পিলখানায় হত্যাকান্ডের দিনকে শোক দিবস ঘোষণার দাবি যুক্তরাজ্য বিএনপির
২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় নৃশংস হত্যাকান্ডের দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। মঙ্গলবার পিলখানা ট্রাজেডির উপলক্ষে যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি শাইস্তা চৌধুরী কুদ্দুসের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় যে নির্মম হত্যাকান্ড ঘটেছে তা পৃথিরীর ইতিহাসে বিরল। এদিনটি বাংলার মানুষের কাছে একটি শোকাবহ এবং বেদনার দিন। বাংলাদেশে এদিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা এখন সময়ের দাবী।
শোকাবহ এ দিনে এশিয়া কাপ উদ্বোধনের সমালোচনা করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এদিন সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা এবং তাদের পরিবারকে নির্যাতন করে সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া হয়। অথচ আমরা গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি এ দিবসটিকে জনগণের ভাবনা থেকে কৌশলে দূরে সরিয়ে রাখতে নানা ফন্দি করছে সরকার। গত বছরও এ দিনে সরকার ইন্ডিয়া থেকে শিল্পী এনে নাচেগানে মাতিয়ে রেখেছিল মানুষকে, আর এ বছরও সরকার সুকৌশলে এদিন এশিয়া কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করছে। অথচ অনেক আগে থেকেই দেশের মানুষ দাবী জানাচ্ছিলো এ অনুষ্ঠান না করার জন্য।
শোকাবহ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুনঃ তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বাধীনতা আন্দোলন হতে শুরু করে মানুষের যেকোন বিপদকালীন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী। ১৯৭১ সালে চরম দুর্যোগের সময়ে যখন তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রাণ ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল তখন সেনাবাহিনীর অকুতোভয় সেনানী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ মাতৃকার টানে নিজের জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দিশেহারা জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করে। এর পর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে। অথচ অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে সরকার সেনাবাহিনীর প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে পিলখানার নির্মম হত্যাকান্ডে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এসময় যুক্তরাজ্য বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।