৬ উইকেটে জিতল ভারত
বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপে শুভ সূচনা করেছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ভারত। বিরাট কোহলির অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে দলকে ৬ বল বাকি থাকতে জয় এনে দেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ করেছিল ৭ উইকেটে ২৭৯ রান। জবাবে ভারত ৪৯ ওভারে ৪ উইকেটে করে ২৮০।
৫৪ রানে দুই ওপেনারকে হারালেও কোহলি ও রাহানে জুটি তৃতীয় উইকেটে ১১৩ রান যোগ করে দলকে বিপদমুক্ত করেন। বাকি কাজ রাইডু ও কার্তিক সম্পন্ন করেন। রাহানে করেন ৭৭ রান। আর অধিনায়কের দায়িত্বে এসে প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করেছেন কোহলি। ১৫৭ বলে ১৩৬ রান করে তিনি যখন বিদায় নেন, তখন দলের আর প্রয়োজন ১৩ রানের।
এর আগে অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭৯ রান করে বাংলাদেশ। ফতুল্লায় ৪৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানোর পরও মুশফিক এবং তার আগে এনামুল হকের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। মুশফিক ১১৭ রান এবং এনামুল ৭৭ রান করেন। ভারতের মোহাম্মদ সামি ৪ উইকেট পান।
৩ বল বাকি থাকতে ফিরে যাওয়ার আগে লড়ে গেছেন মুশফিক। প্রায় কোমর সমান উঁচু হয়ে আসা একটি বল খেলতে গিয়ে তিনি আউট হয়ে যান। মনে হচ্ছিল এটি নো-বল। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার সেটিকে বৈধ বলে রায় দিলে তাকে মাঠ ছাড়তেই হয়। তবে এর আগে তিনি যা করেছেন, তা এক কথায় দুর্দান্ত। ১১৩ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক। তবে দেশের মাটিতে এটাই প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরি।
আজ ফতুল্লায় টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ওপেনার শামসুর রহমান (৭) ৬ষ্ট ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন। মমিনুল এই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনিও ২৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর এনামুলের সাথে যোগ দেন মুশফিক। এনামুল ১০৬ বলে ৭৭ রান করে বিদায় নেন। তবে নাইম ইসলাম ও নাসির হোসেনও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তারা ১ রান করে ফিরে যান। জিয়াউর রহমান করেন ১৮ রান।