জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবী

লন্ডনে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের আলোচনা সভা

Londonসৈয়দ শাহ সেলিম: “ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি হিউম্যান রাইটস এন্ড সিকিউরিটি” নামক সংগঠনের উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনস্থ লন্ডন স্কুল অব কমার্স এন্ড আইটি-তে বাংলাদেশের পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের শহীদদের স্মরণে আলোচনা ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। ফোরামের আহ্বায়ক ডঃ কে এম এ মালিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) নাজমুল হোসাইন, মেজর (অব:)সিদ্দীক, পূর্ব লন্ডনের কমিউনিটি নেতা ও আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ সহ কমিউনিটির অনেক গণ্যমান্য নের্তৃবৃন্দ।
বিগত ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠিত বিদ্রোহ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞে শহীদ ৫৭ জন সেনা অফিসার সহ ৯০ জন কর্মকর্তা বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও কোরআন তেলাওয়াত করেন প্যাট্রিয়টস অব বাংলাদেশের সভাপতি শামসুল আলম চৌধুরী।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের পিলখানা বিদ্রোহের এই নারকীয় ঘটনা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার উপর চরম আঘাত হিসেবে চিহ্নিত করে তারা এদিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানান।
আলোচকবৃন্দ আরো বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তরের এই বিদ্রোহের ঘটনা সবচাইতে লোমহর্ষক ও কলঙ্কময় ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এক সাথে ডিজি সহ ৫৭ জন সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যার পরেও ঐ সময় হত্যাকারীরা সরকারের তরফ থেকে সাধারণ ক্ষমা লাভ করেছিলো, যা ছিলো রীতিমতো বিস্ময়কর।
তারা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল যুদ্ধাস্র, ট্যাংক, সাজোয়া জান এবং প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জাম রেডি থাকা সত্যেও রহস্যজনক কারণে সেই সব সেনা সদস্যদের ও তাদের পরিবারের নিরীহ লোকদের উদ্ধারের তড়িৎ কোন উদ্ধার অভিযান কেন পরিচালনা করা হয়নি- তা নিয়ে জনমনে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।
আলোচকবৃন্দ বলেন, ঘটনার পর পরই একাধিক তদন্ত কমিশন গঠন হলেও মূল পরিকল্পনাকারী সনাক্তে ব্যর্থতাই পরিলক্ষিত হয়েছে। যার ফলে মূল হোতারা রেহাই পেয়ে যায়। তারা বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের পর পরই আটক কৃত অবস্থায় ৮০ জনের মতো সাধারণ জওয়ান নিহত হওয়ায় পরিকল্পনার আসল কারণ, উদ্দেশ্য এবং ঘটনার নেপথ্য নায়কেরা পর্দার আড়ালে চলে যায়। অথচ সঠিক ও স্বচ্ছ বিচারের স্বার্থে ঐ সব জওয়ানদের বেঁচে থাকা জরুরীছিলো।
আলোচনা সভা থেকে দাবী জানানো হয় উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে ঘটনার প্রকৃত কারণ ও মূল হোতাদের চিহ্নিত করে সঠিক ন্যায় বিচার প্রদানের জন্যে পূণঃতদন্ত ও পূণঃবিচার দাবী করেন।
পিলখানার ট্র্যাজেডির এই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার জন্য এই সংগঠন ক্যাম্পেইন করবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
এ সময় মূল আলোচক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:)নাজমুল হোসাইন শহীদ পরিবারের প্রতি সরকার সহ সকলের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো যারা অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন  জাতীয়তাবাদী  আইনজীবী  ফোরামের  সাধারণ সম্পাদক  ব্যারিস্টার তমিস উদ্দিন,  শেখ নিউজ ডট কম-এর  সম্পাদক  শেখ  মহিউদ্দিন  আহমেদ,  দু;শাসন ও আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলনের সভাপতি এম এস আহমেদ আজাদ, আমারদেশ পত্রিকার সাংবাদিক  অলিউল্লাহ নোমান,  ডঃ কামরুল হাসান, ভয়েস ফর জাস্টিসের সভাপতি, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের পেট্রন ডঃ হাসনাত হোসেন , বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মহিদুর রহমান,  কলামিস্ট জগলুল হোসেন,  প্রফেসর সৈয়দ মামনুন মোরশেদ,  সিটিজেন মুভমেন্টের আহবায়ক বিএনপি নেতা  এম এ মালেক,  সিটিজেন মুভম্যান্টের সম্পাদক  ফারুক  চৌধুরী,  ১৯ দলীয় জোটের নেতা মুফতি  সদরুদ্দীন  আহমেদ,  সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক  ছাত্র নেতা নসরুল্লাহ জুনায়েদ,  এমরান চৌধুরী,  মোক্তাদির রহমান,  ব্যারিস্টার আলীমুল হক লিটন, ব্যারিস্টার  এম  ইকবাল হোসেন,  এডভোকেট  অপু,  মেজর (অব:) শাহ আলম,  মেজর (অব:) জাবেদ,  মোসাহিদ হোসাইন,  অঞ্জনা আলম,  ফেরদৌসি রহমান, রাজীব আহমেদ সহ অন্যরা ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button