টাওয়ার হ্যামলেটসে নির্বাহী মেয়রের লড়াই
ফরীদ আহমদ রেজা: বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় নির্বাচনী আমেজ এসে পড়েছে। নির্বাচিত মেয়র প্রথা চালু হবার পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো সেখানে নির্বাচন হচ্ছে। প্রাথীদের পক্ষ থেকে দলীয় সমর্থকরা গণসংযোগ শুরু করেছেন। পত্র-পত্রিকা এবং বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমে আমরা এ সকল খবর পাচ্ছি। সাথে সাথে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনের সময় প্রতিপক্ষের সমালোচনা হবে এবং নিজ পক্ষের প্রশংসা হবে, এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। তবে বাংলাদেশী কায়দায় নোংরা রাজনীতি যাতে সেখানে শুরু না হয় সে দিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
টাওয়ার হ্যামলেটস বরায় নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাহী মেয়র নিয়োগের প্রথা চালুর ইতিহাস এবং গত মেয়র নির্বাচনের সময় উদ্ভূত পরিস্থিতি পাঠকরা নিশ্চয় ভুলে যাননি। এর সাথে সাথে বৃটিশ পার্লামেন্টে বাঙালি প্রতিনিধি প্রেরণের লড়াই এবং টাওয়ার হ্যামলেটসে বাঙালি কমিউনিটির সাথে লেবার পার্টির বৈষম্যমূলক আচরণও আমাদের চোখের সামনে রাখা দরকার।
আমরা জানি, টাওয়ার হ্যামলেটস বরার নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান চিন্তা-চেতনায় লেবার পার্টির মানুষ। তিনি লেবার পার্টির পক্ষ থেকে কাউন্সিলের লিডার হিসেবে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক চালবাজির কারণে গত মেয়র নির্বাচনে শর্টলিস্টেড হওয়ার পরও লেবার পার্টি তাকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেনি। পরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। অনেকে ভেবেছেন, কেন লিভিংস্টন’র মতো লুৎফুর রহমানকেও লেবার পার্টি দলে ফিরিয়ে নেবে। জানা যায়, কেন লিভিংস্টোন লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে সে প্রস্তাব উত্থাপনও করেন। কিন্তু সেখানে কেন লিভিংস্টোন ছাড়া আর কেউ প্রস্তাবটি সমর্থন করেনি। লেবার পার্টির নেতৃত্ব কেন এমনটি করছে তা আমরা জানি না। অনেকের অনুমান, টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকা নিয়ে লেবার পার্টির খেলা শেষ হয়নি বলেই লুৎফুর রহমানকে লেবার পার্টি স্বাগতঃ জানায়নি। টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্যাপারে লেবার পার্টির ফেয়ার নির্মল রাজনীতি করার উদ্দেশ্য থাকলে তারা অবশ্যই লুৎফুর রহমানকে দলে ফিরিয়ে নিতো।
এবার লুৎফুর রহমান ‘টাওয়ার হ্যামলেটস ফার্স্ট’ নামক একটি কমিউনিটি সংগঠনের ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আরো অনেকে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন। আসল লড়াই বর্তমান মেয়র লুৎফুর রহমান এবং লেবার পার্টি মনোনীত জন বিগস’র মধ্যে হবে বলেই ভোটারদের ধারণা।
সম্প্রতি ‘বৃটিশ রাজনীতিতে বাঙালিদের অভিষেক, অগ্রগতি, উত্থান ও পতন’ শিরোনামে একটি চমৎকার লেখা প্রকাশিত হয়েছে লন্ডনের নতুন বাংলা সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায়। এর লেখক রাজন উদ্দিন জালাল। অতীতে যারা বিলাতে বাঙালি কমিউনিটির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ নিয়েছেন এবং বুদ্ধি ও সাহস দিয়ে এ লড়াইকে বেগবান করেছেন, রাজন উদ্দিন জালাল তাদের একজন। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে তাঁকে অভিনন্দন। কারণ আমাদের নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই বৃটিশ রাজনীতির কায়দা-কানুন জানতে হবে এবং এ দেশে বাঙালি কমিউনিটির লড়াই ও অগ্রগতির বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে।
রাজন উদ্দিন জালালের আলোচ্য লেখায় বেশ কিছু তথ্য এবং স্মৃতির আড়ালে চলে যাওয়া অনেক কথার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এক জায়গায় তিনি লেখেন, ‘বাঙালিদের বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের ফসল হিসেবে শুরু হয় রাজনৈতিক তৎপরতা। বেশিরভাগ বাঙালি ব্রিটিশ শ্রমিকদলের (লেবার পার্টির) সমর্থক ছিলেন। তবে টাওয়ার হ্যামলেটসে তখনকার সময় এই দলের সদস্যপদের জন্য বাঙালিরা দরখাস্ত করলে শ্বেতাঙ্গ পার্টি অফিসিয়ালরা ডাস্টবিনে ফেলে দিতেন! পরবর্তী পর্যায়ে বাঙালিরা বাধ্য হয়ে শ্রমিকদলের কিছু সংখ্যক নেতার অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন এবং ব্রিকলেনের শহীদ ভবনে – বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের হলরুমে এক সভায় আমরা দি পিপলস এলায়েন্স নামক একটি কমিউনিটি রাজনৈতিক দল গঠন করি। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং এদের একজন স্পিটালফিল্ডস ওয়ার্ডে জনাব নুরুল হক শ্রমিক দলের এ্যানি এ্যালবোজকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। এই আন্দোলনের সফলতার কারণে লেবার পার্টি বাধ্য হয়ে সেন্ট ক্যাথরিন ওয়ার্ডে জনাব আশেক আলীকে মনোনয়ন দেয় এবং তিনি বিজয়ী হন। এর পরবর্তী পর্যায়ে বাঙালিরা সক্রিয়ভাবে শ্রমিক দলে পর্যায়ক্রমে যোগদান করার সুযোগ পান এবং লেবার রাজনীতিতে জড়িত হয়ে পড়েন।’
রাজন উদ্দিন জালাল যে অভিজ্ঞতার কথা বললেন, সে সময় আমরা অনেক আগে পার হয়ে এসেছি। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই করে কমপক্ষে টাওয়ার হ্যামলেটসে বাঙালি জনগোষ্ঠী এখন মজবুত অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু পার্টি-পলিটিকস এবং প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ এখনো বজায় রয়েছে। জনসংখ্যা অনুপাতে বিচার করলে বৃটিশ পার্লামেন্টে পাঁচ থেকে ছয় জন এমপি থাকার কথা। বাঙালি কমিউনিটির আকাঙ্খা ছিল, পিটার শোর-এর সিটটি কোন বাঙালি প্রার্থীকে দেয়া হবে। জানে আলম, পলা মঞ্জিলা উদ্দীন, রাজন উদ্দিন জালালসহ আরো অনেক উজ্জল মুখ তাদের সামনে ছিল। কিন্তু লেবার পার্টি তাদের কাউকে বিবেচনায় না নিয়ে বাইর থেকে উনা কিংকে সেখানে মনোনয়ন প্রদান করে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে পরবর্তী নির্বাচনে টাওয়ার হ্যামলেটসের বাঙালি কমিউনিটি রেসপেক্ট পার্টির জর্জ গ্যালোয়ের প্রতি সমর্থন জানায়। এ কারণেই পরের নির্বাচনে লেবার পার্টি রুশনারা আলীকে মনোনয়ন দেয়। তাই প্রথম বাঙালি এমপি হিসেবে রুশনারা আলী নির্বাচিত হবার পেছনে জর্জ গ্যালওয়ের অবদানকে আমাদের ভুললে চলবে না। সার কথা হলো, সরল যোগ-বিয়োগ বা ফেয়ার পলিটিক্সের মাধ্যমে আমরা বৃটিশ পার্লামেন্টে বাঙালি এমপি পাঠাতে পারিনি।
গত মেয়র নির্বাচনের সময় টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার লেবার পার্টি যে আচরণ করেছে তাতে বাঙালি কমিউনিটি এবং অন্যান্য কমিউনিটির যারা ন্যায়-বিচার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী তাদের লেবার পার্টির ব্যাপারে সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান মেয়র নির্বাচনে লেবার পার্টি যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তিনি এলাকাবাসীর কাছে অপিরিচিত নয়। নির্বাহী মেয়র নিয়োগে-পদ্ধতির বিরুদ্ধে ছিল তাঁর অবস্থান। জিএলএ’র সদস্য হিসেবে তাঁর যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ব্যাপারে কমিউনিটি কিছুটা অবহিত আছে। নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে তিনি অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ইতোমধ্যে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেলেছেন। বর্তমান মেয়র লুৎফুর রহমানের কর্মদক্ষতার তুলনায় তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জল নয়। তাই তিনি তেমন ভোট টানতে পারবেন বলে আমাদের মনে হয় না।
লন্ডনের মতো টাওয়ার হ্যামলেটস বরা একটি মাল্টিকালাচারেল এলাকা। ২০১১ সালের লোকগণনা অনুযায়ী টাওয়ার হ্যামলেটস বরার মোট জনসংখ্যা ২ লাখ ৫৬ হাজার। এর শতকরা ৩২ ভাগ বাঙালি, ৩১ ভাগ সাদা বৃটিশ, ৭ ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ এবং এর বাইরে রয়েছেন পাকিস্তানীসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মানুষ। আইরিশ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের লোকেরাও সেখানে আছেন। ধর্মের দিক দিয়ে এলাকার শতকরা ৩৫ ভাগ ইসলাম ধর্মের অনুসারী, ২৭ ভাগ খৃস্টান এবং ১৫ ভাগ কোন ধর্ম বিশ্বাস করেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মের অনুসারীরা বেশ কিছু লোকও সেখানে বাস করেন। একজন মেয়র প্রার্থী বাঙালি বা মুসলমান হলেই তাকে ভোট দিতে হবে এমন নীতিতে আমরা বিশ্বাসী নই। মেয়র নির্বাচন মসজিদের ইমাম বা বাংলাদেশী প্রতিনিধি নির্বাচন নয়। মেয়রের কাজ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এলাকার সকল অধিবাসীর সেবা প্রদান এবং উন্নয়ন সাধন। এ কাজে যাকে আমরা যোগ্য ও আন্তরিক মনে করবো তাকেই আমরা ভোট দেবো, তাঁর এথনিক অরিজিন বা তিনি কোন্ ধর্মের অনুসারী সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়।
বর্তমান মেয়র লুৎফুর রহমান গত চার বছর সেখানে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত চার বছরে তাঁর যোগ্যতা ও আন্তরিকতা আমরা দেখেছি। তাঁর কর্মদক্ষতা, কর্মস্পৃহা, সেবাধর্মী মনোভাব এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি সমান ব্যবহার ইতোমধ্যে ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। কোন বিশেষ কমিউনিটির প্রতি বেশি অনুরাগ বা বিরাগ প্রদর্শন করলে তা মাল্টিকালচারেল কমিউনিটিতে পরিচালিত ভোটযুদ্ধে ইতিবাচক ফল নিয়ে আসতে পারে না।
অবশ্য লুৎফুর রহমান মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হবার পর তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। কোন কোন ব্লগ এবং পত্রিকা তাঁর বিরুদ্ধে অনবরত লেখে যাচ্ছে। কিন্তু টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দাদের মধ্যে তা কোন প্রভাব ফেলছে বলে মনে হয়না। বলা হয় তিনি টাওয়ার হ্যামলেটসকে ইসলামিক স্টেইট অব বৃটেন বানিয়ে ফেলেছেন। কারণ তিনি ফেইথ গ্রুপ এবং মসজিদের উন্নয়নে বেশি অর্থ ব্যয় করছেন। অথচ তাঁর নিকট থেকে ফেইথ-গ্রুপের যারা সহায়তা পাচ্ছেন তারা শুধু মুসলমান নয়, সকল ফেইথ-গ্রুপের লোক সেখানে রয়েছেন।
মেয়র হিসেবে লুৎফুর রহমান শিক্ষা এবং হাউজিং সেক্টরে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন সাধন করেছেন। সম্প্রতি লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন, সংক্ষেপে আইওই শিক্ষাক্ষেত্রে টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার অগ্রগতির উপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। জেনে রাখা ভালো, ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন ২০১৪ সালে শিক্ষাক্ষেত্রে ওয়ালর্ড লিডিং ইউনিভিার্সিটির মর্যাদায় ভূষিত হয়েছে। তারা বলছে, শিক্ষাক্ষেত্রে ক্ষেত্রে টাওয়ার হ্যামলেটস’র স্কুলগুলো শুধু বৃটেন নয়, গোটা পৃথিবীর জন্যে একটা দৃষ্টান্ত। অপর দিকে অফস্টেড রিপোর্ট অনুযায়ী টাওয়ার হ্যামলেটসের সবগুলো স্কুল ‘গুড’ অথবা ‘আউটস্ট্যান্ডিং’।
লুৎফুর রহমান বৃটেনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টদের জন্য হায়ার এডুকেশন গ্রান্ট চালু করেছেন। তা ছাড়া টাওয়ার হ্যামলেটস বরায় প্রাইমারী স্কুলের রিসেপশন ও ইয়ার ওয়ান ক্লাসের শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি স্কুল মিল এবং সারাদেশে বন্ধ করে দেয়া এডুকেশন মেনটেইনেন্স এলাউন্স (ইএমএএ)-এর বিকল্প ফান্ডিং চালু করে তিনি সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
নির্বাচিত হওয়ার পর লুৎফুর রহমানের প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে নতুন এক হাজার ঘর নির্মাণ করবেন। তিনি সে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। ১৬৮ মিলিয়ন পাউন্ড বাজেট নির্ধারণ করে কাউন্সিলের বর্তমান ঘরগুলোর সংস্কার করছেন। ইংল্যান্ডের যে কোনও কাউন্সিলের তুলনায় বেশি সংখ্যক সোস্যাল হাউজ নির্মাণের পুরস্কার হিসেবে সরকারের তরফ থেকে সর্বোচ্চ ‘হাউজিং বোনাস’ পেয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল, এর পরিমান প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড।
মেয়র লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা থেকে ফায়দা পেয়েছেন এলাকার সকল মানুষ। বাঙালি বা মুসলামান হিসেবে চিহ্নিত করে তার সেবা বা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়নি। তবে বাঙালি কমিউনিটিতে তরুণ এবং উদ্যোগী মানুষের সংখ্যাধিক্যের কারণে সে সেবার বেনিফিসারীর বাঙালি বা মুসলমানদের সংখ্যা বেশি হতে পারে। যেমন কোন স্কুলে বাঙালি ছাত্র বেশি হলে স্কুলের উন্নয়ন হলে সেখানে বেশি সংখ্যক বাঙালি-মুসলমান ছাত্র উপকৃত হবে। এ নিয়ে অভিযোগ করা অর্থহীন বাগাড়ম্বর মাত্র। বাসা-বাড়ি, স্কুল, স্বাস্থ্য-সেবা, পরিবেশ, থার্ড-সেক্টর, বিনোদন, ইউথ-সার্ভিস, কমিউনিটি সেইফটি প্রভৃতি কোন খাতেই অর্থ বরাদ্ধ এবং সহযোগিতার সময় ধর্ম বা বর্ণের কারণে কোন বৈষম্য কর হয়েছে বলে কোন প্রমাণ কেউ উপস্থাপন করতে পারেনি। তাই যারা বলেন, নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান শুধু মুসলমান বা বাঙালির উন্নয়ন করছেন তারা মনে হয় টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার উন্নয়ন হোক তা চান কি না সে ব্যাপারে সন্দেহ করার অবকাশ রয়েছে।