বৃহষ্পতিবার ১১৬ উপজেলায় নির্বাচন
বৃহষ্পতিবার দেশের ৫২ জেলার ১১৬ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে।
স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য। এ সব উপজেলার জন্য সব মালামাল পাঠানোও শেষ হয়েছে। এলাকাগুলোতে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করলেও কিছু কিছু এলাকায় ভোট ডাকাতির আশংকা করছে প্রার্থীরা। এছাড়াও বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেফতারসহ নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচন কমিশন দ্বিতীয় দফায় ১১৭ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করলেও ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে ১১৬ উপজেলায়। অপরটি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার নির্বাচন ১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শন্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সারাদেশে ৪৮৭ উপজেলার এ পর্যন্ত পাঁচ ধাপে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
১১৬টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৩৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন- ৫০৫ জন। ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) প্রার্থীর সংখ্যা ৫১১ জন। ভাইস-চেয়ারম্যান (মহিলা) প্রার্থীর সংখ্যা-৩৩৬ জন।
এ সব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৯৮ লাখ ৫১ হাজার ১৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪১ জন, নারী ভোটার ৯৯ লাখ ১৩ হাজার ৪৩৫ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৮ হাজার ১৩৬টি, ভোটক ৫৪ হাজার ৪৩৭টি। প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৮ হাজার ১৩৬ জন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকরে জন্য এক জন করে মোট ৫৪ হাজার ৪৩৭ জন। এবং পোলিং অফিসার সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৮৭৪ জন দায়িত্ব পালন করবেন।
দ্বিতীয় দফায় যেসব উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেগুলো হল, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ১৬ উপজেলা- পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও রানীশংকৈল, দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট, চিরিরবন্দর, বিরামপুর ও বীরগঞ্জ, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম ও হাতীবান্দা, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, রাজারহাট ও রাজবপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী। রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ২২ উপজেলা- জয়পুরহাট সদর, তেলাল ও কালাই, বগুড়ার কাহালু, শিবগঞ্জ, আদমদীঘি ও শাজাহানপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, নওগাঁ সদর, আত্রাই, নিয়ামতপুর, পত্মীতলা, বদলগাছি, ও সাপাহার, রাজশাহীর বাঘা, নাটোর সদর, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর ও লালপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, পাবনার চাটমোহর ও ভাংগুড়া। খুলনা বিভাগের ৮ জেলার ১৬ উপজেলা- মেহেরপুরের গাংনী ও মুজিবনগর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, খোকসা ও মিরপুর, ঝিনাইদহের মহেশপুর, যশোরের চৌগাছা, ঝিকরগাছা, বাঘারপাড়া ও শার্শা, মাগুরার মোহাম্মদপুর ও শালিখা, বাগেরহাটের কচুয়া ও ফকিরহাট, খুলনার ডুমুরিয়া ও সাতীরার শ্যামনগর। বরিশাল বিভাগের ৩ জেলার ৫ উপজেলা- ভোলার চরফ্যাশন ও বোরহানউদ্দিন, বরিশাল সদর, পিরোজপুরের কাউখালী ও নাজিরপুর। ঢাকা বিভাগের ১২ জেলার ২৬ উপজেলা- টাঙ্গাইলের সখিপুর, জামালপুরের ইসলামপুর, বকশিগঞ্জ ও মেলান্দহ, শেরপুরের ঝিনাইগাতি, ময়মনসিংহ সদর, ঈশ্বরগঞ্জ ও ভালুকা, নেত্রকোনার কলমাকান্দা, খালিয়াজুরী, পূর্বধলা ও বারহাট্টা, মানিকগঞ্জের সদর ও হরিরামপুর, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও সদর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও সাভার, নরসিংদীর শিবপুর, ফরিদপুরের নগরকান্দা, বোয়ালমারী ও সালথা, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া ও সদর, মাদারীপুরের রাজৈর ও শিবচর। সিলেট বিভাগের ৩ জেলার ৪ উপজেলা- হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, সিলেটের বালাগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর ও দিরাই। চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলার ২৭ উপজেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, কুমিল্লার দেবীদ্বার, মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, মতলব (উ.), মতলব (দ.), সদর ও হাইমচর, ফেনী সদর ও পরশুরাম, নোয়াখালী সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, চাটখিল ও সোনাইমুড়ী, চট্টগ্রামের পটিয়া ও লোহাগড়া, কক্সবাজারের পেকুয়া ও চকরিয়া, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই ও নানিয়ারচর, বান্দরবানের থানছি, রুমা, রোয়াংছড়ি ও লামা।