কেন্দ্র দখল, ভোট বর্জনের মাধ্যমে শেষ হল নির্বাচন

হামলা, সংঘর্, ভোট বর্জন, গ্রেপ্তার, বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেষ হলো দ্বিতীয় দফার উপজেলা নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে ৪ পর্যন্ত চলে।
দ্বিতীয় দফার ১১৫ উপজেলায় এ নির্বাচন বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হল। বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্র দখল, হামলা, সংঘর্ ইত্যাদি হয়েছে।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে বোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। বোমা হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৭ জন।
এদিকে অনিয়মের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ সদর, বরিশা্ল সদর,চাঁদপুরের মেহেন্দিগঞ্জ, মাদারীপুরের শিবচর, নোয়াখালীর কবিরহাট, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও ভোলার চরফ্যাশ উপজেলা্র বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
ভোলার বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম চরফ্যাশনে ভোট বর্জনেরে ঘোষণা। সংবাদ সম্মেলেনে নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে তিনি আগামী শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং রবিবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে।
একই অভিযেোগে বরিশাল সদর উপজেলায় স্থানীয় বিএনপিআগামীকাল শুক্রবার হরতাল আহবান করেছে । নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ভোটকেন্দ্র দখল, কারচুপি, ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। অনিয়মের প্রতিবাদে আগামী শনিবার উপজেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে স্থানীয় বিএনপি। এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গিতে দল বেঁধে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৯ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে, সাধারণ মানুষকে ভোটকেন্দ্রে বাধা দেয়াও হচ্ছে।এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আহত বশিরউদ্দিন, মোমিন, শফি ও গিয়াসকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার শালদাহ, মালসাদাহ, সাহারবাটি, জোড়পুকুরসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমানের কর্মীরা ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভোটার জানান, গাংনীর ষোলটাকা ইউনিয়নের কৃষকনগর গ্রামের শত শত ভোটার দলবেঁধে ভোলাডাঙ্গা কেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমানের কর্মীরা ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেন। কিন্তু ভোটাররা বাধা উপেক্ষা করে যেতে চাইলে তাঁদের লক্ষ্য করে ৮-১০টি
বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ৭ জন আহত হন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে পুলিশসহ আইনপ্রয়োকারী অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button