দারুল উলূম কানাইঘাট ও ৬০ সালা দস্তারবন্দি প্রসঙ্গ
শাহিদ হাতিমী
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলিমে দ্বীন, বাংলাদেশের অহংকার, সিলেটের কৃতি সন্তান আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী রাহ. এর পূণ্য স্মৃতিবিজড়িত উলামায়ে দেওবন্দের চিন্তাধারা বায়স্তবায়নের উদ্দেশ্য মুসলমানদের চিরশত্র“ ইয়াহুদ ও খৃস্টানদের লালিত ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতার সঠিক মোকাবেলার লক্ষ্যে বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী বিধ্যাপীঠ দারুল উলূম দেওবন্দের অনুসরণে প্রতিষ্ঠিত হয় কানাইঘাট ইসলামিয়া মাদরাসা- যা পরবর্তীতে দারুল উলূম নামে অভিহিত হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জামাতে শরহে জামী পর্যন্ত শিক্ষা-দীক্ষা চলতে থাকে। ১৯৫৪ সনে আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী রাহ. এর প্রচেষ্টায় দাওরায়ে হাদীস এর সূচনা হয়। বৃটিশ আমলে নাম ছিল কানাইঘাট ইসলামিয়া মাদরাসা অতঃপর কানাইঘাট মনছুরিয়া এবং অবশেষে দারুল উলূম কানাইঘাট।
অবস্থান: বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার অন্তর্গত সুরমা নদীর পশ্চিমে পার্শ্বে এক মনোরম পরিবেশে ঐতিহ্যের মূর্ত প্রতীক জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম দারুল হাদীস কানাইঘাট মাদরাসা অবস্থিত। মাদরাসার আঙ্গীনায় রয়েছে বিশ্ব বরণ্য শায়খুল হাদীস জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তান আমলের এম এল এ আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী রহ. এর কবরস্থান ।
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট: ওয়ালী উল্লাহী চিন্তাধারার বাস্তব প্রতিচ্ছবি দারুল উলূম দেওবন্দের সঠিক উত্তরসূরী বাংলাদেশের শীর্ষতম দ্বীনি শিক্ষাগার জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম দারুল হাদীস কানাইঘাট মাদরাসা ১৮৯৩ ইংরেজিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তখন এলাকার পরিবেশ ছিল সম্পূর্ণ নাজুক ও অজ্ঞতা আর মূর্খতার পাশাপাশি বিভিন্ন কুসংস্কারে সয়লাভ। তখন আল্লামা বায়মপুরী রাহ.’র অক্লান্ত শ্রম-সাধনা এবং অশেষ বদান্যতার ফলশ্র“তিতে ও এলাকার মান্যবর মুরব্বীদের স্বত:স্ফুর্ত সাড়া পেয়ে অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার বিনিময়ে জামেয়া প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি তৎপূর্বে গাছবাড়ী মাদরাসার শায়খুল হাদীস পদে সমাসীন ছিলেন। যখন গাছবাড়ী মাদরাসা সরকারী করণ করা হয়। তখন তিনি তাদেরকে সরকারের আশ্রয়স্থল থেকে সরে আসার জন্য জুরালো আবদার জানালেন। কিন্তু তাদেরকে তা মানানো সম্ভব হয়নি; যার কারণেই তিনি দারুল উলূম প্রতিষ্ঠা করেন এবং আজীবন তাঁর খেদমত করে যান।
দাওরায়ে হাদীসের সূচনা: ১৯৬০ বাংলার ২১সে বৈশাখ সোমবার দাওরায়ে হাদীসের সূচনা হয় আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী রহ. এর সুনিপূন পরিচালনায় এবং দেশবাসী জনসাধারণের ঐকান্তিক সহযোগিতায় জামেয়া দারুল উলূম ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাত্রা করে। তখন বৃহত্তর সিলেটের চতুর্দিকে দারুল উলূমের সুনাম সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। পার্শ¦বর্তী এলাকার শিক্ষার্থী ছাড়াও বহুদূরে দূরান্ত থেকে ইলমে ওয়াহীর জ্ঞান পিপাসু তালাবার ছাড়াও বহুদূর দূরান্ত থেকে ইলমে ওয়াহীর জ্ঞান পিপাসু তালাবারা দলে দলে আসতে থাকে। প্রয়োজন দেখা দেয় তখন বড় একটি জায়গার। একটি বিশাল আঙ্গিনার। তখনই প্রতিষ্ঠিত হয় বর্তমান দারুল উলূমের মনোমুগ্ধকর নয়াভিরাম দৃশ্য অবশেষে মাদরাসার উত্তর পার্শ্বে একটি শানদার মসজিদ নির্মিত হয় যার দরুণ মাদরাসার প্রশস্ততা আরোও বৃদ্ধি পায় এবং দেখতে আরোও মনোরম দেখায়।
শিক্ষা প্রকল্প: শিক্ষা প্রকল্প মোট পাঁচটি বিভাগে বিভক্ত-(১)হাদীস বিভাগ (২) তাফসীর বিভাগ (৩) সাফেলা বিভাগ (৪) ইবতে দাইয়া বিভাগ (৫) তাহফীযুল কোরআন বিভাগ।
ফাতাওয়া ও ফরায়েয বিভাগ: মুসলিম উম্মাহর দৈনন্দিন জীবন ও প্রাত্যাহিক বিষয়ে শরীয়ত মোতাবেক আমল করতে গিয়ে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হন এবং পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিয়ে, তালাক, লেনদেন পৈত্রিক সম্পদ ও সম্পত্তি বন্ঠন ইত্যাদি বিষয়ে যেসব জটিলতার সম্মুখীন হয়ে জামিয়ার শরনাপন্ন হন তাদের উপকার ও সেবা করার উদ্দেশ্যে জামিয়ার পক্ষ থেকে সুদক্ষ মুফতীমন্ডলীদ্বারা গঠিত ফতোয়া ও ফরায়েয বিভাগের মাধ্যমে সেসব মাসআলা ও সমস্যাগুলোর দলীল ভিত্তিক লিখিতভাবে ইসলামী সমাধান পেশকরা হয়। জামেয়ার দারুল উলূমের মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রীস লক্ষীপুরী, শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা সচিব আল্লামা আলিমুদ্দীন দূর্লভপুরী, সাবেক শিক্ষা সচিব আল্লামা আব্দুল লতীফ শায়খে চাউরী, আল্লামা শফীকুল হক্ব শায়খে সুরইঘাটী, বিশিষ্ট মুহাদ্দিস আল্লামা শামছুদ্দীন দূর্লভপুরী মহোদয়গণের তত্ত্বাবধানে এ বিভাগ পরিচালিত হয়।
পাঠাগার: কুতুবখানা বা গ্রন্থাগার যে কোন আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বিশেষ করে দ্বীনি পঠিতব্য বিষয়ে পাঠদান করার জন্য শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যাবতীয় সহায়ক গ্রন্থ গভীর মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করা জরুরী। এজন্য বই পুস্তকের এক বিরাট সম্ভারের প্রয়োজন পড়ে, যা একজন শিক্ষকের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করা কঠিন। এ গুরুত্ব অনুধাবন করে মাদরাসার মুহতামিম মহোদয় এবং সহকারী আসতিজায়ে কেরামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একটি বিশাল কুতুবখানা কায়েম করেন যা মুহাম্মদী কুতুবখানা নামে পরিচিত। বর্তমানে দারুল উলূমের কুতুবখানায় কয়েকহাজার কিতাবাদী সংরক্ষিত আছে।
ছাত্র সংসদ পাঠাগার:
বই পুস্তক হচ্ছে যে কোন জ্ঞান পিপাসু তালাবার মূল সম্পদ। জ্ঞানের প্রধান উৎস। জামেয়া দারুল উলূমের বিরাট কুতুবখানা থাকা সত্ত্বেও তালাবাদের জন্য স্বতন্ত্রভাবে একটি পাঠাগার রয়েছে। দরসিয়্যাত তথা ক্লাসিক্যাল পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে পাঠাগার থেকে বই সংগ্রহ করে ছাত্ররা বিভিন্ন বিষয়ে বুৎপত্তি লাভ করে। বিপুল বই পুস্তক সমৃদ্ধ এ পাঠাগার রয়েছে সাহিত্য, ইতিহাস, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক হরেক রকম আখলাক আকাবিরগণের রচনাবলীর বিপুল সমাহার।
দেয়ালিকা আল-মুশাহিদ:কলম যুদ্ধের এযুগে শক্তিশালী লেখনীর মাধ্যমে ইসলামের সংস্কৃতি ও আদর্শ প্রচার প্রসার করা এবং ইসলাম বিদ্ধেষীদের বহুমূখী ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া আলেম সমাজের অপরিহার্য কর্তব্য। যে লক্ষ্যে আজকের ছাত্র আগামী দিনের জাতির কান্ডারী, তালিবে ইলমদেরকেও কলম সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলা সময়ের দাবী। এ বাস্তবতাকে স্বীকার করে জামিয়া দারুল উলূম অনেক আগে থেকেই নিজের ছাত্রদেরকে দরসিয়্যাতের পাশাপাশি নিয়মিত সাহিত্য চর্চার সুযোগ করে দিয়েছে। ত্রৈমাসিক “আল-মুশাহিদ” নামক আরবী, বাংলা দেয়ালিকা নিয়মিত প্রকাশনারমাধ্যমে জামিয়া তার সাহিত্যের বিকাশ ঘটিয়ে আসছে। বৎসরান্তে আল-মুশাহিদের বার্ষিকী প্রকাশের শুভ উদ্যেগ গ্রহণ করা হয়েছে। এক সময় জামেয়ার তালাবাগণ কলমযুদ্ধে অনেকটা পিছনে ছিল, এমনকি অনেক ছাত্র বাংলা ভাষায় প্রতিভা বিকাশে কলম ধরতেও জানত না। আল্লাহ তা’য়ালার অপার করুণায় এবং দেয়ালিকায় নিয়মিত লিখতে থাকায় তাদের কাঁচা হাত পাকা এবং ভাঙ্গা কলম চাঙ্গা হয়ে উঠছে। সাহিত্য চর্চার সাথে সাথে তারা সাংবাদিকতার জগতেও প্রবেশ করা শুরু করেছে। আগামী দিনে সাহিত্য চর্চার ময়দানটি দখল করে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দারুল উলূমের উদীয়মান শিক্ষার্থীরা।
মুহতামি ও শায়খুল হাদীস: দারুল উলূমের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যারা মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন১ম মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস-আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী-(১৯৫৩-১৯৭০) ১৮ বছর২য় মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস মাওলানা মুজাম্মিল সাহেব, (১৯৭১-১৯৭২) দুই বছর৩য় মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস মাওলানা শহরুল্লাহ চটি হুজুর (১৯৭৩-১৯৮৭) ১৫বছর ৪র্থ মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস পীরে কামিল আল্লামা ফয়জুল বারী সাহেব মহেষপুরী, (১৮৮৮-২০০৬) ১৯বছর, বর্তমান মুহতামিম আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরীর জামাতা মাওলানা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস লক্ষীপুরী, দায়িত্ব গ্রহণ ২০০৭ সাল, বর্তমান শায়খুল হাদীস মাওলানা আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী
বর্তমান শিক্ষকবৃন্দ : আলহাজ্ব হযরত মাও. মুহাম্মদ বিন ইদ্রীস লক্ষীপুরী (মুহতামিম), আলহাজ্ব হযরত মাও.আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী শায়খুল হাদীস ও শিক্ষাসচিব, মুহাদ্দিস, হযরত মাও. শামছুদ্দীন সাহেব দুর্লভপুরী, আলহাজ্ব হযরত মাও. হা.হারুনূর রশীদ উজানীপাড়ী, হযরত মাওলানা শফিকুর রহমান দরবস্তী, হযরত মাও. আব্দুল হক গোবিন্দপুরী, আলহাজ্ব হযরত মাও. আনিছুল হক ডালাইচরী, আলহাজ্ব হযরত মাও. ফজলুল করীম নন্দীরাই, হযরত মাও. শিহাবুদ্দীন চড়চতুলী, আলহাজ্ব হযরত মাও. আব্দুল লতীফ মহেষপুরী, হযরত মাও. বিলাল আহমদ দুর্লভপুরী, হযরত মাও. নুরুল ইসলাম ডালাইচরী, মাও. ক্বারী হারুনূর রশীদ চতুলী, হযরত মাও. তৈয়্যিব আহম, হযরত মাও. আব্দুল্লাহ বিরদলী, হযরত মাও. আব্দুশ শাকুর কান্দেবপুরী, হযরত মাওলানা খালেদ সাইফুল্লা দূর্লভপুরী, হযরত মাও. হা. ছিদ্দীক আহমদ বায়মপুরী, হযরত হাফিয মো: জাকারিয়া বিষ্ণুপুরী, হা. জাফর আহমদ বিরদলী, হযরত মাও. আব্দুল হামিদ, হযরত মাও. লুৎফুর রহমান শিঙ্গারীপারী, হযরত মাও. মাহবুবুল আম্বিয়া পাখিবিলী, জনাব মাষ্টার আফতাব উদ্দীন সাহেব গোবিন্দপুরী এছাড়াও নাম না জানা আরো ক’জন শিক্ষক উক্ত মাদরাসায় দ্বীনি খেদমতে নিয়োজিত রয়েছেন।
দস্তারবন্দী প্রসঙ্গ: ২৬-২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ইংরেজী, বুধ ও বৃহস্পতিবার। কানাইঘাট দারুল হাদীস মাদরাসার ২দিনব্যাপী দস্তারবন্দী মহা-সম্মেলন। একদিন নয়, একবছর নয়, একদশকও নয়। পুরো ছয়টি দশক। দীর্ঘ ৬০ বছরের ফাযিলদেরকে দস্তার প্রদান করা হবে এবার। ১৯৫৪ সাল থেকে দীর্ঘ ৬০ বছরে যারা দারুল উলূম কানাইঘাট থেকে মাওলানা ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাদের মাথায় শত-সহস্র মানুষের সামনে পরিয়ে দেয়া হবে এবার সবুজ পাগড়ী। আহ্ কী সৌভাগ্যবান তারা। জানা গেছে, দারুল উলূম কানাইঘাট মাদরাসার সর্বোচ্চ ক্লাস টাইটেল পাশ ও পবিত্র কুরআনের হাফিজ প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীদেরকে উক্ত দস্তারে সম্মাননা প্রদান করা হবে। তন্মধ্যে মাওলানা ডিগ্রি লাভকারী পনেরশত আলিম এবং হাফিজে কুরআন রয়েছেন একহাজার জন। কিন্তু সম্মেলন বাস্তবায়নের প্রচার উপকমিটি সূত্রে জানাগেছে উক্ত আড়াই হাজার দস্তারগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে অনেকের মৃত্যুবরণ, বায়ূবৃদ্ধ ও অসুস্থার কারণে ২১০০ শ’জনকে দস্তার দেয়া হবে। প্রথমদিন শুধু হাফিজে কুরআনদের এবং ২য়দিন মাওলানাদের দস্তার প্রদানের কথাও জানিয়েছে প্রচার কমিটি।
অতিথি প্রসঙ্গ: ঐতিহ্যবাহী ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলূম কানাইঘাট মাদরাসার ৬০ সালা দস্তারবন্দী মহা সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বরেণ্য উলামা-মাশায়েখগণ আগমণ করবেন। তন্মধ্যে দারুল উলূম দেওবন্দ ভারতের মুহতামিম আল্লামা আবুল ক্বাসিম নোমানী, নাইবে মুহতামিম আওলাদে রাসূল (সা.) আল্লামা ক্বারী সায়্যিদ উসমান সাহেব, কায়্যিদে জমিয়ত- আওলাদে রাসূল (সা.) আল্লামা সায়্যিদ মাহমুদ মাদানী, আওলাদে রাসূল (সা.) আল্লামা মুফতি সায়্যিদ সালমান মনসূরপুরী, আওলাদে রাসূল (সা.) আল্লামা সায়্যিদ আফফান। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী, খলিফায়ে মাদানী আল্লামা নোমান আহমদ, আন্তর্জাতিক মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, আল্লামা মুফতি আব্দুর রহমান, শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহিব্বুল হক্ব গাছবাড়ী, মাওলানা সিকন্দর আলী শায়খে টিকরপাড়ী, আল্লামা মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়াহ, আল্লামা সুলতান যওক নদভী, আল্লামা মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক বরুণী, আল্লামা আহমদ আলী শায়খে চিল্লা সহ আরো শতাধিক খ্যাতনামা আলেমা-উলামা, মুফাসসির- মুহাদ্দিস ও বিশিষ্ট বুজুর্গগণ তাশরিফ আনবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ নসিহত পেশ করবেন।
অবদান: ধীরে ধীরে জামিয়া আজ উন্নতির স্বর্ণ শিখরে উপনীত। এরই মধ্যে জামেয়া দেশ, জাতি ও ধর্মের খিদমত আঞ্জাম দিয়েছে। কতইনা ব্যক্তি গঠন করেছে, কতইনা শায়খুল হাদীস, মুহাদ্দিস, মুফাসিসর, খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন প্রাবন্ধিক, লেখক, কলামিস্ট তৈরীতে ব্রতী রয়েছে।
বিশেষ করে কানাইঘাট উপজেলাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধার্মিক এলাকা হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়। যা দারুল উলূম তথা আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী রহ. এর একমাত্র অবদান এবং তা ক্বিয়ামত পর্যন্ত স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। জামেয়া থেকে ফারেগ হয়ে দারুল উলূমের সূর্য সন্তানেরা রাষ্ট্র, সমাজ এবং দ্বীনে ইসলামের বিভিন্ন খিদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ তাবলীগের কাজে জড়িত হয়ে সরলমনা মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ করেছেন। আবার অনেকে কলম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাতিলের মোকাবেলা করছেন। আবার অনেকেই বতৃতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসলামের আওয়াজকে সমুন্নত করে চলেছেন। আবার অনেকেই বক্তৃতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসলামের আওয়াজকে সমুন্নত করে চলেছেন। কেহ কেহ বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ইসলামের বহুমূখী খিদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, লেখাটিতে তথ্যের অসম্পূর্ণতা থাকতে পারে। আমরা জামিয়া দারুল উলূম দারুল হাদিস কানাইঘাট এর আরো উন্নতি, অগ্রগতি ও সফলতা প্রত্যাশী। ৬০সালা দস্তারবন্দি মহাসম্মেলন সর্বাত্মকভাবে সফলের কামনা করছি।
লেখক: সাধারণ সম্পাদক, পুষ্পকলি সাহিত্য সংঘ সিলেট।
০১৭২৭-৫৮০৬৪৯