১১৩ উপজেলার বেসরকারি ফল
আ.লীগ ৪৬ বিএনপি ৫২ জামায়াত ৮ অন্যান্য ৫
দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ১১৫টি উপজেলার মধ্যে ১১৩টির বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৫২টিতে আর ৪৬টিতে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। এছাড়া বিএনপির অন্যতম শরিক দল জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৮টিতে এবং আওয়ামী লীগের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন মাত্র ১টিতে। অন্যান্যরা জয় পেয়েছে ৬টিতে। এর মধ্যে একজন করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
নোয়াখালরি সদর ও বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
বিএনপি সমর্থিত বিজয়ী প্রার্থী ৫২ জন
১. পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় এস এম আহসান হাবিব, ২. নাজিরপুরে নজরুল ইসলাম খান, ৩. মেহেরপুরের মুজিবনগরে আমিরুল ইসলাম, ৪. গাংনীতে মুরাদ আলী, ৫. যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় সাবিরা নাজমুল, ৬. বাঘারপাড়ায় মশিউর রহমান, ৭. নেত্রকোনার বারহাট্টায় মানিক আজাদ, ৮. নাটোরের বাগাতিপাড়ায় হাফিজুর রহমান, ৯. গুরুদাসপুরে আবদুল আজিজ, ১০. লালপুরে হারুনুর রশিদ পাপ্পু, ১১. দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে শামীম হোসেন চৌধুরী ১২. লালমনিরহাট সদরে একেএম মোমিনুল হক, ১৩. ফরিদপুরের সালতায় ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহেদ, ১৪. নগরকান্দায় সৈয়দ শাহিনুজ্জামান, ১৫. কুমিল্লার দেবীদ্বারে রুহুল আমিন, ১৬. মনোহরগঞ্জে ইলিয়াস পাটোয়ারী, ১৭. লাকসামে আব্দুর রহমান বাদল, ১৮. কক্সবাজারের পেকুয়ায় সাফায়েত আজিজ রাজু, ১৯. জামালপুরের বকশীগঞ্জ আব্দুর রউফ তালুকদার, ২০. ইসলামপুরে নবী নেওয়াজ খান লোহানী, ২১. ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আইনুল মাস্টার, ২২. পাবনার চাটমোহরে হাসাদুল ইসলাম হিরা, ২৩. মাগুরার শালিখায় মোজাফ্ফর হোসেন টুকু, ২৪. মোহাম্মদপুরে জাহাঙ্গীর আলম খান বাচ্চু, ২৫. বগুড়ার আলমদীঘিতে আব্দুল মুহিত তালুকদার, ২৬. শাহজানপুরে সরকার বাদল, ২৭. চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বাইরুল ইসলাম, ২৮. বান্দরবানের লামায় থুয়াইনু অং চৌধুরী, ২৯. মানিকগঞ্জ সদরে আতাউর রহমান আতা, ৩০. হরিরামপুরে সাইফুল হুদা চৌধুরী ৩১. শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে আমিনুল ইসলাম বাদশা, ৩২. খুলনায় ডুমুরিয়ায় খান আলী মুনসুর, ৩৩. রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে দিলদার হোসেন, ৩৪. কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মো. আবুল হোসেন, ৩৫. নাগেশ্বরীতে আবুল কাশেম সরকার, ৩৬. জয়পুরহাট সদরে ফজলুর রহমান ৩৭. তেলালে রওনাকুল ইসলাম, ৩৮. পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় রেজাউল করিম শাহীন, ৩৯. সুনামগঞ্জ সদরে দেওয়ান জয়নুল জাকেরিন, ৪০.দিরাইয়ে হাফিজুর রহমান তালুকদার. ৪১. মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মোমেন আলী, ৪২. নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে আনোয়ারুল হক কামাল, ৪৩. সিলেটের বালাগঞ্জে মো. আবদাল মিয়া, ৪৪. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এডভোকেট আব্দুর রহমান, ৪৫. চাঁদপুর সদরে দেওয়ান শফিকুজ্জামান, ৪৬. নওগাঁ সদরে আবু বকর সিদ্দিক, ৪৭. বদলগাছি মোস্তফা অলি আহমেদ রুমি চৌধুরী, ৪৮. পতœতলায় আবদুল হামিদ, ৪৯. চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোজাফ্ফ আহমেদ চৌধুরী, ৫০. ঢাকার সভারে কফিলউদ্দিন, ৫১. ময়মনসিংহের সদরে কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ ওয়ালিদ। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে পাবনার ভাংগুড়ায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নূর মোজাহিদ স্বপন বিজয়ী লাভ করেছেন। সবমিলিয়ে বিএনপি পেয়েছে ৫২টি।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিজয়ী প্রার্থী ৪৬ জন
১. কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় শফিউল আলম, ২. ফেনী সদরে আব্দুর রহমান বিকম, ৩. পরশুরামে কামালউদ্দিন মজুমদার, ৪. নেত্রকোনার পূর্বধলায় জাহিদুল ইসলাম, ৫. কমলাকান্দায় এস এম ফখরুল ইসলাম ফিরোজ, ৬. ভোলার চরফ্যাশনে জয়নাল আবেদিন আখন,৭. বোরহানউদ্দিনে মহব্বত হোসেন চৌধুরী, ৮. লালমনিরহাটের পাটগ্রামে রুহুল আমিন বাবুল, ৯. হাতিবান্ধায় লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, ১০. কুষ্টিয়ার খোকসায় সদর উদ্দিন খান, ১১. মিরপুরে কামরুল আরেফিন, ১২. কুমারখালীতে আব্দুল মান্নান খান, ১৩. চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মঞ্জুর আহমেদ, ১৪. মতলব দক্ষিণ সিরাজুল মোস্তফা, ১৫. ফরিদগঞ্জে আবু সাহেদ সরকার, ১৬. ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, ১৭. টাঙ্গাইলের সখিপুরে শওকত শিকদার, ১৮. যশোরের চৌগাছায় এস এম হাবিবুর রহমান, ১৯. শার্শায় সিরাজুল হক, ২০. ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে মো. সফিকুল ইসলাম, ২১. মাদারিপুরের রাজৈরে শাহজান খান, ২২. শিবচরে রেজাউল করিম তালুকদার ২৩. দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আমিনুল ইসলাম, ২৪. বিরামপুরে পারভেজ কবীর, ২৫. মুন্সীগঞ্জ সদরে আনিসুজ্জামান আনিস, ২৬. বাগেরহাটের কুচুয়ায় এসএম মাহফুজুর রহমান, ২৭. নোয়াখালীর কবিরহাটে কামরুজ্জামান শিউলি, ২৮. কোম্পানিগঞ্জে মিজানুর রহমান, ২৯. চাটখিলে জাহাঙ্গীর কবীর, ৩০. ময়মনসিংহের ভালুকায় গোলাম মোস্তফা, ৩১. ঈশ্বরগঞ্জে মাহমুদ হাসান সুমন, ৩২. গোপালগঞ্জ সদরে শেখ লুত্ফুর রহমান বাচ্চু, ৩৩. কোটালিপাড়ায় মজিবুর রহমান হাওলাদার, ৩৪. বরিশাল সদরে সাইদুর রহমান রিন্টু, ৩৫. জয়পুরহাটের কালাইয়ে মিজানুর রহমান মিলন, ৩৬. কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাফর আলম, ৩৭. জামালপুরের মেলান্দহে হাবিবুর রহমান চান, ৩৮. হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আবু তাহের, ৩৯. নওগাঁর সাপাহারে শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, ৪০. নিয়ামতপুরে মো. এনামুল হক, ৪১. আত্রাইয়ে মো. এবাদুর রহমান, ৪২. রংপুরের বদরগঞ্জে ফজলে রাব্বী মিয়া, ৪৩. নাটোর সদরে শরিফুল ইসলাম রমজান, ৪৪. সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আব্দুল হক, ৪৫. ঢাকার কেরানীগঞ্জে শাহীন আহমেদ। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে মো. শামসুজ্জামান সোয়েব বিজয়ী হয়েছেন। সবমিলিয়ে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ৪৬টি।
জামায়াত সমর্থিত বিজয়ী প্রার্থী ৮ জন
১. রাজশাহীর বাঘায় মাওলানা জিন্নাত আলী, ২. ঝিনাইদহের মহেশপুরে আব্দুল হাই, ৩. বগুড়ার শিবগঞ্জে মাওলানা আলমগীর হোসেন, ৪. কাহালুলে অধ্য তায়েব আলী, ৫. চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় ফরিদ উদ্দিন খান, ৬. গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে নজরুল ইসলাম, ৭. সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আবদুল বারী, ৮. দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে আফতাব উদ্দিন মোল্লা।
ইউপিডিএফ সমর্থিত ১ জন
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত প্রার্থী সুপার জ্যোতি চাকমা।
জনসংহতি সমিতির প্রার্থী ৩ জন
জেএসএসের (এমএন লারমা) বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- ১. রাঙ্গামাটির ননিয়ারচরে অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা, ২. বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ক্যাবামং মারমা, ৩. রুমায় অং থোয়াই চিং।
জাতীয় পার্টি-জাপা ১ জন
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে রশিদুল ইসলাম।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ২ জন
নরসিংদীর শিবপুরে বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূইয়া পরিষদের সদস্য সচিব আরিফ উল ইসলাম মৃধা, বান্দরবানের থানচিতে স্বতন্ত্র ক্যহ্না চিং।