ৫৬. নায়েব সুবেদার মো. সাইদুর রহমান ৫৭. সাবেদার মেজর মো: শহিদুর রহমান ৫৮, নায়েব সুবেদার মো: আজিম মিয়া ৫৯. পিয়ন মো: সাইফুদ্দিন মিয়া ৬০. ইায়েব সুবেদার মো: আলী আকবর ৬১. সিপাহী কাজী আরাফাত হোসেন, ৬২. সিপাহী মো. হায়দার আলী শেখ ৬৩. সিপাহী মো: আবুল বাসার ৬৪. নায়েব সুবেদার মো. ফজলুল করিম ৬৫. হাবিলদার এবিএম আনিসুজ্জামান ৬৬. সিপাহী মো. মতিউর রহমান ৬৭. নায়েক মো. ওয়াজেদুল ইসলাম ৬৮. সিগনাল ম্যান মো. মনির হোসেন, ৬৮. নায়েক মো. আবু সাঈদ আলম ৬৯. সিপাহী মো. তারিকুল ইসলাম ৭০. নায়েব সুবেদার ওয়ালি উল্লাহ, ৭১. সিপাহী মো. হারুণ অর রশিদ ৭২. সিপাহী মো. আতিকুর রহমান ৭৩. সিপাহী ড্রাইভার মো: হাবিবুর রহমান, ৭৪. ডসপাহী মো: রমজান আলী, ৭৫. হাবিলদার মো. আ: সালাম খান, ৭৬. সিপাহী মো. তরিকুল ৭৭. হাবিলদার মো: বিল্লাল হোসেন ৭৮. হাবিলদার মাসুদ ইকবাল ৭৯. নায়েক মো. আব্দুল কাইয়ুম ৮০. হাবিলদার মো. আক্তার আলী ৮১. হাবিলদার মো. শফিকুল ইসলাম ৮২. ল্যান্স নায়েক মোজাম্মেল হক ৮৩, নায়েক সুবেদার মনোরঞ্জন সরকার ৮৪. নায়েব সুবেদার আবুল খায়ের ৮৫. হাবিলদার মো. জাকির হোসেন তালুকদার ৮৬. সিপাহী মো: সাইফুল ইসলাম ৮৭. হাবিলদার (মেডিক্যাল সহ.) মো: আবুল বাসার ৮৮. সুবেদার মো. ইউসুফ আলী খান ৮৯. নায়েব সুবেদার (স্বাস্থ্য সহকারী ) খান মো: তোরাব হোসেন ৯০. নায়েক মো: নজরুল ইসলাম ৯১. নায়েক (ড্রাইভার) মো. আলী হোসেন ৯২. হাবিলদার মো: হুমায়ুন কবির ৯৩. হাবিলদার মো. ওমর আলী ৯৪. সিপাহী রাজু মারমা ৯৫. সিপাহী আল মাসুম ৯৬. সিপাহী মো. হুলফিকার হোসেন ৯৭, নায়েক মো. শফিকুল ইসলাম ৯৮. হাবিলদার জসিম উদ্দিন খান ৯৯. নায়েক সুবেদার আবদুল বাতেন ১০০. সিপাহী মো. জিয়াউল হক ১০১. সিপাহী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ১০২. নায়েক ফিরোজ মিয়া ১০৩. নায়েক মো: নুরুল ইসলাম ১০৪. নায়েক শেখ মো. শহিদুল ইসলাম ১০৫ সিপাহী মো. মহসিন আলী ১০৬. সিপাহী এমএম সাইফুজ্জামান ১০৭. সিপাহী উত্তম বড়–য়া, ১০৮. নায়েব সুবেদার মো. কবির হোসেন ১০৯. নায়েব সুবেদার আব্দুল বাতেন, ১১০. সিপাহী এসএম রেজওয়ান আহমেদ ১১১. সিপাহী মো: নাজমুল হোসাইন ১১২. সুবেদার মো আব্দুল বারী ১১৩. সিপাহী মো. আমিনার রহমান ১১৪. সিপাহী মো: জাহিদুল ইসলাম ১১৫. সিপাহী মো: রাখাল চন্দ্র ১১৬. নায়েক মো. রফিকুল ইসলাম, ১১৭. সিপাহী মো: এরশাদ আলী ১১৮. ল্যান্স নায়েক মো. হাবিবুল্লাহ বাহার ১১৯. নায়েক মো. নজরুল ইসলাম ১২০. নায়েক মো: আসাদুজ্জামান এবং ১২১. সিপাহী কাহীনুর আলম মামুন, ১২২. সিপাহী মো: সালাউদ্দিন, ১২৩. ল্যান্স নায়েক মো. রেহাউল করিম ১২৪. ডিএডি মো. নুরুল হুদা ১২৫. ইায়েক সুবেদার মো ইসলাম উদ্দিন ১২৬. ইায়েক সুবেদার ইউনুস আলী ১২৭. ল্যান্স নায়েক মো. মোজাম্মেল ১২৮. হাবিলদার মো. দাউদ আলী বিশ্বাস ১২৯. সিপাহী মো. জসিম উদ্দিন ১৩০. নায়েক শাহী আকতার ১৩১. ল্যান্স নায়েক মো. মজিবর রহমান ১৩২. ল্যান্স নায়েক মো. আনোয়ার হোসেন ১৩৩. ল্যান্স নায়েক মো. হাসনাত কামাল ১৩৪. ল্যান্স নায়েক সহকারী মো. ইমদাদুল হক ১৩৫. ল্যান্স নায়েক সহকারী মো. সেলিম মিয়া ১৩৬. ল্যান্স নায়েক সহকারী মো. নজরুল ইসলাম ১৩৭. হাবিলদার মো. বেলায়েত হোসেন ১৩৮. সিপাহী মো: আবুল কালাম আজাদ, পলাতক ১৩৯. সিপাহী মো. মিজানুর রহমান, ১৪০. সিপাহ মো. মুকুল আলম, ১৪১. সিপাহী হাসিবুল হাসান, ১৪২. সিপাহী পল্টন চাকমা ১৪৩. সিপাহী মো. মাঈন উদ্দিন, ১৪৪. সিপাহী রেজাউল করিম ১৪৫. সিপাহী মো. বাকি বিল্লাহ ১৪৬. সিপাহী মো. শামসুদ্দিন ১৪৭. সিপাহী মো. মেজবাহ উদ্দিন ১৪৮. সিপাহী মো. সেলিম ১৪৯. সিপাহী মো. নূর আলম, ১৫০. সিপাহী মো. আনিসুর রহমান ১৫১. সিপাহী মো. মকবুল হোসেন ১৫২. ল্যান্স নায়েক মো. হামিদুল ইসলাম।
যাবজ্জীবনদন্ড প্রাপ্তরা হলেন,
রায়ে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী তোরাব আলীসহ ১৬১ জন যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদেও মধ্যে অপর ১৫৯ জন হলেন, ১. সিপাহী শ্রী চন্দ্র নাথ ২. সিপাহী আলতাব হোসেন ৩. নায়েক কামরুজ্জামান ৪. সিপাহী রায়হান চৌধুরী ৫. সিপাহী গৌতম দে ৬. সিপাহী হাফিজুর রহমান ৭. সিপাহী আনোয়ার হোসেন ৮. সিপাহী শরিফ উদ্দিন ৯. জেসিও সেরাজুল ইসলাম ১০. ল্যান্স নায়েক গাইসুল আযম ১১. নাযেক সুবেদার হেলাল উদ্দিন আহমেদ ১২. সিপাহী মঞ্জুর আলম ১৩ সিপাহী রাসেল সওদাগর ১৪. সিপাহী শহিদুল ইসলাম ১৫ সিপাহী আবু তাহের (সাদা বাউ) ১৬. নায়েক সুবেদার আলাউদ্দিন ১৭. পাচক শহিদুল্লাহ ১৮. পাচক জিকরুল শেখ ১৯. ঝাড়–দার আব্দুল কাদের ২০. হাবিলদার নাসির উদ্দিন ২১. ঝাড়–দার এমদাদুল হক ২২. ঝাড়–দার রাশেদ আলী খোকা ২৩. ঝাড়–দার মো. আলম ২৪. ঝাড়–দার শ্রী মানিক চন্দ্র নাথ ২৫. ঝাড়–দার মো. আলমগীর হোসেন ২৬. ল্যান্স নায়েক মামুদ হোসেন সরদার (মাসুদ হোসেন সরদার) ২৭. হাবিলদার সিরাজুল ইসলাম (সিরাজুল আলম) ২৮. সিপাহী মজিবুর রহমান ২৯. সিপাহী মাজহারুল ইসলাম ফারাস ৩০. সিপাহী জাহাঙ্গীর আলম ৩১ সিপাহী আবদুল্লাহ আল মামুন ৩২. সিপাহী মুকুল হোসেন ৩৩. সিপাহী জাকির হোসেন ৩৪. সিপাহী আবদুর রহমান ৩৫. সিপাহী আমজাদ হোসেন ৩৬. সিপাহী রবিউল ইসলাম ৩৭. সিপাহী জিল্লুর রহমান ৩৮. সিপাহী জামিরুল ইসলাম (জামরুল ইসলাম) ৩৯. ল্যান্স নায়েক মো. মনিরুজ্জামান ৪০. সিগন্যাল ম্যান দেলোয়ার হোসেন ৪১. সিপাহী বুলবুল হোসেন ৪২. নায়েক শফিকুল ইসলাম ৪৩. সিপাহী উত্রুড়চিং মার্মা (উচিং) ৪৪. সিপাহী জাকিরুল ইসলাম ৪৫. সিপাহী রিনেল চাকমা ৪৬. সিপাহী মাসুদুর রহমান ৪৭. সিপাহী জিয়াউর রহমান ৪৮. সিপাহী আবদুর রশিদ ৪৯. সিপাহী আবদুল গোফরান ৫০. সিপাহী শফিকুল ইসলাম ৫১. সিপাহী হারুণ মিয়া ৫২. ল্যান্স নায়েক মফিজুল হক ৫৩ সিগন্যাল ম্যান মাসুদ রানা ৫৪. সিপাহী আশরাফুল ইসলাম ৫৫. সিপাহী ওয়াসিম আকরাম ৫৬. হাবিলদার আবুল কাশেম খান ৫৭. ল্যান্স নায়েক একরামুল ইসলাম ৫৮. সিপাহী অভিজিৎ রায় ৫৯. সিপাহী মাসুদ আহমেদ রানা ৬০. সিপাহী কামাল উদ্দিন ৬১. সিপাহী শাহিন ইমরান ৬২. জেসিও সুবেদার মেজর শেখ জোবায়ের হোসেন ৬৩. হাবিলদার মোক্তার হোসেন ৬৪. সিপাহী রিয়াদ (রিয়াদ হোসেন চৌধুরী) ৬৫. জাফুর আলী ৬৬. সিপাহী মেহেদী হাসান ৬৭. সিপাহী জাহাঙ্গীর আলম ৬৮. ল্যান্স নায়েক গোলাম সরোয়ার ৬৯. জেসিও সুবেদার শেখ আশরাফ আলী ৭০. সিপাহী কলিম উল্লাহ ৭১. হাবিলদার লোকমান হোসেন ৭২. সিপাহী রিপন পাঠান ৭৩. জেসিও নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম ৭৪. সিপাহী নাজির হোসেন ৭৫. হাবিলদার আব্দুর রহমান ৭৬. সিপাহী আব্দুর রহিম ৭৭. ল্যান্স নায়েক জহিরুল আলম ৭৮. ল্যান্স নায়েক হারুন অর রশিদ ৭৯. সিপাহী ফরহাদ খান ৮০. নায়েক সেকেন্দার আলী ৮১. সিপাহী আলমাস উদ্দিন ৮২. রাসেল (রুমেল) ৮৩. সিপাহী আলম হোসেন ৮৪. সিপাহী নজরুল ইসলাম ৮৫. সিপাহী গোলাপ মো. শাহীন ৮৬. নায়েক আব্দুল বারী সরকার ৮৭. ল্যান্স নায়েক মাসুম হাওলাদার ৮৮. নায়েক এসএম শফিকুল ইসলাম ৮৯. সিপাহী আবুল হোসেন ৯০. সিপাহী হেজবুল্লাহ ৯১. সিপাহী আবু হানিফ ৯২. সিপাহী শফিকুল ইসলাম ৯৩. ল্যান্স নায়েক আমির হোসেন ৯৪. সিপাহী জসিম উদ্দিন ৯৫. হাবিলদার আলম মিয়া ৯৬. সিপাহী জাকারিয়া ৯৭. নায়েক গোলাম মোস্তফা ৯৮. সিপাহী সহকারী শহিদুল ইসলাম ৯৯. সিপাহী শফিকুল ইসলাম ১০০. সিপাহী রাশেদ আলী ১০১. সিপাহী জামালুর রহমান ১০২. হাবিলদার গোলাম কিবরিয়া ১০৩. সিপাহী নাজির আক্তারুজ্জামান ১০৪. সিপাহী আবু বকর সিদ্দিক ১০৫. সিপাহী শাহীনুল ইসলাম ১০৬. হাবিলদার শহীদুল ইসলাম ১০৭. সিপাহী শেখ ফারুক আহমেদ ১০৮. সিপাহী আবু মোয়াজ্জেম ১০৯. সিপাহী আলতাফুজ্জামান ১১০. সিপাহী সিগন্যালম্যান মো. শাহ আলম ১১১. হাবিলদার সেলিম ভুইয়া ১১২. হাবিলদার মো. হাতেম আলী ১১৩. হাবিলদার (ভিএম) মো. নুরুল ইসলাম ১১৪. সিপাহী (ভিএম) আব্দুল করিম ১১৫. ল্যান্স সিগন্যালম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম ১১৬. সিপাহী রফিকুল ইসলাম ১১৭. হাবিলদার লুৎফর রহমান ১১৮. ল্যান্স নায়েক (চালক) গিয়াস উদ্দিন ১১৯. নায়েক আজিজুর রহমান ১২০. হাবিলদার আবুল কাশেম ১২১. সিপাহী দোলোয়ার খান ১২২. সিপাহী লাভলু গাজী ১২৩. নায়েক এসএম দলিল উদ্দিন ১২৪. সিপাহী মেহেদী হাসান ১২৫. সিপাহী নুরুল ইসলাম ১২৬. সিপাহী আসাদুজ্জামান ১২৭. সিপাহী ফেরদাউস ১২৮. সিপাহী আলাউদ্দিন শেখ ১২৯. সিপাহী আবু তৈয়ব ১৩০. সিপাহী সোহেল রানা ১৩১. সিপাহী ওমর ফারুক ১৩২. সিপাহী জাহাঙ্গীর আলম ১৩৩. সিপাহী আলমগীর হোসেন ১৩৪. সিপাহী শ্রী ওয়াশিম কুমার কুন্ডু ১৩৫. জেসিও আশরাফ আলী মৃধা ১৩৬. সিপাহী (সিগনালম্যান) শামীম শেখ ১৩৭. সিপাহী জাহাঙ্গীর হোসেন ১৩৮. হাবিলদার মিজানুর রহমান ১৩৯. সিগনালম্যান মিজানুর রহমান ১৪০. সিপাহী জাহাঙ্গীর আলম ১৪১. সিপাহী রায়হানুল ইসলাম ১৪২. হাবিলদার শহিদুল ইসলাম ১৪৩. সিপাহী নজরুল ইসলাম ১৪৪. সিপাহী আতিকুর রহমান ১৪৫. ল্যান্স নায়েক কামরুল ইসলাম ১৪৬. সিপাহী মাইনুল ইসলাম ১৪৭. জেসিও নায়েক সুবেদার তালুকদার কাউছার আলী ১৪৮. জেসিও নায়েক সুবেদার ইউনুছ আলী ১৪৯. জেসিও নায়েক সুবেদার রফিকুল ইসলাম ১৫০. ল্যান্স নায়েব মাহতাব উদ্দিন ১৫১. পাচক রফিকুল ইসলাম ১৫২. সিপাহী মাসুল বিল্লাহ (মাসুদ হোসেন) ১৫৩. হাবিলদার মো. শাহজাহান ১৫৪. সিপাহী জসিম মল্লিক ১৫৫. সিপাহী মিজানুর রহমান (রোস্তম) ১৫৬. সিহাপী মিন্টু শেখ ১৫৭. সিপাহী ইমাম হাসান ১৫৮. সিপাহী জিল্লুর রহমান বাদল ১৫৯. সিপাহী আব্দুর রশিদ।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
বিদ্রোহের নেপথ্যে অপারেশন ডাল-ভাত কর্মসূচিকে দায়ী করাসহ আদালত রায়ে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, “অপারেশন ডাল-ভাত’ কর্মসূচি বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের একটি বড় কারণ। কোনো শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনী যেমন সেনাবাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে অপারেশন ডাল-ভাতের মতো কোনো কাজে যুক্ত রাখা উচিত নয়। পিলখানার ভেতরে স্কুলগুলোতে বিডিআর জওয়ানদের সন্তানদের ভর্তি করানোর বিষয়ে আরও ছাড় দেয়া প্রয়োজন। তাদের সন্তানদের জন্য আরও স্কুল তৈরি করা যায় সে বিষয়টিও কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত।”
উল্লেখ্য, বিদ্রোহের পর ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানার তত্কালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবোজ্যোতি খিসা একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ মামলাটি তদন্ত করেন। তাকে সহযোগিতা করেন ২০০ কর্মকর্তা। ৫০০ দিন তদন্তের পর ২০১০ সালের ১২ জুলাই এ আদালতে হত্যা এবং অস্ত্র-বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দু’টি অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। এতে ৮২৪ জনকে আসামি করা হয়। পরে অধিকতর তদন্তে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে বর্ধিত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সবমিলে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫০।